চা এর উপকারিতা
চা এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। চা দৈনন্দিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। “অদ্ভুত চা-খোর” গল্পের সেই অদ্ভুত লোকের মতো না হলেও চায়ের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি আছে আমাদের অনেকের। কারও কারও আবার কফির প্রতি। সকালে খবরের কাগজের সঙ্গে ধূমায়িত চা-কফি না হলে অনেকের আবার খবর পড়াটাই জমে ওঠে না। কিংবা বৃষ্টিভেজা স্নিগ্ধ বিকেলে এক কাপ চা হাতে ছাদে হেঁটে বেড়ানো। আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় তোলার কথা নাহয় বাদই দিলাম। চা-কফি তো পান করবেন। কিন্তু কাঠফাটা গরমে জীবন যখন অতিষ্ঠ তখন চা পান কতটুকু? কারণ, চা কিংবা কফিতে শরীর গরম হয়। তীব্র গরমে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত তখন চা-কফি পান করে গরমটাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে চান না অনেকে। কিন্তু এক কাপ চায়ের প্রতি থাকে অমোঘ আকর্ষণ!
অতিথির আতিথেয়তা’র ও একটি সহজ মাধ্যম হলো চা। চা’য়ের সাথে কাটিয়ে দেই অনেকটা সময়।
কোন চা এর উপকারিতা কি
চলুন, চা এর উপকারিতা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নিই ,
মূলত পরীক্ষা করে দেখা গেছে, চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের জমে থাকা টক্সিন আমাদের ক্লান্তির কারণ। অতএব, চা ক্লান্তি নাশক। চা হার্টের রোগের প্রতিকারক এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত চা পানে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ জমে না। এর প্রধান কারণ ‘ক্যাটেচিন’ নামক এক ধরনের উপাদান। যা শরীরের রক্ত বহনকারী রক্তনালীর প্রসারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে খুব সহজেই শরীরে রক্ত চলাচল করতে পারে। হাই প্রেসার রোগীরা চা পান করতে পারেন।
আমেরিকার ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’ এর বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানান, চা দেহ কোষগুলি থেকে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণ হওয়া অত্যন্ত দরকারি।
চায়ের উপকারিতা বিবেচনা করে,
নিচের ক্রমটি করা হলো—
সবুজ চা > রং চা> দুধের চা
সবুজ চায়ের উপকারিতা
এ চায়ের কোনো খারাপ সাইড ইফেক্ট নেই। সবুজ চা’তে ক্যালরি আর ক্যাফেইন থাকেই না, বরং থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দৃঢ় করায় ভূমিকা রাখে।সবুজ চায়ের পক্ষে বেশকিছু সায়েন্টিফিক গুণ রয়েছে।প্রচলিত আছে,সবুজ চা পানের ফলে ওজন কমে। এই তথ্য নিয়ে গবেষকেরা এখনও পূর্ণাঙ্গ মতামত প্রকাশ করেন নি।
রং চায়ের উপকারিতা
এ চায়ের ক্যাফেইন এতো বেশি থাকে না। কারণ রং চা বানাতে লিকার কম লাগে।মানে জ্বাল কম দিই। র’ চায়ের সাথে এলাচি, দারুচিনি, লং, তেজপাতা কিংবা আদা ছেঁচে দেয়া যায়। ফলে ঠান্ডা, টনসিল কিংবা কাশির সমস্যার সবাধান হয়ে যায় অনেকাংশে।সবুজ চা ও রং চায়ের প্রধান পার্থক্য গাঁজন প্রক্রিয়ার উপর নিভর্রশীল। অধিক জারিত চায়ের র’ গাঢ় হয়। অতএব, রং চা বেশি অক্সিডাইডজ।
দুধ চায়ের উপকারিতা
এ চায়ের অনেক বেশি লিকার থাকে যার মানে অনেক ক্যাফেইন থাকে, আর দুধ-চিনিও থাকে। ক্যাফেইন বেশি পরিমাণে গ্রহণ করায় একসময় নেশায় পরিণত হয়।এছাড়াও দুধ চা মানবদেহের লৌহ শোষিত হতে বাঁধা দেয়।
আমাদের ওয়েবসাইটে আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আছে যা আপনি পড়ে নিতে পারেন। পাতাবাহার গাছ বিষাক্ত কেন।
লিখা: ফাহমিদা তাজিন লাবণ্য, শিক্ষার্থী , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।