ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার আগে ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিন। আজকের পোস্টে ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই নিয়মগুলো মানলে আপনার ভিডিও সার্চ রেজাল্টের প্রথম অবস্থানে চলে আসবে। তাই এগুলো জানা আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই স্কিল কাজে লাগিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন। তাহলে চলুন প্র্যাক্টিক্যালি দেখে নিই।
এর আগের পোস্টে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি নতুন হন অথবা আপনার যদি অলরেডি কোন চ্যানেল থাকে তাহলে পোস্ট টি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। তাই এখনি দেখে আসুন।
Contents
ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম
ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার আগে আপনাকে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কেননা কেউ যদি আপনার ভিডিও সার্চ করে প্রথম ৩টি রেজাল্টের মধ্যে না পায় তাহলে আপনার ভিডিওতে ভিউ পাবেন না। তাহলে বুঝতে পারছেন আমি আপনাকে আপনার ভিডিও ইউটিউবের সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করার কথা বলছি।
আপনি যখন ইউটিউবে কোন ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনাকে প্রথমে দেখে নিতে হবে আপনার কম্পিটিটর কারা। তার মানে হল, আপনি যেই টপিকে ভিডিও আপলোড করতে যাচ্ছেন, সেই একই টপিকে আগে কারা ভিডিও আপলোড করেছে, তারা কি কারণে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পজিশনে অবস্থান করছে এই বিষয়গুলো জানতে হবে।
আপনি কি জানেন, একটি ভিডিও ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পজিশনে কি কারণে আসে? ওকে, এটি টোটাল ৮টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ট্যাগ ব্যবহার করা। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে তারা কি কি ট্যাগ ব্যবহার করছে। চলুন আগে এই ৮টি বিষয় জেনে নিই।
- টাইটেল
- ডেসক্রিপশন
- এইন্ড স্ক্রিন
- কার্ড
- ট্যাগ (যা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ)
- আপনার ভিডিও পাবলিক্যালি শেয়ার করছেন কি না
- আপনার ওয়েবসাইটের লিংক
- সোস্যাল শেয়ার
এই কয়েকটা বিষয়ের উপর নির্ভর করে একটি ভিডিও ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে এবং গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথম পজিশনে আসে। তাহলে দেখুন এই বিষয়গুলো কিন্তু আপনি নিজে বসে কাজ করে সবকিছু সেট করে নিতে পারবেন। যেটা পারবেন না তা হল ট্যাগ ব্যবহার করা। ওকে, আমি সবগুলো বিষয় খুব ভালোভাবে দেখিয়ে দিব। চলুন ট্যাগ ব্যবহার করাটা আগে শিখে নিই।
ট্যাগ ব্যবহার
ট্যাগ বের করাটা সবেচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে কঠিন বিষয়। চলুন ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম এটি লিখে ইউটিউবে সার্চ করে দেখে আসি।
এবার ভাবুন এই যে প্রথম অবস্থানে যে ভিডিওটা আসল, এটিই কেন প্রথমে আসল, আরো তো ভিডিও আছে। তাহলে এই ভিডিও টির বিশেষত্ব কি? খুঁজে বের করুন ও কি কি ট্যাগ ব্যবহার করেছে। ভিডিওতে ক্লিক করুন।
আচ্ছা, ট্যাগ গুলো খুঁজে পেতে আপনার ব্রাউজারে একটি এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হবে। এক্সটেনশন টির নাম VidIQ, “vidIQ extension for Chrome” এটি লিখে গুগলে সার্চ করুন অথবা https://chrome.google.com/webstore/detail/vidiq-vision-for-youtube/pachckjkecffpdphbpmfolblodfkgbhl এই লিংকে গিয়ে এটি আপনার গুগল ক্রোম ব্রাউজারে এড করে নিন।
এবার ভিডিওটি স্ক্রল করে একটু নিচে যান, দেখুন এক্সটেনশন এর কারণে রাইট সাইডবারে বেশ কিছু জিনিস চলে এসেছে। একটু নিচে গেলে দেখবেন Vedio tags নামে একটা উইজেড আছে, নিচের ছবিতে দেখুন
দেখুন আমি মার্ক করে দিয়েছি কোন কোন ট্যাগের কারণে এই ভিডিওটি সার্চ রেজাল্টে দেখাচ্ছে। #ইউটিউবএ ভিডিও আপলোড এই ট্যাগের কারণে ভিডিওটি ১নাম্বার পজিশনে দেখাচ্ছে। একইভাবে বাকি ট্যাগ গুলো দেখুন।
এখন এই ট্যাগ রিসার্চ করার জন্য তিনটি ওয়ে আছে।
১। ব্রেইন স্টর্মিং
আপনি নিজে চিন্তা করুন, মানুষ কি কি লিখে ইউটিউবে সার্চ করতে পারে। অবশ্যই নিজেকে একজন ভিউয়ার এর জায়গা থেকে চিন্তা করবেন। আপনার যদি এই বিষয়টি জানার প্রয়োজন হত, তাহলে আপনি কি লিখে সার্চ করতেন। আপনি যখন একটা ট্যাগ দিবেন, তখন আপনি কখনোই নিজেকে একটা চ্যানেলের মালিক হিসেবে চিন্তা করবেন না।
যেমন মনে করেন আপনি ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম এই বিষয়টি ইউটিউবে খুঁজবেন তাহলে আপনি কি লিখবেন? ভাবুন, সময় নিয়ে চিন্তা করুন, এমন কি কি লিখে মানুষ সার্চ করতে পারে। আপনি যদি বাংলাদেশী হন, বাংলাদেশীরা কি কি লিখে সার্চ করতে পারে, যদি ইন্ডিয়ান কোন চ্যানেল তৈরি করেন, তাহলে ভারতীয় মানুষজন কি কি লিখে সার্চ করবে, যদি একজন ইউকে এর ক্ল্যায়েন্টের চ্যনেলে কাজ করেন, ইউকে এর মানুষ কি কি লিখে সার্চ করতে পারে এভাবে সবকিছু চিন্তা করে বের করবেন।
আমাকে বিশ্বাস করেন, আপনি যতই এক্সটেনশন বা টুল ব্যবহার করেন না কেন, আপনার ব্রেইন স্টর্মিং করে বের করা ট্যাগ গুলোই সবচেয়ে বেশি কাজে দিবে। এমনকি এদের কোন র্যাংকিং না থাকলেও কাজে দিবে। কেননা, রিয়েল লাইফে একজন ইউজার কি লিখে সার্চ করতে পারে আপনি তা খুঁজে বের করছেন।
২। VidIQ এক্সটেনশন
এবার আপনি আপনার ভিডিওর টপিকের উপর বিভিন্ন কিওয়ার্ড লিখে ইউটিউবে সার্চ করুন। দেখুন, যাদের ভিডিও গুলো র্যাংক করছে তারা কি কি ট্যাগ ব্যবহার করছে। যেসব ট্যাগের কারণে তাদের ভিডিওগুলো প্রথম দিকে অবস্থান করছে, সেই ট্যাগ গুলো কালেক্ট করে আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন।
এইখানে একটা সমস্যা হইতে পারে। যেমন দেখেন, আপনি একটা ট্যাগ এর উপর ক্লিক করেন। ধরুন, #ইউটিউএবএ ভিডিও আপলোড যেটা ১নাম্বার র্যাঙ্কে আছে এটাতে ক্লিক করেন। আপনার ক্ষেত্রে এটা ১নাম্বার নাও হতে পারে। এখানে এটা ৫৮ নাম্বার হয়ে গিয়েছে।
এজন্য আপনি আপনার কম্পিটিটর দের ট্যাগ রিসার্চ খুব ভালোভাবে করবেন এবং যেই ট্যাগ গুলো আপনার ভিডিওর সাথে রিলেভেন্ট শুধুমাত্র ওই ট্যাগ গুলোই ব্যবহার করবেন।
৩। কিওয়ার্ড টুল/ ইউটিউব রিলেটেড সার্চ
https://keywordtool.io/ এই লিংকে গিয়ে ইউটিউব সিলেক্ট করে আপনার ভিডিওর টপিক লিখে সার্চ করুন। দেখবেন অনেক কিওয়ার্ড আসবে। এগুলো থেকে সবচেয়ে বেস্ট কিওয়ার্ড গুলো বাছাই করুন।
ট্যাগ রিসার্চ করার আরেকটি ভাল ওয়ে হচ্ছে ইউটিউব রিলেটেড সার্চ। দেখবেন সার্চ বারে ইউটিউব থেকে কিছু কিওয়ার্ড সাজেস্ট করে। এগুলো রিয়েল লাইফ ইউজার রা সার্চ করে। তাই এখান থেকে অবশ্যই আপনার ভিডিওর সাথে রিলেটেড ট্যাগ বাছাই করুন। কখনো ইরিলেভেন্ট ট্যাগ দিবেন না।
এই ছিল ট্যাগ বাছাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। এবার আসুন একটি ভিডিও আপলোড করে প্র্যাকটিক্যালি দেখে নিই ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম গুলো।
ভিডিও আপলোড করার আগে, ভিডিওটি অপটিমাইজ করে নিন। এজন্য ভিডিওটি রিনেইম করুন আপনার স্পেসিফিক কিওয়ার্ড দিয়ে। আপনি আসলে যেই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ রেজাল্টে আপনার ভিডিওটি আনতে চাইছেন। যেমন ধরুন, আমার কিওয়ার্ড হল, ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম , তাহলে আমি এভাবে রিনেইম করব ইউটিউবে-ভিডিও-ছাড়ার-নিয়ম । তারপর রাইট বাটনে ক্লিক করে প্রোপার্টিসে যাব। নিচের ছবির মত ডিটেইলস এ কিওয়ার্ড, টাইটেল সবকিছু লিখে দিব। এবং ট্যাগ অংশটি তে বাছাই করা ট্যাগ গুলো দিয়ে দিবেন।
আপলোড করার জন্য এবার আপনার ভিডিও পুরোপুরি রেডি। চলুন এবার ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম গুলো এপ্লাই করে একটি ভিডিও আপলোড করি।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড কিভাবে করব
ভিডিও আপলোড করার জন্য ইউটিউবে লগইন থাকা অবস্থায় টপবারে রাইট কর্ণারে ক্রিয়েট বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপলোড ভিডিও বাটনে ক্লিক করুন।
সিলেক্ট ফাইল বাটনে ক্লিক করে আপনার পিসি থেকে ভিডিও টি সিলেক্ট করুন এবং আপলোড করুন।
টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন
টাইটেল এর গুরুত্ব কতটুকু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আশা করি আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন টাইটেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। টাইটেল দেখেই একজন ভিউয়ার প্রথম ডিসিশন নেয় আপনার ভিডিও টা দেখবে কি দেখবে না। তাই অবশ্যই টাইটেল এর উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন। আমি টাইটেল নিয়ে বিস্তারিত আরো অনেক কিছু বলেছি আগের একটা পোস্টে। যেটা ছিল ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম, এটি পড়ে আসুন।
তারপর ডেসক্রিপশন। এখানে আপনার ৫০০০ ক্যারেক্টার লিমিট থাকবে। এই অংশে আপনি আপনার ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন। ডেসক্রিপশন অংশটি আপনার টার্গেট করা কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজান। এরপর আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা কন্টেন্টের লিঙ্ক দিয়ে দিন। তারপর আপনার ভিডিওর সাথে রিলেটেড ভিডিও গুলোর লিঙ্ক দিন। তারপর আপনার সোস্যাইল প্রোফাইলের লিঙ্ক এবং সবশেষে আপনার টার্গেট করা মেইন ৪-৫টি ট্যাগ হ্যাস ট্যাগে দিয়ে দিন।
থাম্বনেইল
টাইটেলের ঠিক পরেই যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল থাম্বনেইল। থম্বনেইল আপনার ভিডিওর প্রতি ভিউয়ার দের মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। আপনার ভিডিওতে ক্লিক পড়ার আরেকটি বড় ফ্যক্টর হল থাম্বনেইল। তাই থম্বনেইলে খুবই আকর্ষণীয় একটি ইমেইজ দেন। আপনার ভিডিওতে কি আছে বা আপনি ভিডিওতে কি দেখাতে চাইছেন তা আপনাকে থাম্বনেইল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে। এমন ভাবে আপনার থাম্বনেইল ইমেজটি ডিজাইন করুন যেন আপনার টার্গেট করা ভিউয়ারদের কাছে মনে হয় এটি তার অবশ্যই দেখা উচিৎ।
এর নিচে আছে প্লে-লিস্ট। আপনার ভিডিওটি অবশ্যই কোন একটা প্লে লিস্টে এড করে দিবেন। কারণ এটি আপনাকে র্যাংকিং পেতে সাহায্য করবে।
তারপর ইউটিউব আপনার কাছে জানতে চাইবে, আপনি কি ভিডিওটি বাচ্চাদের জন্য করছেন নাকি বড়দের জন্য। এটি আপনাকে অবশ্যই সিলেক্ট করে দিতে হবে।
এর পরে একটা গুরুপূর্ণ অংশ আছে, যেখানে আপনার বাছাই করা ট্যাগ গুলো দিয়ে দিতে হবে। More Options বাটনে ক্লিক করুন। ট্যাগ বক্সে আপনার বাছাই করা সবগুলো ট্যাগ দিয়ে দিন।
এরপর ভিডিও ল্যাংগুয়েজ এবং ক্যাপশন সার্টিফিকেশন দিয়ে দিবেন
সাবটাইটেল
ইউটিউবে একটি পূর্ণাংগ ভিডিওর অন্যতম বিষয় হল সাবটাইটেল। আপনার ভিডিওর সাবটাইটেল অবশ্যই আপলোড করে দিবেন। এর জন্য কি আবার নতুন করে সবকিছু ওয়ার্ড ফাইলে লিখবেন? কখনোই না। যখন আপনি ভিডিও করবেন তখন একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার স্পিচ রেকর্ডিং অন করে নিবেন। নিচে দেখুন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক।
তারপর এই টেক্সট গুলো কপি করে নোটপ্যাডে নিয়ে যান। এবং এটি .srt এক্সটেনশন এ সেইভ করবেন। এর নাম কি দিবেন নিশ্চয়ই জানেন। আপনার টার্গেট করা মেইন কিওয়ার্ড যা আপনি টাইটেলে দিয়েছেন।
এরপর লোকেশন এবং ক্যাটাগরি অবশ্যই সিলেক্ট করে দিন। এরপর কমেন্ট এবং রেটিং সেকশন। এখানে আপনি Hold potentially inappropriate comments for review এটি সিলেক্ট করে দিবেন। কেননা কেউ বাজে মন্তব্য করলে ভিউয়াররা আপনার ভিডিও দেখতে ডিমটিভেট হবে।
তারপর রাইট সাইডে আপনার আপলোড করা ভিডিওর ঠিক নিচে মেইন কিওয়ার্ড লেখার জায়গা পাবেন। আপনার মেইন কিওয়ার্ড এখানে লিখে দিন। Preview in Search results বাটনে ক্লিক করে দেখে নিন। তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।
এইন্ড স্ক্রিন এবং কার্ড
এবার আসছে আপনার ভিডিওর মোস্ট ইম্পর্টেন্ট পার্ট। এইন্ড স্ক্রিন হল আপনার ভিডিও শেষ হলে স্ক্রিনে কি দেখাবে। আপনি নিশ্চয়ই চাইছেন না আপনার ভিডিও শেষ হইলে স্ক্রিনে অন্য কারো ভিডিও আপনার ভিউয়ার দের ইউটিউব সাজেস্ট করুক। তাই এখানে আপনার চ্যানেলের অন্যান্য ভিডিও অথবা প্লে-লিস্ট সিলেক্ট করে দিন। এখানে ৪টি ইলিমেন্ট এড করতে পারবেন। টাইমিং ও আছে। আপনার সাবস্ক্রাইব বাটন ও এখানে দিতে পারবেন।
এর নিচে আছে কার্ড। নিশ্চয়ই দেখেছেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময়, ভিডিওর টপে রাইট কর্ণারে ছোট্ট একটি বাটন, যা লোকেরা আই বাটন বলে থাকে। এখানে আপনি রিলেটেড ভিডিও অথবা প্লে-লিস্ট সিলেক্ট করে দিবেন।
এজন্য এড বাটনে ক্লিক করবেন, নতুন একটি ইন্টারফেইস আসবে। সবগুলো অপশন পাবেন। এগুলো খুবই সহজ।
তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন। এখানে চেক করা হবে আপনার ভিডিওটি কপি করা কি না। সব ঠিক থাকলে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আবার নেক্সট বাটনে ক্লিক করে আপনার ভিডিওটি পাবলিশ করে দিন। অবশ্যই পাবলিশ করার আগে সবকিছু ভাল করে চেক করে নিবেন।
আপনার ভিডিও টি সুন্দরভাবে ইডিট করার জন্য নিচের পোস্ট থেকে সেরা কিছু ভিডিও ইডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নিন।
Conclusion
পুরো পোস্টে ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম শতভাগ সঠিক ইনফরমেশন এবং প্র্যাকটিক্যাল উদাহরণ দিয়ে আপনাদের দেখিয়েছি। ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে হলে এই নিয়ম গুলো মানতেই হবে। ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার এই নিয়মগুলো যদি আপনি মানতে পারেন তাহলে নিশ্চিতভাবে ইউটিউবে আপনি সফল হবেন।
আপনার যদি ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার ক্রিয়েটিভিটি নাও থাকে আপনি প্র্যাকটিস করে এটি শিখে নিন। তাহলে আপনি অন্যের চ্যানেলে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এটি ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার খুবই ভাল উপায়। তাছাড়া আপনি এই দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তাই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কোনটি প্রয়োজন তা দেখে নিন।
আমাদের ওয়েবসাইটে সবকিছুর পরিপূর্ণ গাইডলাইন দেয়া আছে। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় এবং গেম খেলে টাকা আয় করার উপায় দেখে নিন। পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত এবং আপনার যেকোন জিজ্ঞাসা কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
very nice content