মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার কমপ্লিট গাইডলাইন
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার কমপ্লিট গাইডলাইন থাকবে এই পোষ্টে। শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি দিয়ে আয় করতে পারেন এমন কিছু কাজের কথা আজ আপনাদেরকে বলবো।
আমি জানি আপনারা মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার উপায় খুঁজতে খুঁজতে হতাশ হয়েছেন। কোথাও কোনো উপায় খুঁজে পাননি। আপনার এই টাকা আয় করার আগ্রহ কে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেটে থাকা ওয়েবসাইটগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নিয়েছে। আমি এও জানি আপনারা এখনও খুব আগ্রহ নিয়ে খুঁজতেছেন মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় কিভাবে। Shopnik আপনাদের কখনোই হতাশ করেনি এবং সব সময় সঠিক উপায় আপনাদেরকে দেখিয়েছে। Shopnik সব সময় আপনার পাশে আছে এবং থাকবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করবেন তার বিস্তারিতঃ
Contents
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ৭টি উপায়
এখানে আমি এমন ৭টি কাজের কথা বলব যেগুলো করে আপনি অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে এগুলোর সবকয়টি কাজ ই করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন আপনার কাজ করার প্রবল ইচ্ছা।
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কি কি লাগে তা দেখুন।
ফেসবুক বিজনেস
আমরা ফেসবুকে গেলে প্রতিদিন অসংখ্য নতুন নতুন বিজনেস দেখতে চাই। তারা এই বিজনেস গুলো কিভাবে করছে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন চাইলে আপনিও এরকম একটি বিজনেস করতে পারেন? জ্বী, অবশ্যই আপনিও পারেন এরকম একটা বিজনেস করতে। ফেসবুকে বিজনেস করার জন্য প্রথমে আপনি যেকোন একটি পণ্য নির্বাচন করুন। ধরা যাক আপনি আপনার নিজস্ব এরিয়াতে বিজনেস করবেন। তাহলে খুঁজে বের করুন এমন কি পণ্য আছে যেটি মানুষের প্রয়োজন। আপনি সে পণ্যটি নিয়ে ফেসবুকে বিজনেস করতে পারেন। আবার ধরা যাক আপনি আপনার বিজনেসে সারাদেশের সব জায়গার মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করবেন। তাহলে এমন কোন পণ্য নির্বাচন করুন যা মানুষের প্রয়োজন কিন্তু খুব সহজে মানুষ পণ্যটি পায় না।
ফেসবুকে বিজনেস করতে হলে আপনাকে কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। যেমন ফেসবুক গ্রুপ, পেজ ইত্যাদি। ফেসবুকে আপনার বিজনেস প্রমোশন করতে পারবেন খুব সহজে। আপনার আপনারই দেখে থাকেন টাইমলাইনে প্রচুর স্পন্সর করা পোস্ট থাকে। এভাবে আপনিও আপনার বিজনেস কে বুস্ট করতে পারেন খুব অল্প খরচে। তাছাড়া আপনি দেখতে পাবেন ফেসবুকে অসংখ্য কেনা-বেচা গ্রুপ আছে এ গ্রুপ গুলোতে আপনি পোস্ট করতে পারেন।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি এমন কোন পণ্য খুঁজে পাচ্ছেন না কি নিয়ে বিজনেস করবেন। তাহলে আপনি যেটা করতে পারেন তা হল অনলাইন রি-সেলিং ব্যবসা। এটি হচ্ছে আপনি অন্যের পণ্য বিক্রি করে দিবেন। তখন তারা আপনাকে তার লভ্যাংশ দিবে। এজন্য আপনি Shopup এ যান। তাদের অসংখ্য পণ্য রয়েছে যেগুলো আপনি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। আরো কিছু উপায় আছে, ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা দেখে নিন।
ব্লগ কন্টেন্ট রাইটিং
আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। ব্লগিং করার জন্য আপনি ব্লগারে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিন। তারপর একটি ডোমেইন কিনে আপনার ওয়েবসাইটটি সেটআপ করে ফেলুন। ব্লগার থেকে টাকা আয় করা যায় এটা কারো কাছে অজানা নয়। ওয়েবসাইট তৈরি করে এখন আপনার কাজ হবে নিয়মিত ব্লগ লেখা। এর জন্য আপনাকে আরো অনেক কাজ শিখতে হবে। ব্লগিং এ সফল হওয়ার জন্য আপনার যেসব কাজ শিখা প্রয়োজন তার সবকিছুই আমাদের ওয়েবসাইটে আছে। আপনি চাইলে কাজগুলো শিখে নিতে পারেন।
অথবা আপনি অন্যের ব্লগে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করতে পারেন। এরকম অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে আপনি আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করতে পারেন। যেমন আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে যদি লিখতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকেও টাকা আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে শিখতে হবে আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয়। আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন কোন ওয়েবসাইট আর্টিকেল লেখার জন্য টাকা দেয়।
ইউটিউবে ভিডিও তৈরি
আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে তার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে, যা খুবই সহজ। আপনাকে এমন কিছু ভিডিও তৈরি করতে হবে যা মানুষের দরকার। আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। যেমন ভ্রমণ, শিক্ষামূলক, খেলাধুলা, বিনোদন আরো অনেক রকমের ভিডিও তৈরি করতে পারেন। যা করতে আপনার কাছে ভালো লাগবে। সত্যি কথা হলো আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এবং ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় নিচের পোস্টে দেখুন।
আপনার ভিডিওগুলো যখন মানুষ দেখবে, আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়বে তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে পারবেন। তারপর গুগল এডসেন্স থেকে আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য অ্যাড দেখাবে। আপনি ইউটিউব এর যেসব ভিডিও দেখছেন, তার প্রতিটি চ্যানেলের মালিক প্রতিমাসে কয়েক হজার থেকে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করে। চেষ্টা করলে আপনিও পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন আপনার নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা।
ফেসবুক বুস্টিং
ফেইসবুক বুষ্টিং বা ফেসবুক প্রমোশন বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটু আগে আলোচনা করেছি আমরা প্রতিদিনই ফেসবুকে অসংখ্য স্পনসর্ড পোস্ট বা অ্যাড দেখতে পাই। ফেসবুকের প্রতিটি বিজনেসের জন্যই ফেসবুক বুস্টিং বা প্রমোশনের প্রয়োজন হয়। তারা এগুলো কিভাবে করে? অবশ্যই প্রমোশনের জন্য অন্য কাউকে হায়ার করে। আপনি চাইলে ফেইসবুক বুষ্টিং এর কাজটি করতে পারেন। ফেসবুক বুস্টিং কিভাবে করতে হয় তা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে শিখে নিতে পারেন। এটি খুবই সহজ এবং মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। সর্বোচ্চ 30 মিনিটের মধ্যে আপনি কাজটি শিখে ফেলতে পারবেন।
ফেসবুকে বুস্টিং এর জন্য আপনার একটি মাস্টার কার্ড লাগবে। ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে ম্যানেজ করতে পারবেন। তারপর ফেইসবুক বুষ্টিং এর কাজটি আপনি শুরু করে দিন। যারা ফেসবুকে বিজনেস করছে তারা প্রতিদিনই বুষ্টিয়ের কাজ করানোর জন্য লোক খুজছে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদেরকে দিয়ে এই বুষ্টিং এর কাজটি তারা করায়, তারা সঠিকভাবে করতে পারে না। ফলে তারা বুস্টিং এর জন্য যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করে সে পরিমাণ টাকা তারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারে না।
তাই আপনি ফেসবুক বুস্টিং এ কাজটি করে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন। তাছাড়া আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন।
ছবি বিক্রি
আপনার যদি একটি খুবই ভালো মানের মোবাইল থাকে এবং মোবাইলের ক্যামেরা টি খুবি হাই রেজুল্যুশনের হয় তাহলে, এই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ভালো মানের ফটোগ্রাফার হতে হবে। অনলাইনে এরকম ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে ছবি বিক্রি করা যায়। তাছাড়া ছবি তোলা যদি আপনার শখের কাজ হয়, এই ছবি দিয়ে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি কন্টেস্টেও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
ডেলিভারি সার্ভিস
আমাদের দেশে অনেক ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে। অনলাইনে খাবারের ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন আরও অনেক রকমের ব্যবসা আছে, যেগুলোতে মানুষের কাছে হোম ডেলিভারি বা তাদের হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে হয়। এজন্য তাদের ডেলিভারি ম্যান এর প্রয়োজন। তাহলে আপনি তাদের অ্যাপ ডাউনলোড করে ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজ টি করতে পারেন।
আপনি চাইলে গ্রাম এলাকায় কোনই কমার্স বিজনেস ডেলিভারি সার্ভিস দিতে পারেন। কাজ খুবই কম। দেখা যাবে সারাদিনে ৩-৪ঘন্টা কাজ করলেই হয়ে যাবে। এই কাজ টি করে আপনি প্রতিমাসে মোটামুটি ভাল মানের টাকা আয় করতে পারেন। শহরে হলে আপনি বেশ ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। এবং এই কাজ করার জন্য আপনাকে কোন অভিজ্ঞতা বা নতুন কিছু শিখার প্রয়োজন নেই।
ড্রাইভিং (পাঠাও/উবার)
আপনি যদি ড্রাইভিং পারেন তাহলে আপনার মোবাইলে পাঠাও এবং উবারের অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলুন। পাঠাও এবং উবারে ড্রাইভিং করে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আপনার নিজের যদি একটি চার চাকার গাড়ি অথবা মোটরসাইকেল থাকে তাহলে এটি ব্যবহার করে আপনি রাইড শেয়ারিং করে প্রতিদিন ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Conclusion
আমি আশা করছি যে, আপনি এই পোষ্ট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। আপনার কাছে কোন কাজটি বেশি ভাল লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান। আমাদের কাছে পরামর্শ নিতে অথবা যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
ফেসবুক এর মাধ্যমে এবং ডেলিভারি এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চাই
বাংলাদেশে বেশ ভালো মানের কিছু ডেলিভারি সার্ভিস আছে, যেমন Redx তাদের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।
Vary halpe full..
Yes…
খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট