সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, শানে নুযুল ও ফজিলত

সূরা ফালাক (আরবি: سورة الفلق) কুরআন মাজিদের ১১৩তম সূরা। এটি একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী সূরা, যা মানুষের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে শেখায়। নিচে সূরা ফালাকের বাংলা উচ্চারণ, অর্থ এবং তাৎপর্য দেওয়া হলো:
Contents
সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
(পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।)
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক।
(বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি ভোরের রবের।)
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
মিন শাররি মা খালাক।
(তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে।)
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
ওয়া মিন শাররি গাসিকিন ইজা ওয়াকাব।
(অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়।)
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
ওয়া মিন শাররিন নাফফাসাতি ফিল উকাদ।
(গ্রন্থিতে ফুঁক দেয়াদের অনিষ্ট থেকে।)
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।
(অসূয়াকারীর অনিষ্ট থেকে, যখন সে অসূয়া করে।)
সূরা ফালাকের বাংলা অর্থ
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম: পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
- কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক: বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি ভোরের রবের।
- মিন শাররি মা খালাক: তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে।
- ওয়া মিন শাররি গাসিকিন ইজা ওয়াকাব: অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়।
- ওয়া মিন শাররিন নাফফাসাতি ফিল উকাদ: গ্রন্থিতে ফুঁক দেয়াদের অনিষ্ট থেকে।
- ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ: অসূয়াকারীর অনিষ্ট থেকে, যখন সে অসূয়া করে।
সূরা ফালাকের তাৎপর্য
সূরা ফালাক মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী দুআ, যা সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে। এটি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর:
- জাদু-টোনা থেকে সুরক্ষা: গ্রন্থিতে ফুঁক দেয়াদের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়।
- অসূয়া থেকে সুরক্ষা: হিংসুকদের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়।
- অন্ধকারের ভয় থেকে সুরক্ষা: অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়।
সূরা ফালাক পাঠের ফজিলত
- সুরক্ষা: রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করতেন এবং উম্মতকেও তা করতে বলেছেন।
- জাদু-টোনা থেকে মুক্তি: এই সূরা জাদু-টোনা ও নেগেটিভ শক্তির বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার।
- আধ্যাত্মিক প্রশান্তি: সূরা ফালাক পাঠে মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা অনুভূত হয়।
কখন সূরা ফালাক পড়বেন?
- সকাল-সন্ধ্যায়: প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়ুন।
- ঘুমানোর আগে: ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে ফুঁক দিন।
- অনিষ্টের আশঙ্কায়: কোনো অনিষ্টের আশঙ্কা থাকলে এই সূরা পাঠ করুন।
শেষ কথা
সূরা ফালাক একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সূরা, যা মানুষের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে শেখায়। নিয়মিত এই সূরা পাঠ করে আপনি নিজেকে ও আপনার পরিবারকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
আপনার যদি সূরা ফালাক সম্পর্কে আরও কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকে, তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না!
আরো পড়ুনঃ