ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ২০২৩

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল ফ্রিল্যান্সিং। অনলাইনে ইনকাম করা যায় এই বিষয়টি ২০২৩ সালে এসে আর কারো কাছেই অজানা নয়।

অনলাইনে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে তার মধ্যে একটি হলো ফ্রিল্যান্সিং। আজকের পোস্টে আপনারা জানবেন ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ, ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়, কিভাবে কাজ পাবেন এবং কিভাবে মাসে অন্তত ১০০০ ডলার আয় করবেন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে এই পোস্টে জানতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি? What is Freelancing

ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা হল এমন কোন কাজ যা আপনি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে আপনার ইচ্ছামত করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করাকে বুঝায়। আপনি অনলাইনের যেসব কাজে দক্ষ, সেসব কাজ অনলাইনে করে দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। এককথায়, আপনার অনলাইন কাজের দক্ষতা অনলাইনে বিক্রি করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

তাহলে ফ্রিলান্সিং শুরু করতে প্রথমেই আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে ফ্রিলান্সিং কি এই বিষয়ের উপর। আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন ফ্রিলান্সিং কাজ টা আসলে কি। আমি এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি মূলত ঘরে বসে দেশের বাইরে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবেন। আপনি অনলাইনে কাজ পাবেন আর অনলাইনেই কাজ করে জমা দিয়ে আপনার প্রাপ্য টাকা বুঝে নিবেন।

ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেয়ে থাকে। তাছাড়া মার্কেটপ্লেসের বাইরেও বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ পেয়ে থাকে। মার্কেটপ্লেসে আপনাকে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে অথবা আপনাকে কাজের দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও সাজিয়ে রাখতে হবে। মার্কেটপ্লেসে দুই ধরণের মানুষ থাকে। এক, যারা কাজ করবে বা স্কিল বিক্রি করবে। দুই, যারা আপনাকে কাজ দিবে বা আপনার স্কিল কিনে নিবে।

মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখে, যেখানে আপনাকে যারা কাজ দিবে তারা আপনাকে খুঁজে বের করবে। তাছাড়া সোস্যাল সাইট যেমন, ফেসবুক, লিঙ্কডইন, পিন্টারেষ্ট, ইন্সতাগ্রাম, রেডিট ইত্যাদি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তারা প্রোফাইল তৈরি করে রাখে এবং যারা কাজ দেয় তাদের সাথে কানেক্ট হয়। এসব সাইটে কাজ করানোর জন্য যখন কেও লোক খুঁজে তখন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে। আবার আপনার প্রোফাইল ভিজিট করে তারা আপনাকে কাজ দেয়ার জন্য যোগাযোগ করে।

ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং

যারা আপনাকে কাজ দিবে তারা হচ্ছে আপনার ক্লায়েন্ট। মার্কেটপ্লেসে একজন ক্লায়েন্ট যখন কাজ দেয়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তখন আপনি তার সাথে কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবেন যে আপনার কাজের বিনিময়ে সে আপনাকে কত টাকা দিবে। অর্ডার কনফার্ম করার সাথে সাথে মার্কেটপ্লেসে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যাবে এবং আপনার কাজ কমপ্লিট হবার সাথে সাথেই আপনি টাকা পেয়ে যাবেন।

মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করতে গেলে অনেক সময় দেখা যায় আপনি এমন ক্লায়েন্ট পাবেন যে আপনার কাজ জমা দেয়ার পর সে আপনাকে টাকা দিতে চাচ্ছে না। যদিও এটা খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এখানে আপনি কোন অভিযোগ করার সুযোগ পাবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেটপ্লেসেই বেশি কাজ করে থাকে।

মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে আপনার পেমেন্ট থেকে সামান্য কিছু টাকা তারা কেটে নিবে। মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করলে আপনার কাছ থেকে কোন টাকা কেটে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এজন্য মার্কেটপ্লেসের বাইরে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল আপনার স্কিল। আপনার কাজের স্কিল ভালো থাকলো যোকোন জায়গায় হোক আপনাকে কখনো টাকার পিছনে ছুটতে হবে না। টাকা আপনার কাছে অটোমেটিক ধরা দিবে।

ছাত্রদের অনলাইনে আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং খুবই ভাল একটি মাধ্যম। পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার জন্য তারা বেশ কিছু কাজ শিখে নিতে পারে যেমন, ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম, ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম, কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় এবং ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে হয়

এই কাজ গুলো শিখলে ফাইভার সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ পাওয়া যাবে। এগুলো আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ। ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এগুলো আপনাকে খুব বেশি হেল্প করবে। তাই আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এগুলো এখনই শিখে ফেলুন।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, অনলাইন কর্মী সরবরাহে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এখানে নিয়মিত কাজ করছে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার। আর মোট নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সররা ১০ কোটি ডলার আয় করে থাকেন। একেক দেশ একেক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এই পেশা নিয়ে কাজ করছে। যেমন ভারতীয় ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। আর বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা মূলত সেলস ও মার্কেটিং সেবায় পারদর্শী। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪ কোটি ৪০ লাখ তরুণদের প্রতি ১০ জনের একজন বেকার।

প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় পেরোনো হাজার হাজার শিক্ষার্থী মনের মতো চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে আছেন। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে খুব সহজেই আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এতে করে তারা শুধু নিজের জীবিকাই নিশ্চিত করবে না, বরং দেশে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও আনতে সক্ষম হবে যা ‘নতুন বাংলাদেশ’র অর্থনৈতিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এতক্ষণ আমরা ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম এখন আমাদের জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নিই,

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

অসংখ্য কাজ আছে যেগুলো শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তবে সব কাজই আপনাকে অনলাইনে করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা লিচে দেয়া হল

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ৫ টি কাজঃ

উপরের শেষ তিনটি কে এক কথায় বলে ডিজিটাল মার্কেটিং। এবং এর কাজ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং করে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করছে।

অনেক ধরনের ফ্রিলান্সিং জব আমরা করতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় তার মধ্যে কিছু নিচে উল্লেখ করা হল-

  • 3D Artist
  • Academic Writer
  • Accountant
  • Advertising Copywriter
  • App Developer
  • Architect
  • Article Writer
  • Blog Writer
  • Book Designer
  • Book Editor
  • Bookkeeper
  • Business Analyst
  • Business Writer
  • C Programmer
  • CAD Designer
  • Comic Artist
  • Commercial Writer
  • Computer Programmer
  • Concept Artist
  • Copyeditor
  • Copywriter
  • Creative Director
  • Drupal, PHP, WordPress Developer
  • Electrical Engineer
  • Fashion Designer
  • Fashion Stylist
  • Fiction Editor
  • Film Editor
  • Flash Designer
  • Game Developer
  • Grant Writer
  • Graphic Designer
  • Interior Designer
  • Interpreter
  • IT Consultant
  • Legal Writer
  • Logo Designer
  • Magazine Writer
  • Marketing Consultant
  • Media Buyer
  • Medical Editor
  • Medical Transcription
  • Motion Graphics
  • Personal Assistant
  • Photo Editor
  • Product Designer
  • Project Manager
  • Public Relations
  • Science Writer
  • SEO Consultant
  • Software Developer
  • Sports Writer
  • Tech Support
  • Textile Designer
  • Video Editor
  • Virtual Assistant
  • Visual Merchandiser
  • Web Designer/Developer

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় এ বিষয়ে আরো অনেক তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। প্র্যাকটিক্যাল টিউটোরিয়াল সহ, যা আপনাকে শিখতে সাহায্য করবে। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় এবং গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আছে যা আপনার কাজে লাগবে। এগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে দেখে নিন। তাছাড়া অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে আমার গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি অবশ্যই পড়ুন।

আমার মতে ফ্রিল্যান্সিং এ যেসব কাজ করা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো গ্রাফিক ডিজাইন। আমাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রফেশনাল কোর্স দেওয়া আছে, যা আপনি ফ্রি ডাউনলোড করে কাজ শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য এই কোর্স টি আপনার জন্য যথেষ্ট। ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি যে কোন কাজ করেন না কেন, আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইন জানতে হবে। যদি না পারেন, বেসিক টা অন্তত শিখে ফেলেন।

কে বা কারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে?

“One of the biggest misconceptions about freelancing is that you sit at home and work comes to you. When the reality is you have to fight for it and fight hard.”

First deserve, then desire

অর্থাৎ প্রথমে উপযুক্ত হও, তারপরে আশা কর। “Learn, Learn, and Learn then Earn.” ভালভাবে কাজ না শিখে যদি মার্কেটপ্লেসে যান তাহলে আপনাকে একেবারে সব হারাতে হবে। কারণ একবার যদি কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে নেগেটিভ ফিডব্যাক দেয় তাহলে অন্য কেউ আর আপনাকে কাজ দিবে না।

অতএব আপনার যদি শিখার মানষিকতা থাকে তাহলেই আপনি ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

এবার আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং করার চারটি পূর্ব শর্ত কি কি?

  • নিজস্ব ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
  • একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন
  • মিনিমাম ইংলিশ কমিউনিকেশন ল্যাংগুয়েজ
  • আপনার অনলাইন প্রেজেন্স (ওয়েবসাইট, সোস্যাল প্রোফাইল)

ফ্রিলান্সার হতে হলে যা যা করণীয়ঃ

  • ফ্রিলান্সিং করার জন্য আপনি যেকোন একটি বিষয় ঠিক করুন।
  • প্রথমে আপনাকে ভালভাবে শিখতে হবে ও দক্ষ হতে হবে।
  • ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে ভালো নলেজ থাকতে হবে।
  • ফ্রিলান্সিং বিষয়ক বেসিক ও ইন্টারমিডিয়েট কোর্স সম্পর্কে প্রথমে জানতে হবে।
  • অবশ্যই আপনার নিজস্ব ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
  • অনলাইনে আপনার প্রোফাইল থাকতে হবে
  • মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে গেলে মনে রাখবেন “ Do not piss people off. Remember that you’re a professional and are soon to be leader of your own company. Act like it.” The best piece of advice I ever received was simple in theory and tough in practice
  • মিনিমাম স্ট্যন্ডার্ড লেভেলে ইংলিশ জানতে হবে।
  • একজন ফ্রিলান্সারকে সবসময় রিসার্চ করতে হবে
  • সর্বদা নিজেকে আপডেট রাখতে হবে ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন কাজ শিখতে হবে।
  • যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন আগে তার টার্মস এন্ড কন্ডিশন্স ভালভাবে জেনে নিবেন
  • মার্কেটপ্লেসে অন্যান্য ফ্রিলান্সার কিভাবে কাজ করছে বা তাদের কাজের স্ট্যন্ডার্ড ফলো করতে হবে।

নিস বাছাই

আপনি একজন মানুষের দ্বারা অনেক বেশি কাজ শিখাও সম্ভব না আবার করাও সম্ভব না। তাই আপনাকে একটি স্পেসিফিক বিষয় নির্বাচন করতে হবে। ওই একটি বিষয়ের সাথে রিলেটেড কিছু বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। তবে আপনাকে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের দিকেই ফোকাস করতে হবে।

মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টি খুব বেশি কম্পিটিটিভ। এইখানে টিকে থাকতে হলে আপনাকে যথেষ্ট এক্সপার্ট হতে হবে। সব দিকে দৌড় দিলে চলবে না। এমন কোন নিস বাছাই করুন যে বিষয়ে আপনি খুব সহজে রিসোর্স পাবেন, কাজ শিখতে পারবেন এবং সবসময় আপনার ইন্টারেস্ট থাকবে।

ইংরেজিতে দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য ইংরেজিতে আপনার ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। মোটামুটি হলে চলবে না। কেননা আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্টের সাথে কনভারসেশন করবেন তখন আপনাকে ইংরেজিতে ই করতে হবে। ক্লায়েন্ট কে আপনার বুঝাতে হবে যে আপনি কাজে এক্সপার্ট।

অনেক সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে অনেক বেশি প্রশ্ন করবে, ইংরেজিতে দক্ষতা ভাল না থাকলে আপনি উত্তর দিতে পারবেন না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ক্লায়েন্ট আপনার সাথে জুম এ অথবা ভিডিও কলে কথা বলতে চাইবে। তখন আপনি কথা বলতে না পারলে কাজ পাবেন না।

আপনি কাজ শিখার পাশাপাশি নিয়মিত ইংরেজি প্র্যাকটিস করুন। তেমন কোন কঠিন বিষয় না। খুব বেশিদিন সময় ও লাগবে না। এজন্য আপনার প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম। মনে রাখবেন, একবার যদি শিখে নেন তাহলে এটি আপনার সারাজীবন কাজে লাগবে।

মিসগাইড হবেন না

পুরো পোস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং সবসময় কথাগুলো মাথায় রাখার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইনে ইনকামের প্রতি লোভ দেখিয়ে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ঠকানো হচ্ছে। আপনি কোন প্রতারকের কাছে ধরা দিচ্ছেন না তো?

খুব সতর্ক থাকতে হবে। আরেকটা বিষয় হলো ফ্রি তে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। প্রচুর ব্লগ এবং ইউটিউবে ভিডিও পাবেন। এগুলো থেকে কিছু শিখতে যাবার আগে খুব সতর্কতার সাথে যাচাই বাছাই করে নিতে হবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন সব রিসোর্স পাবেন, তারা আপনাকে শিখাচ্ছে, অথচ তারা নিজেরাই কিচ্ছু পারে না। অনেক গাইডলাইন পাবেন ফ্রিতে, সবকিছু নেওয়া যাবে না। নিজের বিবেক দিয়েও বিচার করতে পারবেন না আপনি মিসগাইড হচ্ছেন কি না। তাই আপনি যার কাছ থেকে গাইডলাইন নিবেন তাকে ভালোভাবে যাচাই করে দেখুন, সে আসলে কতটুকু এক্সপার্ট। আপনাকে কি আসলেই হেল্প করতে চাইছে, নাকি ফাঁদে ফেলতে চাইছে?

Conclusion

তাহলে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন। পরবর্তী পোস্টে থাকবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য দুনিয়ার সব থেকে বড় গাইডলাইন। আমাদের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আছে এগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য শপ্নিকে সব রকমের সাপোর্ট পাবেন। আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন লাগে?

প্রায় সবার কাছ থেকেই আমি এ প্রশ্নটি পেয়েছি, এর উত্তর এক কথায় দেওয়া মুশকিল। ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোন একটি কাজ শিখতে কতদিন লাগে, আপনার পছন্দের কাজ টি সম্পর্কে প্রশ্ন করুন তাহলে খুব সহজে উত্তর পাবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং মানেই শিখার দুনিয়া। এখানে আপনি যতদিন থাকবেন আজীবন শিখতে হবে। মোটামুটি ইনকাম করার মত দক্ষতা আর্জন করার জন্য কোন একটি কাজ কমপক্ষে ৬মাস মনোযোগ দিয়ে শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

প্রতিমাসে কমপক্ষে ১লাখ টাকার নিচে আপনার ইনকাম হলে নিজের ইনকাম টা খুব সামান্য মনে হবে, যখন আপনার আর্নিং আসা শুরু করবে। ধৈর্য ধরে কাজ শিখতে থাকুন, ফ্রিল্যান্সার দের ইনকামের এমাউন্ট এত বেশি দেখে অবাক হবার কিছু নেই।

নতুন অবস্থায় আমার কোন কাজটি শিখা উচিৎ?

যদি আমার উপর আপনার পূর্ণ বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে আপনার জার্নি শুরু করুন। কেননা আপনি খুব অল্প সময়ে ব্যাসিক গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ফেলতে পারবেন, যা আপনার নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করতে লাগবে। আমাদের একটি সম্পূর্ণ ফ্রি গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সের ভিডিও দেয়া আছে, কমপ্লিট ইনকাম গাইডলাইন সহ এটি দিয়ে শুরু করুন। আপনি চাইলেই এই কোর্স করে ৩মাসের মধ্যে নিজেকে একজন এক্সপার্ট এবং প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে প্রমান করতে পারবেন।

আপনার যদি নিম্ন গতির ইন্টারনেট অথবা লো কনফিগারেশন কম্পিউটার হয়, তাহলেও আপনি গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে পারবেন। আর আপনার যেকোন সমস্যায় আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন। নিচে আমি কোর্সের লিংক দিয়েছি, এই ভিডিও গুলো আপনার সুবিধার্থে ইউটিউবেও আপলোড করেছি।

4.9/5 - (223 votes)

37 Comments

  1. সত্যি কথা বলতে গেলে যা বলতে হয়, তা হলো: গত বছর দুয়েক ধরে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক পড়াশোনা, পরামর্শ ইত্যাদি নিয়ে যতোই দিন অতিবাহিত করেছি, তাতে আজকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী পরামর্শ পাইনি। আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ভাই!

    1. আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ আমাদের কাছে আরো দরকারি এবং আপনার জন্য গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন।

  2. আমি করতে চাই ফ্রিলান্সিং,,,,,, plz help me,,,

    1. আমরা আপনার শিখার আগ্রহ কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আপনার যদি একটি laptop/Desktop Computer এবং নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/notekhatablog এ মেসেজ দিন। অথবা আমাদের ওয়েবসাইটে গ্রাফিক ডিজাইন এবংএসইও বাংলা টিউটোরিয়াল কমপ্লিট কোর্স দেয়া আছে, যা সম্পূর্ণ ফ্রি। অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে কোর্স গুলো আপনার জন্য যথেষ্ট। ধন্যবাদ।

  3. ভাই আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন নতুন শিখেছি। আমি প্রথম অবস্থায় কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবো?

    1. freelancer.com এ কন্টেস্ট করুন, নিজের স্কিল আরো বাড়ানোর জন্য। আপনার কিছু ডিজাইন আমাদের দেখাতে পারেন, আমাদের ডিজাইনার প্রয়োজন, ফেসবুক পেজ লিঙ্ক https://www.facebook.com/notekhatablog/ ধন্যবাদ।

  4. নোটখাতা কে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্ট টি করার জন্য। অনেক কিছু খুব সুন্দর ভাবে বুঝিছেন। বিশেষকরে যারা ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে করতে হয়, কাজ কি কি? এসব নিয়ে ভাবছেন তাদের জন্য এই পোস্ট টি অনেক উপকারে আসবে। খুবই তথ্য বহুল আলোচনা।

  5. সুন্দর গাইডলাইনস্ ও পরামর্শের জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর ও গোছালো পোস্ট;

  6. আসসালামু ‍আলাইকুম,
    আলহামদুলিল্লাহ,আপনার পোষ্ট দেখে ‍আমি অনেকটাই উপকৃত হয়েছি।
    আমি কাজটি করতে চাই । তবে আমি ইংরেজিতে কথা বলার ‍আমার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে,
    এখন এর জন্য কি কোনো ভাবে সাহায্য করিতে পারবেন কি ?

  7. Thanks A Lots For This Valuable Information About Freelancing.
    By Reading And Knowing Few Days About Outsource And Freelance I Decide To Know About ‘mobile Apps Develobment’ . Now Honourbly Requesting To NOTKATHA,How i can improve this?

    1. আপনাকে এন্ড্রয়েড শিখতে হবে খুব ভালো করে। এজন্য কমপক্ষে একবছর সময় নিন। ইনশাআল্লাহ সফল হবেন। যেকোন সাপোর্ট প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

  8. ভাইয়া আমি ইংলিশে একেবারেই ভালোনা। পড়ালেখার জুজ্ঞতাও নেই।তো আমাকে জামাল ভাই আসা দিয়েছে ১মাসে সফল করে দিবে।
    তবে ১২৫০০ টাকা লাগবে।

    1. আপনার এই বিষয়ের প্রতি আগ্রহকে আমি স্বাগতম জানাই। আপনাকে একটু সহজ ভাষায় বুঝানোর জন্য বলছি, নিশ্চয়ই আপনি দর্জি দেখেছেন, যারা সেলাই কাজ করে। ফ্রিল্যান্সিং টা কে ও আপনার ওই সেলাই কাজের সাথে তুলনা করতে হবে। আপনি একজন দর্জির কাছে বসে থাকুন, দেখুন টাকা ইনকাম করার জন্য তার কি কি কাজ করতে হচ্ছে। কোন কোন কাজে সে এক্সপার্ট। তার মত টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কতটুকু দক্ষতা এবং কি কি জিনিস দরকার হবে তা বুঝতে পারবেন। এবার ভাবুন আপনি একজন দর্জির কাছে কাজ শিখছেন, যে নিজে কাপড় বানায় না কিন্তু জানে কাপড় কিভাবে বানাতে হয়।
      তারপর ভাবুন, আপনি সেলাই শিখবেন নাকি, কাপড় কাটা, টুকিটাকি কাজ বা অন্য কিছু। আপনি চাইলে একজন এক্সপার্ট দর্জি ও হতে পারবেন, অথবা ডিজাইন, কাপড় কাটা বা সেলাই স্পেশালিষ্ট হতে পারবেন। আপনি কোনটা পারবেন, আর কোনটা পারবেন না সেটা যদি কোন দর্জি বা সেলাই কারিগরের বলা কথার উপর নির্ভর করে, তাহলে আপনাকে নিজের হাতে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
      আশা করি উত্তর টা পেয়েছেন। ধন্যবাদ।

  9. অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন,, আর আমি অনেক কিছু ধারনা নিতে পারলাম,, অনেক অনেক ধন্যবাদ

    1. আলহামদুলিল্লাহ। অনেক বড় লিখা তারপরও পড়লাম। ভালো লাগলো এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম।
      ধন্যবাদ আপনাদের।

  10. ভাইয় কাজটা শেখার জন্য আমাকে প্রথমে কি করতে হবে

    1. কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট চালনায় নিজেকে সুদক্ষ করে তুলুন।

  11. এর মানে কি ভাইয়া একটু বলবেন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সুদক্ষ বলতে আমাকে কি শিখতে হবে

  12. অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য। আপনার ব্লগটিতে এরম আর উৎকৃষ্ট মানের পোস্ট পাব এই আশা করলাম।

  13. অনেক কিছু শিখলাম আপনার এই ব্লগ থেকে, জাযাকাল্লাহু খইরান ভাই…

    1. আমার ব্লগটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

  14. যদি সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই কাজ করেন, তাহলে আপনি ৮-১০ ঘন্টা অথবা এর বেশি সময় ব্যয় করেও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন না। তবে হ্যা শিখতে পারবেন অনেক কিছু, পাশাপাশি এর সাথে একটি বর্তমান সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয় জড়িত, আর সেটা হল স্মার্ট ওয়ার্ক।

  15. দির্ঘী সময় ধরে আপনার দেওয়া পোষ্টে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে সফল হওয়া যায় সেই বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এই রকম একটি পোষ্ট পাবলিশ করার জন্য।

  16. ভাই আমার ভালো ল্যাপটপের মডেল এবং দাম সম্পর্কে ধারণা লাগতো। আর আপনাদের সরাসরি হাতে-কলমে শিখানোর মতো কোন ব্যাচ আছেকিনা জানালে উপকৃত হতাম। আমি সরাসরি হাতে-কলমে শিখতে চাই কোন কোর্স বা ব্যাচ এ

    1. আপনি আপনার পছন্দের কোন একটি কাজ বাছাই করুন এবং গুগল সার্চ করে নিজেই শিখতে থাকুন। আমরা কখনোই কাউকে কোর্স করতে সাজেস্ট করি না। কিছু টাকার অপচয় ছাড়া কোর্স করে কিছুই হবেনা। যদি অনলাইনে কাজ করে উপার্জন করতে চান তাহলে ল্যাপটপ নয়, ডেক্সটপ কম্পিউটার কিনুন। একটি ভালোমানের কম্পিউটারের জন্য কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা বাজেট রাখুন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button