অনলাইন আর্নিং

গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়

গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় এটা আমাদের অনেকেরই জানা। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে গেম খেলে টাকা ইনকাম করব। আপনার যদি ভাল গেম খেলার দক্ষতা থাকে ও বিশেষ কিছু বিষয়ে জ্ঞ্যান থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকে আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং আপনাকে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন দিব।

গেম খেলে টাকা ইনকাম

আপনি হয়ত দেখেছেন মানুষ গেমের প্রতি কতটা আসক্ত। এমনকি আপনি নিজেও দিনের অনেকটা সময় মোবাইলে গেম খেলে কাটিয়ে দেন। কিন্তু কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন জীবনের কত গুরুত্বপূর্ণ সময় গেম খেলে নষ্ট করে দিচ্ছেন! আপনি যদি এটা চিন্তা করে থাকেন যে গেম খেলে টাকা ইনকাম করবেন তাহলে আপনার সিদ্ধান্তটি ভাল। তার মানে এই না যে আপনি টাকা ইনকাম করার জন্য পুরুপুরিভাবে গেমের উপর নির্ভরশীল হবেন।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে টাকা ইনকাম করা কতটা কঠিন। যদি কোন সাধারণ চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন, প্রতিদিন ৮-১২ঘন্টা ডিউটি করার পর মাস শেষে বিষ হাজার টাকা আশা করা কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি বিষ হাজার বা এর বেশি টাকা ইনকাম করেন, তাহলে আপনার বর্তমান অবস্থানে আসতে আপনার কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে তা আপনার থেকে ভাল আর কেও জানে না। আর আপনি এখন ভাবছেন ঘরে বসে মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করবেন, তাহলে একবার চিন্তা করুন আপনাকে কতটা দক্ষ ও কৌশলী হতে হবে!

আমরা সাধারণত মনের খোরাক মেটাতে ও অবশর সময়টা আনন্দে কাটাতে মোবাইলে গেম খেলে থাকি। একসময় এই গেমের প্রতি আপনি আসক্ত হয়ে যান। কখনো এরকম আসক্তি আপনার জন্য ভাল কিছু আনবে না। হয়ত মোবাইলের গেমের প্রতি আসক্তি আপনার জীবনটাই নষ্ট করে দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ১৫-৩০বছর বয়সী মানুষদের গেমের প্রতি আসক্তি অনেক বেশি। তাই আপনি সবসময় কড়া নজর রাখুন আপনার সন্তান বা আপনার ছোটভাই গেম খেলে তার গুরুত্বপূর্ণ সময়টা নষ্ট করছে না ত!

আমি জানি আপনি গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে এসেছেন। অবশ্যই আপনার সব প্রশ্নের সমাধান পাবেন এবং পরিপূর্ণ গাইডলাইন পাবেন। আমি মুল কথার বাইরে প্রথমেই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কিছু সতর্ক বার্তা দিলাম। এবার আসুন মূল বিষয়ে।

কিভাবে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়?

আমি আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে গেম খেলায় কতটা দক্ষ হতে হবে। আমি আপনাকে বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে ধাপে ধাপে বলব এবং সব শেষে জানবেন আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এইটুকু জেনে রাখুন কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। অবশ্যই যা আশা করছেন তার থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমি কোন বিশেষ গেমের কথা বলছি না। যে কোন গেম যা আপনি খেলেন ও পছন্দ করেন, এই উপায়গুলো জানলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব

আপনি যেকোন গেম খেলেন না কেন তার ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করুন। যারা গেম খেলে তারা সবাই ওই গেমের কোন ভিডিও ইউটিউবে পেলে অবশ্যই ভিডিওটি অন্তত একবার দেখে। গেমের বিশেষ কিছু মূহুর্ত, আকর্ষনীয় ঘটনা অথবা এমন কোন অংশ যেসব জায়গায় মানুষ আটকে যায় এমন সব জিনিশ আপনি ভিডিও রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।

এজন্য আপনাকে গেম খেলার সময় মোবাইলের স্ক্রিন রেকর্ডার অন করে নিতে হবে। যদি পিসিতে খেলেন তাহলে পিসিতে স্ক্রিন রেকর্ডার অন করে নিন। আপনার ভিডিওটি রেকর্ড করে হলে এটি ইডিট করে আকর্ষনীয় করে তুলুন। অথবা, ভিডিও ইডিট করতে না পারলে আপনার গেমের বিশেষ মুহুর্তের ভিডিও রেকর্ড করে আপলোড করে দিতে পারেন। অবশ্যই আপনার ভিডিওর একটি সুন্দর এবং আই ক্যাচি টাইটেল দিবেন।

আপনি যখন ইউটিউবে একটি গেমের ভিডিও নিয়মিত আপলোড করতে থাকবেন একসময় দেখা যাবে ওই গেমে আর এমন কিছু নাই যে নতুন করে ভিডিও দিবেন। তারপর যদি বসে থাকেন তাহলে আর ইনকামের আশা করা যাবে না। তখন আপনাকে নতুন কোন গেম নিয়ে ভিডিও দেয়া শুরু করতে হবে। এইজন্য আপনার চ্যানেলটি এমনভাবে তৈরি করুন যাতে সব গেমের ভিডিও আপলোড করতে পারেন। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে একটি পরিপূর্ণ টিউটোরিয়াল আছে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম নিয়ে, যা আপনার অবশ্যই পড়ে নেয়া উচিৎ। ওই পোস্টে আপনি আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।

আপনি যখন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে থাকবেন আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিওয়ার বারতে থাকবে। আরো দ্রুত বাড়ানোর জন্য আপনাকে লাইভ শেয়ার, ফেসবুক ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে। এজন্য আপনার গ্রুপ তৈরি করে নিলে সুবিধা হবে। যারা আপনার ভিডিও গুলো দেখবে তারা হয় আনন্দ পাবার জন্য দেখবে না হয় শিখার জন্য। তাই ভিডিও তৈরি করার সময় আপনার ভিওয়ার দের ইন্টারেস্টের প্রতি মনোযোগ দিন।

আপনি যখন এইভাবে কাজ করে যাবেন একসময় আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে পারবেন। তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তখন আপনি নিজেই টাকা িনকাম করার অনেক উপায় পেয়ে যাবেন, যা আর আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল আরো বেশি গ্রো করতে ইউটিউব ভিডিও এসইও করা শিখে নিবেন। শুধুমাত্র ইউটিউব নয়, আপনি চাইলে ফেসবুকেও টাকা আয় করতে পারবেন। এই বিষয়ে আমাদের কমপ্লিট গাইডলান দেয়া আছে।

গেম টিক্স / রিভিও ব্লগিং

আপনি যেসব গেম খেলেন সেসব গেমের রিভিও ব্লগ লিখে টাকা আয় করতে পারেন। প্রতিটি গেমের বিভিন্ন বিষয়ে গুগলে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ সার্চ করে। আপনি দেখবেন আপনার গেমের কোন বিষয়ে গুগলে সার্চ করে, অনেক ওয়েবসাইট পাবেন। এখানে আপনি চাইলে আপনার তৈরি করা একটি ওয়েবসাইট নিয়ে আসতে পারেন।

আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন গেমের রিভিও লিখতে পারেন। রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন গেমের ভালো খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। কারণ আপনার ব্লগে গেম এর ভালো ও মন্দ দিকগুলো লেখার মাধ্যমে ফুঠিয়ে তুলতে হবে। অথবা বিভিন্ন গেমের ট্রিক্স এবং টিপস শেয়ার করতে পারেন।

গেমিং ওয়েবসাইটগুলোতে হিউজ পরিমানে ট্রাফিক থাকে। তাই আপনি যদি গেমিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এই কাজটি সহজ হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকতে হবে। কারণ গেমের রিভিউ সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে না পারলে ভিজিটর রা আপনার রিভিউ পড়তে চাইবে না।

এক্ষেত্রেও আপনি একটা বা দুইটা গেম সম্পর্কে ব্লগিং করে তেমন ভাল ইনকাম করতে পারবেন না। আপনাকে বিভিন্ন গেম সম্পর্কে নিয়মিত লিখতে হবে। আপনার ব্লগে মোটামুটি ১০টি পোস্ট হলে আপনার ওয়েবসাইট মনিটাইজ করতে পারবেন। তখন গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে ব্লগিং শিখতে হবে। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাবেন। কিভাবে ব্লগিং করবেন এবং ব্লগিং করে কিভাবে আয় করবেন। এসব বিষয় অবশ্যই দেখে নিবেন। আর ব্লগিং বিষয়ে যেকোন সাপোর্ট এর জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

গেমের পেইড ফিচার কেনা/ বেচা

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন প্রতিটি গেমেরই একটা কমার্শিয়াল উদ্দেশ্য থাকে। যারা গেম গুলো তৈরি করে তারা মূলত টাকা ইনকাম করার জন্যই তৈরি করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গেমটি খেলতে হলে আপনাকে এটি কিনে নিতে হবে। আর বেশিরভাগ গেম ফ্রি খেলা যায় কিন্তু তাদের অনেক ফিচার থাকে যেগুলো আপনাকে কিনে নিতে হয়।

তাই যারা গেম খেলে তাদের এসব ফিচার কেনা প্রয়োজন। হয়ত আপনি নিজেও অনেক গেমের ফিচার টাকা দিয়ে কিনে খেলেছেন। এই ফিচারগুলো ডলার দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু সবার কাছে ডলার না থাকায় তারা চাইলেও এগুলো কিনে নিতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে ফিচার গুলো কিনে দিতে পারেন। এজন্য ডলারের রেগুলার প্রাইস থেকে একটু বেশি দাম নিয়ে আপনি লাভবান হবেন। তাছাড়া আপনি গেমিং কোম্পানি থেকে স্পন্সরশীপ নিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যে গেমের ফিচার বিক্রি করেন এগুলো মানুষকে জানাবেন কিভাবে? দেখুন এর আগে আপনাকে ইউটিউব এবং ব্লগিং এর কথা বলেছি। আপনার ভিডিওর শেষে বা ব্লগ পোস্টে যদি আপনি আপনার ভিজিটরদের বলে দেন যে আপনি এগুলো সেল করেন, তাহলে তারা কিন্তু আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। যদি আপনি ইউটিউবে বা ব্লগিং না করেন তাহলে আপনাকে ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে। এইজন্য একটা গ্রুপ খুলে নিতে পারেন।

এতক্ষণ আপনাদের সাথে যা আলোচনা করলাম এগুলো ছাড়াও আপনি গেমিং টুর্ণামেন্ট খেলে ও গেম টেস্টার হয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। গেমিং টুর্ণামেন্ট এরেঞ্জ করার জন্য আপনি বড় কোন কোম্পানি থেকে স্পন্সরশীপ নিতে পারেন। তাছাড়া আরো কিছু উপায় আছে। আমি চেষ্টা করেছি সবচেয়ে সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী উপায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। আপনরা চাইলে আরো কিছু উপায় নিয়ে লিখব। এখন আসুন জেনে নিই আপনি গেম খেলে কত টাকা আয় করতে পারবেন?

গেম খেলে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

উপরের আলোচনায় জানতে পারলেন কিভাবে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি শুধু ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে চান তাহলে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১০০-১০০০ডলার বা তার থেকে আরো অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। আবার যদি ব্লগিং করেন তাহলেও একই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে দুইটা একইসাথে করতে পারবেন। এতে আপনার ইনকামের পরিমাণ আরো বাড়বে। পাশাপাশি আপনি গেমের পেইড ফিচার কেনা বেচা করবেন। যখন আপনার ইনকাম আশা শুরু করবে তখন আরো অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।

আমি আপনাকে প্রথমেই বলেছি যে আপনাকে খুবই দক্ষ হতে হবে টাকা আয় করা জন্য। নিশ্চয়ই এটা বুঝে গেছেন যে শুধুমাত্র ঘরে বসে গেম খেলে টাকা আয় করার সুযোগ নেই। পাশাপাশি আরো কিছু বিষয়ে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনলাইনে ইনকামের যাবতীয় গাইডলাইন আমাদের শপ্নিক ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়। তাই আপনি অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

Conclusion

এই পোস্টে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার বিস্তারিত গাইডলাইন দিয়েছি। আপনি যদি এইভাবে কাজ করেন তাহলে নিশ্চিতভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে ইনকাম করা কোন সহজ বিষয় নয়। এর জন্য আপনার প্রচুর জ্ঞ্যান এবং দক্ষতা প্রয়োজন। যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন না করে কখনো আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে আসবেন না। এতে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হতে পারে।

সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, জীবনে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। আমরা সবসময় আপনাকে শতভাগ সঠিক তথ্য দিয়ে থাকি এবং সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা কখনোই এটা চাই না আপনি অন্যের ইনকাম দেখে লোভে পড়ে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না সে বিষয়টি নিয়ে কাজ না করাই ভাল। এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানান। ধন্যবাদ।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় এবং অনলাইনে ইনকামের যাবতীয় গাইডলাইন আমাদের ওয়েবসাইটে দেখে নিন।

5/5 - (38 votes)

5 Comments

    1. আমাদের গাইডলাইন অনুসরণ করুন। যেকোন হেল্প প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ধন্যবাদ।

    2. যেকোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

  1. আমি এই পৃষ্ঠাতে যতগুলো বর্ণনা রয়েছে, সেগুলো আমি মুখে বলে নোটবুকে নোট করেছি, আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের মূল কথাগুলো উপরে দেওয়া এবং সেগুলো মার্ক করেছি , যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে ।
    w(°ধন্যবাদ আপনাদের কে।°)w
    আপনাদের ওয়েবসাইটে এসে ভালো কিছু শিখতে পারলাম । Good luck to all member! Thank you very much.

    1. We are truly happy that our post helped you, sir. You can also contribute to our blog and fund so that we can make a smooth jourjey.
      Thank you.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button