ইসলাম

সূরা কুরাইশ বাংলা উচ্চারণ সহ, অর্থ ও শানে নুযুল

5/5 - (12 votes)

সূরা কুরাইশ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা কুরাইশ এর আয়াত সংখ্যা ৪টি। সূরা কুরাইশ পবিত্র কুরআনের ১০৬তম সূরা।

সূরা কুরাইশ এর আরবী উচ্চারণ

لِإِيلَٰفِ قُرَيْشٍ
إِۦلَٰفِهِمْ رِحْلَةَ ٱلشِّتَآءِ وَٱلصَّيْفِ
فَلْيَعْبُدُوا۟ رَبَّ هَٰذَا ٱلْبَيْتِ
ٱلَّذِىٓ أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَءَامَنَهُم مِّنْ خَوْفٍۭ

সূরা কুরাইশ এর বাংলা উচ্চারণ

1, লিঈলা-ফি কুরাইশ।
2, ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ।
3, ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত।
4, আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।

সূরা কুরাইশ এর অর্থ

কোরাইশের আসক্তির কারণে, আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফর। অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার, যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।

সূরা কুরাইশ এর শানে নুযুল

সূরা কুরাইশ এর বক্তব্য এই যে, কুরাইশরা যেহেতু শীতকালে ইয়েমেনে ও গ্রীষ্মকালে সিরিয়ায় সফরে অভ্যস্ত ছিলো এবং দুটি সফরের উপর তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো এবং তারা ঐশ্বর্যশালীরুপে পরিচিত ছিলো, তাই আল্লাহ তা’আলা তাদের শত্রু হস্তি বাহীনিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। তাই সকল মানুষের অন্তরে তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়েছে। সুতরাং তাদের উচিত এই ঘর “কাবার” মালিকের ইবাদত করা, যে ঘরের মালিক তাদের সম্মানিত করেছেন।

এই কথা প্রচলিত যে, মক্কা শহর যে স্থানে অবস্থিত সেখানে কোনো চাষাবাদ হয়না। তাই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদেশে সফর ও প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ সংগ্রহ করা ছাড়া আর কোনো উপায় তাদের ছিলোনা। মূলত মক্কাবাসীরা খুবই দরিদ্র ছিলো এবং অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করতো। অতপর, রাসুল (সাঃ) এর প্রতিতামহ হাশেম কুরাইশকে ভিন দেশে গিয়ে ব্যবাসা বাণিজ্য করতে উৎসাহিত করেন। সিরিয়া ছিলো ঠান্ডা দেশ, তাই গ্রীষ্ম কালে তারা সিরিয়াতে সফর করতো। অন্যদিকে ইয়েমেন ছিলো গরমদেশ তাই শীতকালে তারা সেখানে সফর করতো। বাইতুল্লার খাদেম হওয়ার কারণে তারা ছিলো সমস্ত আরবে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র। যার ফলে সফরকালীন পথের বিপদ-আপদ থেকে তারা নিরাপদ ছিলো। সূরা কুরাইশে আল্লাহ তা’আলা মক্কাবাসীদের প্রতি তার এসব নেয়মত ও অনুগ্রহ সম্পর্কে আলোচনা করে তাদেরকে ঈমান ও তাওহীদের প্রতি আহ্বান করেছেন।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কুরাইশদেরকে আল্লাহ ৭টি বিষয়ে মর্যাদা দিয়েছেন।

১. রাসুল (সাঃ) বলছেন তিনি কুরাইশ থেকে এসেছেন।

২. নবুয়ত এসেছে কুরাইশ থেকে।

৩. কুরাইশরা বায়তুল্লাহ খাদেম।

৪. হজের মৌসুমে কুরাইশ বংশের লোকেরা হাজীদের জমজমের পানি পান করাতো।

৫. বাদশাহ আবরাহ যখন কাবা আক্রমণ করে তখন আল্লাহ কুরাইশদের পক্ষ নিয়ে কাবাকে রক্ষা করে।

৬. বাদশাহ আবরাহার পরাজয়ের পর কুরাইশরা টানা ১০ বছর ইবাদাত করেছেন।

৭. কুরাআনে কুরাইশ বংশ নিয়ে আল্লাহ তা;আলা সূরা নাযিল করা হয়েছ।

আরো পড়ুনঃ

zahid

A professional SEO Expert & Digital Marketing Consultant. Enhancing online visibility of business is my job. Keeping update myself with new search algorithm update and stay top on search results is my passion.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button