প্রযুক্তি

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা

বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত দুটি প্রযুক্তি হলো : ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি। কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি না ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি‌ বা AR আসলে কী?

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি?

প্রকৃতি অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্যোগকারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক ইন্দ্রিয় রাজ্য পরিবেশের সাথে সংযুক্ত স্থাপন বা উপলব্ধি করতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে অনুকরণকৃত পরিবেশ হুবুহু বাস্তব পরিবেশের মতো হতে পারে আবার অনেক সময় অনুকরণকৃত বা সিমুলেশন পরিবেশ বাস্তব পরিবেশ থেকে আলাদাও হতে পারে। যেমন: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমস এতে ত্রিমাত্রিক ইমেইজ মাধ্যমে অতি অসম্ভব জিনিসও দেখানো হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ একটি কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে পরিবেশে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তথ্য আদান ও প্রদানকারী বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস যেমন : হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, ডেটা গ্লোভ, বডি স্যুইট, রিয়েলিটি যন্ত্র ও বিভিন্ন সিমুলেশন, মডেলিং ও গ্রাফিক্স সফটওয়্যার ইত্যাদি পরিধান করার মধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস্তবকে উপলব্ধি করা হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কোনোরকম শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়াই বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ক্ষাতে বর্তমান উন্নত বিশ্বে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে শুধু মাত্র ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি গবেষণা বিষয়ে যেন ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে আরো উন্নত এবং মানুষের প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে হাতে তুলে দিতে পারে। সম্প্রতি গুগল ‘Lively’ নামে নতুন ভার্চুয়াল চ্যাটিং সার্ভিস চালু করেছে। যেখানে ভার্চুয়াল কক্ষে বা পরিবেশে যেকেউ তার বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজন নিয়ে প্রবেশ করতে পারে। সেখানে ইচ্ছামত সাজানো বস্তু দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন। দিন যতই যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাবও তেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপকারিতা ও অপকারিতা

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন কার্যক্রমের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার মানুষের জন্য ক্ষতিকর। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে মানুষের বাস্তবিক সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, সুতরাং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব মানুষের সামাজিক দূরত্ব আরো বৃদ্ধি করবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপক প্রসারের কারণে মানুষের পরস্পরের প্রতি সামাজিক সম্পর্ক হ্রাস পাবে এবং মনুষ্যহীনতা বেড়ে যাব।

অগমেন্টেড রিয়েলিটি কি

অগমেন্টেড রিয়েলিটি একটি মজার প্রযুক্তি। বাস্তব জগতের যেকোনো বস্তু কিংবা প্রক্রিয়াই হলো AR বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো ধারণাকে পিছনে ফেলে ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে AR বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি। বাস্তব দৃশ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল শব্দ, ভিডিও গ্রাফিক্স ও জিপিএস ব্যবহারের মাধ্যমে অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তি তৈরি করা হয়। অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে নজর দিয়েছে বর্তমানের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ইতিমধ্যে ফেসবুক প্রতিষ্ঠান অগমেন্টেড রিয়েলিটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে যে ২০৩০ সালে মধ্যে অগমেন্টেড রিয়েলিটি ব্যবহার করা শুরু হয়ে যেতে পারে। এতো কিছু জানার পর যদি আমরা আগামী বিশ্বকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা AR নির্ভর বিশ্ব বলি, তাহলে ভুল হবে না।

আরো পড়ুনঃ

Conclusion

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত জানতে পারলেন। এই বিষয়ে আপনার আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।

4.3/5 - (45 votes)

Sahariar Kabir Joy

I’m Sahariar Kabir, a writer at Shopnik, passionate about sharing practical knowledge through helpful tips, tricks, and lifestyle insights. Whether it’s solving everyday problems or exploring smarter ways to live and work, I enjoy creating content that’s simple, useful, and easy to follow.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button