তিসি খাওয়ার নিয়ম
যুগ যুগ ধরে চলে আসা ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তিসির বীজ যা শরীরের নানা ঘাটতি পূরণ করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তিসি বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, অ্যামিনো অ্যাসিড, আর্জিনাইন এবং গ্লুটামাইন, এছাড়াও এটি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬,ভিটামিন ডি দ্বারা সমৃদ্ধ।
তিসি বীজে থাকা প্রতিটি উপাদান কমবেশি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের ছোটখাটো যেকোনো রোগের পাশাপাশি কঠিন অনেক রোগ হবার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চয়তা দেয়ার পাশাপাশি এটি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ও অনেক ভালো কাজ করে। এর গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না তাইতো এই তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়া উচিত।
তিসি খাওয়ার নিয়ম
তিসি বীজ কাচা বা গুড়ো হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ছোট চামচে এক চামচ তিসি বীজই যথেষ্ট।
সকালে উঠে খালি পেটে এই বীজ সেবনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি সারাদিন আপনার শরীর কে এক্টিভ এবং হেলদি রাখতে পারে খুব কম খাবার সেবন করেই।
সারারাত তিসি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে এই পানি সেবন করতে পারেন বীজসহ কিংবা বীজ ছাড়া। কেউ যদি বীজ ছাড়া সেবন করতে চান তাহলে তা ছেকে নিতে পারেন।
এছাড়াও দিনের যেকোনো সময় ই এই বীজ সেবন করা যায়। কিন্তু প্রয়োজনের অধিক সেবনে শরীরে নানাবিধ সমস্যার দেখা দিতে পারে।
কারো যদি এক দুই দিন তিসি বীজ সেবনের ফলে কোনো এলার্জি বা পেটে ব্যাথা, জ্বালা করে সেক্ষেত্রে সাথে সাথে তা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এবং চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুন
সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় বা যেসব মায়েরা তার সন্তানদের বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তাদের এই বীজ খাওয়া উচিত নয়।
যাদের অলরেডি হাই ব্লাড প্রেসার এবং ক্যান্সার রয়েছে তারা এই বীজ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
কোনো একটি রোগের জন্য যদি অলরেডি মেডিসিন সেবনরত হয়ে থাকেন তাহলে এই বীজ খাওয়া হতে বিরত থাকুন।
নিচের পোস্ট গুলো আপনার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে, পড়ে নিন
- খুশকি দূর করার উপায় প্রাকৃতিকভাবে
- চুল ঘন করার উপায় naturally
- চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
- চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- চুল সিল্কি করার উপায়
এবং এই পোস্টগুলো
Conclusion
তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। সর্বোপরি প্রাকৃতিক নানা উপাদানসমূহের যতই গুনাগুন থাকুক না কেনো তার সঠিক উপকার পেতে হলে বা আপনি আদৌ এই উপাদানটি গ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা অবশ্যই কোনো চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এর পাশাপাশি এটি গ্রহণ করার নিয়মাবলি সম্পর্কে অবগত হতে হবে।
এই আর্টিকেলে ব্যবহৃত এক বা একাধিক কপিরাইটবিহীন ছবি Freepik.com থেকেে সংংগৃহীীত হয়েছে।