মেয়েদের জন্য অনলাইন জব ২০২১
মেয়েদের জন্য যেসব অনালাইন জব সবচেয়ে করা যায় এবং যে জব গুলো করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা মেয়েরা ঘরে বসেই অর্জন করতে পারবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে এই পোস্টে।
Contents
ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিলেন্সিং এর দুনিয়ায় ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এক অনন্য নাম। মেয়েরা ঘরে বসেই হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ফ্রিলেন্সার। শুধু দরকার একটি পর্যাপ্ত ট্রেনিং আর অনুশীলন। অনলাইন থেকে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার বহু সুযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু পেইড হলেও আনপেইড কোর্স ও রয়েছে বহু। সেখান থেকে শিখে নিজের অনুশীলন এর মাধ্যমে বহিঃবিশ্বের নানা কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ পায় অনেকেই।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট
ওয়াডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এর অন্যতম কিছু কাজ হলো ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা , থিম কাস্টমাইজ করা, লোগো এবং মেনু চেঞ্জ করা, পেজ পোস্ট তৈরি করা, প্লাগিন ব্যবহার করা ইত্যাদি। এই কাজগুলো শিখার মাধ্যমেও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব।এই কাজগুলো অনলাইন থেকেও শিখা সম্ভব। তাও কেউ যদি ট্রেনিং নিতে চায় তাহলে তারা চাইলে একটি ভালো ইন্সটিটিউট থেকে ট্রেনিং নিতে পারে তারপর কাজ শুরু করতে পারে।
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এমন একটি সেক্টর যার ব্যবহার কম বেশি প্রতিটা ক্ষেত্রেই রয়েছে। মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এ যে শুধুমাত্র স্লাইড বানানো যায় তা নয়, এর মাধ্যমে বানানো যায় নানা গ্রাফিকাল ছবি, লোগো ইত্যাদি।
কনটেন্ট রাইটিং
আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং পছন্দ করে থাকেন তাহলে এ কনটেন্ট রাইটিং হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম আয়ের একটি উৎস। নিজস্ব ওয়েবসাইটের জন্য লেখার পাশাপাশি আপনি চাইলে যে কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর জন্য কনটেন্ট লিখতে পারেন। কোনো প্রোডাক্ট এর জন্য লিখতে পারেন। এবং এ কনটেন্ট রাইটিং জব টি অফিসে না গিয়ে চাইলে আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন। অনেক ব্লগ সাইট বা কোম্পানি অনেক সময় ফ্রিল্যান্সার কনটেন্ট রাইটার খুঁজে সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে এপ্লাই করতে পারেন এবং সেখান থেকে কাজ নিতে পারেন।
ফেইসবুক থেকে আয়
ফেসবুকে কন্টেন্ট বানিয়ে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আয় করা ছাড়াও আপনার যদি একটি ফেসবুক পেইজ এবং একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলেও আপনি ফেইসবুক থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট চাইলে আপনি ওয়াডপ্রেস বা এলিমেন্টরস দিয়ে বানাতে পারেন। আপনার যদি কিছু ব্লগ পোস্ট থাকে সেগুলোর লিংক ফেইসবুক এ শেয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটে ট্রাফিক বাড়িয়ে সেখান থেকে ভালো একটা এমাউন্ট আয় করতে পারেন।
ফেইসবুক বিজ্ঞাপন থেকেও অর্থ আয় করা সম্ভব।
ফেইসবুকের বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট চলাকালীন, ভিডিওর আগে বা পরে বিজ্ঞাপন অন্তর্ভুক্ত করে অর্থ উপার্জন করা যায়। ভিডিওটিতে বিজ্ঞাপনটি কোথায় স্থাপন করবেন তা বিজ্ঞাপনদাতা বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটকারী উভয়ই নির্ধারণ করতে পারেন। ফেইসবুক এড থেকে রেভিনিউ বা প্রোডাক্ট সেল ও অনেক বৃদ্ধি পায়।
গুগোল অ্যাডসেন্স
গুগোল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট, কিছু ব্লগ পোষ্ট এবং সেখানে অনেক ভালো সংখ্যক ভিজিটর। এখন বলা যাক গুগোল অ্যাডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে যার মাধ্যমে এড রান করে বা সহজ করে বললে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে আমরা টাকা আয় করতে পারি। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে আপনি সহজেই এই আয় করতে পারেন। আপনি যদি ওয়েবসাইট নিজে বানাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে তা শিখে নিতে হবে। আর তা নাহলে আপনি অন্য কারো মাধ্যমেও একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন।
কনটেন্ট ক্রিয়েট ফর ইউটিউব
আমাদের মধ্যে অনেক ছোট ছোট গুন লুকিয়ে আছে। যার জন্য প্রয়োজন শুধু নিজেকে একটু ঝালাই করা। আজকাল মানুষ যেকোনো কন্সেপ্ট বুঝার জন্য সবচেয়ে বেশি ভরসা করে ভিডিও কন্টেন্ট এর উপর। আর এর অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। এই ইউটিউব এ নানা কন্টেন্ট আপলোড করার সুযোগ রয়েছে। নিজের ইউনিকনেস দেখানোর মাধ্যমে কয়েক মাসে আপনি আয় করতে পারেন হাজারো ডলার। ইউটিউব থেকে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আয় করা যায় যেখানে ১হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার ঘন্টা ভিউ হলেই আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
এখানে প্রতিযোগিতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। তাই এখনোই উপযুক্ত সময় ইউটিউব এ কাজ শুরু করার জন্য।
ডাটা এনট্রি
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ডাটা এন্ট্রির অনেক কাজ রয়েছে যেখানে ভালো টাইপ করতে পারেন বা বেসিক কম্পিউটার দক্ষতা রয়েছে তারা ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
ভয়েস অভার সারভিসেস
এটি মেয়েদের জন্য অন্যতম একটি বড় সুযোগ হতে পারে। কেননা অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যারা কিনা ভয়েস ওভারের জন্য মেয়েদের নিয়োগ করে থাকেন।নিজের ভয়েস রেকর্ডিং এর মাধ্যমে আপনি চাইলে এই সেক্টর থেকেও আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনার সুন্দর ও সঠিক উচ্চারণ জানতে হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে একটি রেকর্ডিং স্টুডিও থাকা প্রয়োজন হতে পারে।
আমাদের পরামর্শ
উপরোক্ত প্রতিটি প্লাটফর্মেই অনেক অনেক মানুষ নিয়োজিত রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত সেসব জায়গায় কাজ করে যাচ্ছেন তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য। এই অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো কারণ মেয়েরা চাইলে দিনের বেশিরভাগ সময় ঘরে থেকেই অনলাইনে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন নানাভাবে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হবে প্রচুর ডেডিকেশন এবং কঠোর পরিশ্রম। এই প্লাটফর্ম গুলোয় অলরেডি কম্পিটিশন অনেক বেশি তাই নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করবার জন্য অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ হতে হবে এবং কন্টিনিউ নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যেতে হবে। আর আমরা জানি আমরা মেয়েরা চাইলে যেকোনো অসাধ্য সাধন করার ক্ষমতা রাখি।
তবে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন না করে কখনো ইনকামের পথে ছুটা যাবে না। অনালাইন ইনকাম কোন সহজ বিষয় না। কারো ইনকাম দেখে আবেগী স্বপ্ন দেখে কেউ সিদ্ধান্ত নিবেন না। নিজেকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখার মত দক্ষতা অর্জন করুন তারপর আসুন অনলাইনে উপার্জনের পথে।