আইইএলটিএস

আইইএলটিএস লিসেনিং ৯/৯ স্কোর করবেন যেভাবে

আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিটি সেকশনে সমান তালে প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনাকে পরীক্ষার ফর্ম্যাটটি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে হবে, প্রশ্নের উত্তরগুলি কীভাবে দিতে হবে এবং পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার বিকাশ করতে হবে।

আইইএলটিএস পরীক্ষার লিসেনিং সেকশন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এবং আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টে ভাল করার সকল টিপস এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। কিভাবে আপনি পরিপূর্ন প্রস্তুতি নিতে পারেন সে বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হবে।

আইইএলটিএস লিসেনিং পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

১। আইইএলটিএস লিসেনিং পরীক্ষা একাডেমিক এবং জেনারেল আইইএলটিএস উভয়ের জন্য একই।

২। লিসেনিং টেস্ট আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রথম অংশ। এটি রিডিং এবং রাইটিং টেস্টের আগে হবে।

৩। আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টে ৪টি অংশ থাকবে

  • In Part 1, two people have a discussion set in a social context (e.g. talking about travel arrangements or renting a house).
  • In Part 2, one person talks about a non-academic topic (e.g. the benefits of exercise).
  • In Part 3, up to four people have a discussion in an educational or training context (e.g. a study group of students discussing a presentation, or two students discussing a project with their tutor).
  • In Part 4, one person gives a talk about a topic of general academic interest.

৪। পরীক্ষার প্রতিটি অংশই তার পূর্ববর্তী অংশের চেয়ে বেশি কঠিন, সুতরাং ১ম পর্ব সহজতম এবং ৪র্থ পর্ব সবচেয়ে কঠিন।

৫. পরীক্ষাটি প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য স্থায়ী হবে।

৬. পরীক্ষা শেষে, আপনার উত্তর অফিসিয়াল উত্তরপত্রে স্থানান্তর করার জন্য ১০ মিনিট সময় থাকবে।

৭. আইইএলটিএস লিস্টানিং পরীক্ষায় ৪০ টি প্রশ্ন থাকবে।

৮. প্রতিটি অংশে প্রায় ১০ টি প্রশ্ন থাকবে।

৯. প্রশ্নগুলির উত্তরগুলি ক্রমভাবে শোনা যাবে, সুতরাং ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর ৭ প্রশ্নের উত্তর আগেই সোনা যাবে বা উপস্থিত হবে।

১০. সাধারণ প্রশ্নগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • multiple choice questions
  • short answer questions
  • sentence completion
  • note completion
  • summary completion
  • form completion
  • table completion
  • diagram labelling
  • map labelling
  • classification
  • matching

১১. অডিও রেকর্ডিং কেবলমাত্র একবার/ONCE চালানো হবে ।

১২. প্রত্যেকটি অংশের আগে, নির্দেশাবলী এবং প্রশ্নগুলি পড়তে প্রায় ৩০ সেকেন্ড সময় থাকবে।

১৩. রেকর্ডিংয়ে বক্তারা ব্রিটিশ, অস্ট্রেলিয়ান, নিউজিল্যান্ড, কানাডিয়ান এবং আমেরিকান সহ একাধিক উচ্চারণ রয়েছে। ব্রিটিশ উচ্চারণে স্কটিশ, আইরিশ, ইংরেজি বা ওয়েলশ উচ্চারণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

১৪. শোনার জন্য আপনার ব্যান্ড স্কোরটি আপনার ROW স্কোর (সঠিক উত্তরের সংখ্যা) থেকে গণনা করা হবে। আপনার ব্যান্ড স্কোরটি অর্ধ ব্যান্ডের পাশাপাশি পুরো ব্যান্ডগুলিতে রিপোর্ট করা হয়েছে, সুতরাং এর আইইএলটিএস লিস্টানিং স্কোর ৮.৫ বা ৭.৫ এমন হইতে পারে।

আপনার Row স্কোরটি কীভাবে ব্যান্ড স্কোরে রূপান্তরিত হয় তার উদাহরণ এখানে। নোট করুন যে এগুলি আনুমানিক; তারা পরীক্ষার অসুবিধা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে:

Band 9.0: 39-40 marks

Band 8.5: 37-38 marks

Band 8.0: 35-36 marks

Band 7.5: 32-34 marks

Band 7.0: 30-31 marks

Band 6.5: 26-29 marks

Band 6.0: 23-25 marks

Band 5.5: 18-22 marks

Band 5.0: 16-17 marks

Band 4.5: 13-15 marks

Band 4.0: 11-12 marks

IELTS এর লিসেনিং এমন একটি স্কিল টেস্ট, যেখানে ৯ এ ৯ পাওয়া সম্ভব। কেননা IELTS Reading এ আপনাকে ১ ঘন্টাতে ৩টি প্যাসেজ সল্ভ করতে হবে, খুবই কঠিন। Speaking এ টিচারের ইচ্ছা, তবে কনফর্ম থাকেন যে আপনাকে ৯ এ ৯ দিবে না। Writting এ ও টিচারের ইচ্ছা, আপনাকে ৯ এ ৯ দিবে না। কিন্তু Listening এমন একটি পার্ট, যেখানে আপনি ৯ এ ৯ পেতেও পারেন। কেননা আপনি শুনছেন, সাথে সাথে উত্তর ও লিখবেন।

আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশীদের listening এ মোটামোটি ৭ বা ৭+ টার্গেট থাকে। আর কিভাবে লিসেনিং এ ৭ বা ৭ প্লাস স্কোর করা সম্ভব, তাই নিয়েই আজকের লেখা। নিজের IELTS প্রিপারেশন, প্লাস সিনিয়রদের গাইড থেকে এখন পর্যন্ত যতটুকু বুঝতে পেরেছি, মোটামোটি ৫টি পদক্ষেপ নিলেই লিসেনিং যে কেউ ৭ বা ৭+ স্কোর করতে পারবে।

আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টে ভাল করার ৫টি পদক্ষেপ কি?

১। টেস্ট দিতে হবেঃ  প্রথমেই আপনাকে একটি টেস্ট দিতে হবে। ক্যাম্ব্রিজ ১০, ৯, ৮, ৭, ৬, ৫ এবং অফিশিয়াল গাইড, এই ৭টি বই নিয়ে আপনি প্র্যাকটিস করতে পারেন। আর এই টেস্ট দিতে আপনার সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট সময় লাগবে।

২। ম্যাজিক অফ ফ্লুয়েন্সিঃ টেস্ট দেওয়ার পরে বইয়ের পেছনে যে টেপস্ক্রিপ্ট থাকে, সেখানে প্রয়োগ ম্যাজিক অফ ফ্লুয়েন্সি প্রয়োগ করতে হবে। ম্যাজিক অফ ফ্লুয়েন্সি কি যদি জানা না থাকে, তাহলে আপনি গুগোলে সার্চ করে জেনে নিতে পারেন, কিংবা ইউটিউবে ও অনেক ভিডিও গাইড পাবেন। ম্যাজিক অফ ফ্লুয়েন্সি প্রয়োগ করতে আপনার সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগবে।

৩। টেপস্ক্রিপ্ট শুনুনঃ ম্যাজিক অফ ফ্লুয়েন্সি প্রয়োগ করার পর, টেপস্ক্রিপ্ট মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। এখানে কিন্তু পড়া যাবে না। আর শোনার সময় আপনি যে কাটা কাটি গুলো করেছিলেন, তা মিলিয়ে নিবেন। আর এই শোনার জন্য আপনার সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় লাগবে, কেননা এক্সাম্পল বা ফাকা অংশ সব তো আগেই কেটে দিবেন।

৪। আবারো টেস্ট দিবেনঃ টেপস্ক্রিপ্ট ভালো করে মেলানো এবং শোনার পর, আপনাকে আবারো টেস্ট দিতে হবে। একটা কথা আমি বলতে ভুলে গেছি, টেস্ট দিয়ে কিন্তু উত্তর মেলানো যাবে না। এখানেও আপনার টেস্ট দিতে সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট সময় লাগবে।

৫। উত্তর চেক করবেনে এবং টেপস্ক্রিপ্ট পড়বেনঃ মোটামোটি দুইবার টেস্ট দেওয়ার পরে এসে আপনি আপনার দেওয়া টেস্ট এর উত্তর চেক করবেন এবং টেপ স্ক্রিপ্ট ও ভালো করে পড়বেন। কেননা এখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু টেপস্ক্রিপ্ট পড়িনি, শুধু শুনেছি। আর উত্তর মেলানো এবং টেপস্ক্রিপ্ট পড়তে আপনার সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় লাগবে।

উপরের ৫টি ধাপ শেষ করে আপনার মনে প্রশ্ন আসবে, যে আমার লাভটা কি হলো? একটি ফুল প্রসেস শেষ করতে, যাকে আমি বলবো একটি টেস্ট দিতে আপনার লাগবে ১০০ মিনিট। এখন একটু ভাবুন, একটি টেস্ট এর জন্য আপনি সময় দিচ্ছেন ১০০ মিনিট, আর আপনার পরিক্ষা যদি হয় আগামী মাসে, তাহলে আপনি সময় পাবেন ৩০ দিন, মানে ৩০০০ মিনিট সময় ব্যায় করে আপনি দিতে পারবেন ৩০টি টেস্ট।

কিভাবে? ক্যামব্রিজ ১০ এর মধ্যে মোট ৪টি টেস্ট আছে, এইভাবে ক্যামব্রিজ ৯, ৮, ৭, ৬ অর্থাৎ মোট ৫টি বই। আর এই ৫টি বইয়ের মধ্যে মোট ২০টি টেস্ট আছে। তাহলে ২০টি টেস্ট দিতে আপনার ২০ দিন চলে গেলো। বাকি থাকলো ১০দিন।

অফিশিয়াল গাইডের মধ্যে আছে ৮টি টেস্ট, যা শেষ করতে আপনার লাগবে আরো ৮দিন। তাহলে মোট গেলো ২৮দিন। বাকি থাকলো ২দিন। এই দিন আপনাকে আমি কোন কিছু পড়তে বা করতে বলছি না। এই দুই দিন আপনি যে কোন জায়গা যেয়ে মক টেস্ট দিতে পারেন, তা হতে পারে ব্রিটিশ কাউন্সিল বা অন্য কোথাও, কিন্তু মক টেস্ট একটি দিতে হবে বা পারেন।

শেষ হয়ে গেলো আপনার ৩০ দিন। আর একটু ধর্য্য ধরে যদি ৩০দিন আপনি এইভাবে প্র্যাকটিস করেন এবং প্রতিটি স্টেপ ভালো করে ফলো করেন, তাহলে আপনি ৭ বা ৭+ পাবেনই।

অনেকেই আমাকে বলেন যে ভাইয়া, টেস্ট দিলাম, প্র্যাকটিস করলাম, কিন্তু স্কোর তো বাড়ে না। আমি আসলে মানি না যে তারা ঠিক মতো স্টেপ গুলো ফলো করেছিলো। কেননা, একটি টেস্ট দেওয়ার পরে বাকি ৪টি স্টেপ ফলো করলে অবশ্যয় আপনার স্কোর বাড়বে। একবারে না বাড়লেও আস্তে আস্তে অবশ্যয় বাড়বে। আর আমাদের আসলে ইংরেজি শোনার অভ্যাস কম থাকার জন্যই এমন হয়, তবে রেগুলার শুনলে তা দিন দিন বাড়বে।

আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্ট এর জন্য কিছু টিপস বলিঃ

১। প্রশ্নটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং ইন্সট্রাকশন গুলো ভালো করে পড়তে হবে। ঐখানে ইটালিক অক্ষরে আপনাকে একটি নির্দেশনা দেওয়া থাকবে, যেমনঃ No more than 5 words, only letter and number etc. এই জিনিস গুলো  খেয়াল করে দেখতে হবে।

২। প্রশ্ন গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে কিওয়ার্ড গুলোর নিচে দাগ হিতে হবে।

৩। এমসিকিউতে আমাদের অনেকেরই সমস্যা থাকে। আমরা সাধারণত প্রশ্ন গুলো দেখি আবার অপশান গুলো ও দেখি। আরে ভাই অপশান দেখে লাভ কি, ৪টির একটা তো উত্তর হবেই নাকি? এখানে আমরা কি করবো? আমরা এখানে শুধু প্রশ্ন গুলো পড়বো আর কিওয়ার্ড গুলোর নিচে দাগ দিয়ে রাখবো। যাতে করে টেপ শোনার সময় শুধু কিওয়ার্ডের দিকে তাকাবো এবং উত্তর মার্ক করবো।

৪। ফিল ইন দ্যা গ্যাপের সময় আমরা আগের শব্দ এবং পরের শব্দের নিচে দাগ দিবো। যদি noun হয়, তাহলে এটার তো আর সিনোনিম হয় না। আর যদি Verb, Adjective, Adverb হয়, তাহলে এই গুলোর সিনোনিম বলবে।

৫। আর একটা জিনিস মনে রাখবেন, কোন কথা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সহজ, কিন্তু ওরা সহজ ভাবে বলবে না, ওরা সিনোনিম বলবে বা বাক্যের প্যাটার্ন চেঞ্জ করে বলবে। এই জন্য আপনাকে ইংরেজি কথা শুনে বুঝতে হবে ।

ফাঁদে পা দিবেন না

আইইএলটিএস রাইটিং, রিডিং বা স্পিকিং টেস্ট এর সাথে লিসেনিং টেস্ট এর একটি পার্থক্য হলো – লিসেনিং টেস্টে পরীক্ষার্থীদের যোগ্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ফাঁদ পাতা থাকে। সাধারণত মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেনের জন্য এই ফাঁদ পাতা হয়, তবে শূণ্যস্থান পূরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হতে পারে।

এই ফাঁদটি হলো – একই প্রশ্নের উত্তরে আপনাকে দুই তিনটি উত্তর শোনানো হবে অথচ সঠিক উত্তর মাত্র একটি। ভালো করে না শুনলে আপনি হয়তো প্রথম বা যে কোন একটিকে উত্তর ধরে নিতে পারেন।

ব্যাখ্যা করে বলছি। ধরা যাক, একজন ওয়েটার দুজনের কাছ থেকে অর্ডার নিচ্ছে। ওয়েটার সাজেস্ট করলো কোক, জ্যাক বলল স্প্রাইট বেটার কিন্তু জন বলল ফ্রুটিকা দিতে। খেয়াল করে না শুনলে আপনি হয়তো মনে করবেন কোক এর অর্ডার দেয়া হয়েছে, আসল উত্তর হয়তো ফ্রুটিকা।

আপনি যখন আপনার দেওয়া টেস্ট গুলোর উত্তর মেলাতে যাবেন, তখন দেখবেন অনেক শুব্দের নিচে দাগ দেওয়া আছে, অর্থাৎ কেন আপনার এটি ভুল হলো তার কারন লেখা আছে। এভাবে প্রতিটি জিনিস আপনাকে ভালো করে পড়তে হবে এবং জানতে হবে।

আর যদি আপনার পরিক্ষা আগামী মাস না হয়ে আরো কয়েক মাস পরে হয়, তাহলে শুধু ক্যামব্রিজ না, বাজারে আরো ৩০-৪০টি বই আছে, সব নিয়ে আজ থেকেই প্র্যাকটিস শুরু করুন। টার্গেট রাখুন যে আপনাকে ৯ এ ৯ পেতেই হবে। আপনি যদি উপরে বলা ৫টি ধাপ ফলো করে প্র্যাকটিস করেন, তাহলে অবশ্যয় আপনি IELTS Listening ৯ এ ৯ বা ৭+ স্কোর করতে পারবেন।

বেস্ট অফ লাক।।

আশা করি এই ভিডিওটি আপনার জন্য সহায়ক হবে

আইইএলটিএস রিডিং ভালো করার ৫টি সেরা কৌশল

আইইএলটিএস রাইটিং

আইইএলটিএস প্রস্তুতি

আইইএলটিএস প্রস্তুতির জন্য সেরা ৫টি ফ্রি এপ (android/ios)

আইইএলটিএস স্পিকিং প্রস্তুতি

5/5 - (19 votes)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button