আইইএলটিএস রাইটিং টিপস
আজকে আমরা আলোচনা করব আইএলটিএস রাইটিং সেকশন নিয়ে। আইইএলটিএস এর রাইটিং এ ভালো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া আজকে যে কথা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব এগুলো মেনে চললে আপনার যেকোন ধরনের লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে আশা করি। এটা শুধু আপনার আইইএলটিএস এর পরীক্ষা নয়, যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনার লেখার মানকে বহুগুনে বাড়িয়ে তুলবে।
আইইএলটিএস রাইটিং কোশ্চেন ফরমেট
রাইটিং সেকশনে কোশ্চেনের দুটি ভাগ থাকবে, টাস্ক ১ এবং টাস্ক ২। টাস্ক ১ এ তিন ভাগের এক ভাগ নাম্বার থাকবে বাকি তিন ভাগের দুই ভাগ থাকবে টাস্ক ২ এ। এজন্য আপনাকে সময় ভাগ করে নিতে হবে। যেহেতু রাইটিং সেকশনে ১ঘন্টা সময় পাবেন, টাস্ক ১ এর জন্য সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় নিবেন আর বাকি ৪০ মিনিট রাখবেন টাস্ক ২ এর জন্য।
আইইএলটিএস রাইটিং সেকশনে ৮ পাওয়ার সেরা টিপস
১। প্রশ্ন পড়ুন এবং বুঝুন
এটা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে। প্রশ্ন না পড়ে কেউ পরীক্ষা দেয়? না, দেয় না। কিন্তু অনেক মানুষই আছে যারা প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে না। আপনি যদি প্রশ্ন সম্পর্কে ভাল ধারণা না নেন তাহলে আপনি বেশি দূর লেখতে পারবেন না।
আপনার প্রশ্নটা বোঝার চেষ্টা করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন প্রশ্নের বিষয় সম্পর্কে, এবং সেই বিষয়টায় লিখুন যা প্রশ্নে চাওয়া হয়েছে। আপনার যে বিষয় পছন্দ সেটা নিয়ে লিখতে যাবেন না, প্রশ্নে যে বিষয় সম্পর্কে করা হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে লিখুন।
প্রশ্নের প্রতিটি পয়েন্ট লেখার চেষ্টা করুন। প্রশ্ন করতে পারেন, একটা প্রশ্নে কি আলাদা আলদা পয়েন্ত থাকে? না, একটা বা দুটা বাক্য থাকে। কিন্তু আপনার কাজ প্রশ্নটা ভালো করে পড়ে পয়েন্ট গুলো খুজে বের করে লেখা। পয়েন্ট এবং প্রশ্নের বিষয়গুলো চিহ্নিত করে , ঐ বিষয়ের উপর উত্তর লেখবেন।
২। গ্রামার ব্যবহারে সতর্কতা
একজন পরীক্ষক যদি শুধু গ্রামারেই ১০০% নম্বর দেন, তাহলে বাকি অংশ গুলো দিইয়ে কি করবেন? গ্রামারের জন্য কখনই সম্পূর্ন নম্বর দেওয়া হয় না। আপনি কি ধরনের পরীক্ষা দিচ্ছেন? কমিউনিকেশন ভিত্তিক। আপনার গ্রামারের ব্যবহার যদি কথা বলার ক্ষেত্রে অর্থাৎ, মনের ভাব প্রকাশে বাধা দেয় তাহলে সমস্যা বলতে হবে। কিন্তু আপনি যদি সহজ গ্রামার ব্যবহার করেন, যেটা আপনার কাছে সহজ, অনেক ব্যবহার করেছেন যা নিয়ে আপনি আত্মবিশ্বাসী, তা দিয়েই আপনার কাজ হয়ে যাবে।
৭ স্কোর করার জন্য আপনি প্রশ্ন পড়েন, বুঝেন, পয়েন্ট চিহ্নিত করেন এবং সহজ গ্রামার ব্যবহার করেন, যা দিয়ে আপনি ভুল করেন না, যা দিয়ে আপনার কমিউনিকেশন এ কোনো সমস্যা হয় না এতটুকু যথেষ্ট। ৭ স্কোর নিশ্চিত করার পর আপনি ৮ বা ৮.৫ এর জন্য চেষ্টা করুন। ভুল কঠিন গ্রামার ব্যবহার করার চেয়ে সহজ সঠিক গ্রামার ব্যবহার করা ভালো। আপনি লিখেছেন, পরীক্ষক পড়ে বুঝেছেন, আর কি দরকার?
একটা বিষয় খেয়াল করুন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, যখন আমরা বাংলা শিখি তখন কি আমাদের বাব-মা, স্কুল কি প্রথমেই গ্রামার বই ধরিয়ে দিয়েছিলো? আমরা কি প্রথমে গ্রামার শিখেছি নাকি ভাষার ব্যবহার টা প্রথম শিখেছি? অবশ্যই ভাষা। চেষ্টা করুন প্রথমে ইংরেজী ভাষার ব্যবহার টা জানতে। ইংরেজী ভাষাটা ব্যবহার করেন, কি জানতে চাওয়া হয়েছে তার উত্তর দিন, যথেষ্ট।
৩। একই প্রসঙ্গ, শব্দ বা বাক্য বার বার ব্যবহার না করা । কেও যদি আমাদের কাছে একই কথা বারবার বলে তা আমাদের কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে। ঠিক একই ভাবে খাতায় একই প্রসঙ্গ বারবার ব্যবহার করলে তা লেখার সৌন্দর্য নষ্ট করে। আপনার একই কথা বারবার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়তেই পারে, তবে সেই একই কথা না বলে সেটাকে ঘুরিয়ে বললে বাক্যের সৌন্দর্য ঠিক থাকে।
যেমন আপনার লেখায় হয়তো Good শব্দটি বারবার ব্যবহার করা লাগতে পারে। আপনি এই শব্দটি বারবার ব্যবহার করলে লেখায় বিরক্তি আনতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি Good এর পরিবর্তে এর Synonym গুলো ব্যবহার করতে পারেন । যেমন: Fine, Quality, Superior, Acceptable, Benefit, Advantage, Comfort, Ease etc.
৪। লেখাগুলোকে ছোট ছোট প্যারগ্রাফে সাজিয়ে লেখুন। লেখার মধ্যে প্যারাগ্রাফের গুরুত্ব কতটুকু তা আপনি নিচের ছবি টি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
প্যারাগ্রাফ ছাড়া চিত্রটি দেখতে অনেক বিরক্ত লাগে এবং পড়তে ইচ্ছে করে না। অন্যদিকে প্যারাগ্রাফ সহ চিত্রটি দেখতে ভালো লাগে, এবং পড়তেও সুবিধা হয়। যাদের লেখায় প্যরাগ্রাফ ঠিক থাকে না, তাদের লেখার গঠন ও ঠিক থাকে না। তাই খাতায় প্যারাগ্রাফ করাটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৫। Sentence লেখার মধ্যে পরিবর্তন আনুন। সবসময় Simple Sentence ব্যবহার না করে মাঝে মধ্যে Complex Sentence গঠন করার চেষ্টা করুন। সবসময় Simple Sentence ব্যবহার করলে লেখার মধ্যে সেই মজাটুকু থাকে না। তাছাড়া Complex Sentence আপনার লেখার মান বাড়িয়ে তোলে।
৬। যেকোনো একটা প্যারা লেখার সময় সেই প্যারায় কি আছে তা এক লাইনে তা প্যারার প্রথম লাইনে বুঝিয়ে দিন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় Topic Sentence. যেমন:
Topic Sentence: There are many possible contributing factors to global warming.
The topic is “global warming” and the controlling idea is “contributing factors.”
৭। প্যারাগ্রাফের শেষে এক লাইনে প্যারাগ্রাফের Summary লেখা। এই Summary লেখাটাও Topic Sentence এর মতই গুরত্বপূর্ন। Summary এর কারণে আপনার পুরো প্যরাগ্রাফটা যদি কেও নাও পড়, শুধু শেষ লাইনটা পড়ে সে যেন সারমর্ম বুঝতে পারে।
অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় একটা বড় প্যারাগ্রাফ পড়ে প্যরার মাঝখানের অংশ পাঠক মনে রাখতে পারে না। সেক্ষত্রে আপনার Summary আপনার লেখার দক্ষতা এবং গুন অনেকাংশে বাড়িয়ে তোল।
আইইএলটিএস প্রস্তুতি সম্পর্কে আরো পড়ুন