ফেসবুক

ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম – how to create facebook page

সবারই একটা সমস্যা দেখা যায়, পেজে রিচ হচ্ছে না। এর সমাধান পেতে ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম গুলো আপনাকে জানতে হবে। আপনারা পেজে লাইক বাড়াতে পারছেন না, পেজে পোস্ট করলে রিচ হয় না, লাইক কমেন্ট পান না এইসবের কারণ হল আপনার পেজটি ঠিকমত অপটিমাইজ করতে পারেন নাই। এই সব সমস্যার সমাধান পেতে আজকে আমরা জানবো ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম ।

যদি আপনার অলরেডি কোন পেজ থাকে অথবা নতুন কোন পেজ খুলবেন ভাবছেন তাহলে কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় এই পোস্টে যেসব নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব তা আপনাকে ফলো করতে হবে। আজকের পোস্ট থেকে আপনি যা শিখবেন সে দক্ষতা দিয়ে নিজের পেজ অপ্টিমাইজ করতে পারবেন এমনকি অন্যের পেইজও আপটিমাইজ করে দিতে পারবেন। তাছাড়া এ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম- how to create facebook page

ফেসবুক পেজ খুলা আপনার জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে সহজ কাজ। এজন্য আপনাকে নিচের ছবির মত + প্লাস বাটনে ক্লিক করে Page বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম

Page বাটনে ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটা ইন্টারফেস চলে আসবে।

ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম

এখানে দেখতে পাচ্ছেন আপনার পেজের নাম লেখার জায়গা সবার প্রথমে আছে। তারপর ক্যাটাগরি সিলেক্ট করার অপশন এবং ডেসক্রিপশন লেখার জায়গা রয়েছে। এইখান থেকে আমাদের কাজ শুরু। সবার আগে আপনাদের যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে তা হল, আপনার পেজটি কোন বিষয়ে খুলতে চাচ্ছেন। আপনি যে বিষয়ের উপর পেজ খুলবেন সেটি আপনার কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অথবা এন্টারটেইনমেন্ট নাকি অন্য কিছু তা আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে।

নাম নির্বাচন

এখন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল কত স্পষ্ট এবং সহজ, সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করতে পারেন আপনার পেজের জন্য। একটা সহজ নাম রাখার উপকারিতা হচ্ছে, আপনি যখন একটি সহজ ও সুন্দর নাম রাখতে পারবেন, তখন যে কেউ আপনার পেজের নামটি মনে রাখতে পারবে। আপনার পেজের নাম মনে রাখার জন্য তাদের খুব একটা কষ্ট হবে না। আপনি নিজে একটু অনুধাবন করুন যে, আপনার পেজের একটি সুন্দর নামের গুরুত্ব কত বেশি!

নাম নির্বাচন করার সময় আপনি যে নামটি নির্বাচন করবেন ভাবছেন তা লিখে আগে ফেসবুকে সার্চ করুন। আবারও বলছি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনার পেজের নাম যেন খুব সহজ ও আকর্ষণীয় হয়। যাতে করে আপনার যারা ইউজার আছে তাদের মাথায় আপনার ব্র্যান্ড আইডিন্টিটি খুব সহজেই গেঁথে যেতে পারে। আপনি যে নামটা নিয়ে চিন্তা করছেন সেটি যদি ফেসবুকে না থাকে তাহলে আপনি সে নামটি সিলেক্ট করুন। যদি দেখেন এই নামে অলরেডি পেজ আছে ফেসবুকে তাহলে এই নাম দেয়া যাবে না।

ফেসবুকে অলরেডি পেজ আছে এমন কোন নাম দিয়ে যদি আপনি পেজ ক্রিয়েট করেন তাহলে আপনাকে বেশ কিছু অসুবিধায় পড়তে হবে। যেমন আপনি পেজ অপ্টিমাইজ করে পূর্বের পেজগুলোকে অত সহজে টপকাতে পারবেন না। যদিও আপনি প্রোপারলি অপটিমাইজ করছেন, নিয়ম অনুযায়ী আপনার সুবিধা বেশি পাওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায় না।

আমি যেহেতু প্রতিটি টিউটোরিয়াল আপনাদের প্র্যাকটিক্যালি দেখিয়ে থাকি, এই টিউটোরিয়েলে ও আমি আপনাদের প্র্যাকটিক্যাল দেখিয়ে দিব কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় । আপনারা যাতে আমার পোস্ট থেকে প্রত্যেকটা জিনিস কমপ্লিটলি শিখতে পারেন, সে ভাবেই আমি টিউটোরিয়াল সাজিয়ে থাকি। এখন আমি একটি ই-কমার্স শপ পেজ খুলে আপনাদের দেখাব। কেননা, বর্তমানে ফেসবুকে ই-কমার্স বিজনেস খুবই ট্রেন্ডিং একটা বিষয়। তাহলে আপনি যদি একটি ফেসবুক শপ পেজ অপটিমাইজ করা শিখতে পারেন তাহলে একই নিয়মে যেকোন পেজ অপটিমাইজ করতে পারবেন। আরো যে সুবিধাটি আছে তা হল, এটি শিখলে লোকাল মার্কেটে খুব সহজেই কাজ পাবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

তাহলে আমি আমার পেজের নাম নির্বাচন করলাম Shopnik দেখেন এবার, নামটা কত সহজ এবং সুন্দর হল। আমার কাস্টমাররা এ নামটি খুব সহজেই মনে রাখতে পারবে। এই নামটি লিখে আমি ফেসবুকে সার্চ করে দেখেছি এই নামে কোন পেজ নেই, তাই এই নামটি আমি সিলেক্ট করেছি। এরপরে আসে ক্যাটাগরি।

ক্যাটাগরি

এইখানে আপনি ৩টি ক্যাটাগরি দিতে পারবেন। আমি যেহেতু এই পেইজে মেয়েদের বিউটি প্রোডাক্ট সেল করব তাই এর মেইন ক্যাটাগরি দিব Beauty, cosmetic & personal care শুরুতে আপনি যে ক্যাটাগরি দিবেন সেটি হবে পেজের মেইন ক্যাটাগরি। তারপর সেকেন্ড ক্যাটাগরি Shopping & retail এবং থার্ড Accessories আপনি যে বিষয়ের উপর পেজ ক্রিয়েট করবেন তার সাথে রিলেটেড ক্যাটাগরি আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।

আপনার ক্ষেত্রে হতেই পারে আপনি বুঝতে পারছেন না ক্যাটাগরি কি দিবেন। তাহলে আপনি যেটা করবেন তা হল, আপনার পেজের সাথে মিলে একই বিষয়ের উপর অন্যান্ন ভালমানের পেইজ খুঁজে বের করে দেখবেন তারা কোন ক্যাটাগরি দিয়েছে। এই ক্যাটাগরি আপনার পেইজকে আপনার কাস্টমারদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডেসক্রিপশন

ক্যাটাগরির পরে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল ডেসক্রিপশন। যখন আমরা একটা পেইজ ক্রিয়েট করব তখন আমাদের দুইটা জাগায় ডেসক্রিপশন এড করব। এই বিষয়টি আপনার মাথায় রাখতে হবে। এখানে যে ডেসক্রিপশন টা দিবেন, এটা হচ্ছে আমাদের প্রথম ডেসক্রিপশন। এই ডেসক্রিপশনে ২৫৫ ক্যারেক্টার লিমিট থাকবে।

২৫৫ ক্যারেক্টারের মধ্যে আপনাকে ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। এখানে আপনি যা করবেন তা হল, আপনি যে ক্যাটাগরি গুলো দিয়েছেন সেগুলো এখানে প্লেস করবেন। ক্যাটাগরি নিয়ে সংক্ষেপে আপনার পেজ সম্পর্কে এখানে লিখবেন। যেমন দেখুন আমি আমার পেজে লিখেছি,

একটু ভালো করে দেখুন, আমি এখানে যে ওয়ার্ড গুলো লিখেছি, এগুলো লিখে কিন্তু মানুষ সার্চ করে।

ডেসক্রিপশন লেখা হয়ে গেলে আপনি ক্রিয়েট পেজ বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে প্রোফাইল ফটো এবং কভার ফটো আপলোড করার জায়গা দিবে।

প্রোফাইল ফটো

প্রোফাইল ফটো হবে আপনার বিজনেজ লোগো। এটি আপনার ব্র্যান্ড আইডিন্টিটি, তাই প্রোফাইল ফটো আপনার পেজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনি যদি সুন্দর লোগো ডিজাইন না পারেন তাহলে অবশ্যই কোন একজন ডিজাইনার কে দিয়ে লোগো ডিজাইন করে নিবেন। পেজে যেকোন ছবি আপলোড করার আগে অবশ্যই আপনাকে ছবিটি ভালোভাবে অপটিমাইজ করে নিতে হবে। চলুন দেখি কিভাবে ছবি অপটিমাইজ করতে হয়?

ইমেজ অপটিমাইজেশন

এটি আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, প্রোপারলি অপটিমাইজ না করে কোন ছবি আপলোড করা যাবে না। আবারও বলছি আপনার পেজের প্রত্যেকটা ছবি অবশ্যই ভালোভাবে অপটিমাইজ করে তারপর আপলোড করবেন। প্রোফাইল ছবির ক্ষেত্রে আপনার পেজের নাম দিয়ে প্রথমে ছবিটি ছোট হাতের অক্ষরে রিনেইম করে নিবেন। তারপর ছবির উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Properties ক্লিক করে Details ট্যাবে চলে যাবেন। নিচের ছবিতে দেখুন কি করবেন।

ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম

ছবির মত করে টাইটেলে আপনার পেজের নাম দিবেন। তারপর রেটিং ৫* করে দিবেন এবং ট্যাগ বক্সে আপনার যত প্রোডাক্ট আছে সবগুলো ট্যাগ দিয়ে দিবেন। তারপর আপনি এপ্ল্যাই বাটনে ক্লিক করে সেভ করবেন এবং প্রোফাইল ছবি আপলোড করবেন।

আপনার ছবিটি যদি .PNG ফরম্যাটে হয়, তাহলে এভাবে অপটিমাইজ করতে পারবেন না। তখন আপনি ফটোশপে ছবিটি ওপেন করে Ctrl+Shift+Alt+i চাপলে একটি বক্স চলে আসবে যেখানে কিওয়ার্ড লেখার যায়গা পাবেন।

কভার ফটো

একইভাবে অপটিমাইজ করে আপনার কভার ফটো তৈরি করুন। আর একটা কথা আপনাকে আরো বেশি গুরুত্বের সাথে মাথায় রাখতে হবে, সেটি হলো ইমেজের সাইজ। এখন আপনি কভারে ইডিট বাটনে ক্লিক করলে শুধু যে ছবি দিতে পারবেন তা কিন্তু না। আপনি চাইলে কভারে স্লাইড শো কিংবা ভিডিও দিতে পারবেন। আমি আপনাকে এটাই সাজেস্ট করব, শুধু একটা ছবি দিয়ে রাখবেন না।

Facebook Page images:

  • Profile Photo: 2048 x 2048 pixels; ratio 1:1
  • Cover Photo: 1958 x 745 pixels; ratio 2.63:1

Facebook Photo Posts images (in the News Feed):

  • All aspects: 2048 pixels (width)
  • Square: 2048 x 2048 pixels
  • Portrait: 2048 x 3072 pixels
  • Landscape: 2048 x 1149 pixels

Facebook Page Ad images:

  • Link/Offer in Desktop News Feed: 1200 x 628 pixels
  • Link/Offer in Desktop Sidebar Ad: 254 x 133 pixels
  • Link/Offer on Mobile News Feed: 560 x 292 pixels
  • Image Posts: 2048 pixels wide
  • Image Posts (Mobile): Up to 626 x 840 pixels

Facebook Page Like Ad images:

  • Desktop: 1200 x 444 pixels
  • Sidebar: 254 x 94 pixels
  • Mobile: 560 x 208 pixels

পেজ লিংক / ইউজার নেইম

আপনার পেজটি ফেসবুক সার্চ রেজাল্ট এবং গুগল সার্চ রেজাল্টের ১ম পজিশনে আনতে পেজ লিংক বা ইউজার নেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার পেজের কোন ইউজার তার কোন ফ্রেন্ড বা রিলেটিভদের কাছে আপনার পেজটি সাজেস্ট করবে তখন এটি খুবই সাহায্য করবে।

সতর্কতাঃ কমক্ষে ২০টা লাইক আসার আগে কখনো ইউজার নেম ইডিড করবেন না। যদি করেন তাহলে আপনার পেজের অপটিমাইজেশন কোন কাজে আসবে না। তাই কমপক্ষে ২০টা লাইক আসার পরে এটি করেন।

Create @username এ ক্লিক করুন।

ইউজারনেমে আপনার পেজের নাম দেন। যদি এবেইলেবল না থাকে তাহলে নামের শেষে আপনার পেজের সাথে রিলেটেড ওয়ার্ড এড করে দেন।

বাটন এড করা

এরপরে যেটা আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা হল বাটন এড করা। এর উপর আপনার পেজের রেসপন্স রেট অনেকাংশে নির্ভর করে। এখানে অনেক গুলো বাটন আছে। আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার পেজের ক্যাটাগরির উপর। যেহেতু আমাদের পেজটি একটি ইকমার্স বিজনেসের জন্য তাই এখানে আমাদের সেন্ড মেসেজ বাটন টি এড করতে হবে। কারণ আমাদের কাস্টমার আমাদের সাথে সরাসরি কন্টাক্ট করতে চাইবে।

আরেকটা জিনিস সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট, তা হল কল নাও বাটন। ধরুন আপনার পেজে কেউ মেসেজ দিল তার একটি প্রোডাক্ট পছন্দ হয়েছে। আপনি রেসপন্স করতে দেরি করলেন। এর মধ্যে আপনার কাস্টমার মার্কেটে গিয়ে প্রোডাক্ট টি পেয়ে কিনে ফেলল। তাহলে দেখুন। কল নাও বাটন টা যদি এড করে রাখতেন তাহলে আপনার কাস্টমার আপনাকে ডিরেক্ট কল করত।

আপনার বিজনেস যদি ওয়েবসাইট বেইজ হয়, তাহলে আপনাকে শপ নাও বাটন এড করতে হবে। শপ নাও বাটনে ক্লিক করলে আপনার কাস্টমার সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে চলে যাবে।

এরপরে আমরা চলে যাব পেজ সেটিংস এ

পেইজ ইনফো

লেফট সাইডবারে Settings বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর Page info বাটনে ক্লিক করবেন। এখানে আমাদের ইউজারনেম, ক্যাটাগরি, ডেসক্রিপশন এগুলো অলরেডি দেয়া হয়ে গেছে। এখন আমরা চলে যাব কন্টাক্ট অপশনে। এখানে আপনার ফোন নাম্বার এড করে দিবেন। যে নাম্বারে আপনার কাস্টমার সরাসরি আপনার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারবে।

তারপর হোয়াটসএপ নাম্বার, ইমেল, ওয়েবসাইট সবকিছু দিয়ে দিবেন। যদি ওয়েবসাইট না থাকে দেয়ার দরকার নাই। আমি সাজেস্ট করব আপনার বিজনেসের জন্য অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। আপনার বিজনেসের যদি ফিজিক্যাল লোকেশন থাকে তাহলে লোকেশন দিবেন, যদি না থাকে তাহলে দেয়ার দরকার নেই।

তারপর আসে সার্ভিস এড়িয়া। আপনার বিজনেজে কোন কোন এড়িয়াতে সার্ভিস দেন বা প্রোডাক্ট সেল করেন তা অবশ্যই দিয়ে দিবেন। এরপর বিজনেস আওয়ার। আপনি কক্ষনোই এটি ২৪আওয়ার সিলেক্ট করবেন না। তাহলে দেখা যাবে কোন কাস্টমার ভোর ৪টা সময় আপনার সাথে কন্টাক্ট করতে চাইবে। আপনি তখন রেসপন্স নাও করতে পারেন। তাহলে আপনার পেজের রেসপন্স রেট কমে যাবে। তাই আপনার সুবিধামত বিজনেজ আওয়ার সিলেক্ট করে দিবেন।

এরপর যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল প্রোডাক্ট সেকশন। এখানে আপনি যতগুলো প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করছেন, সবগুলো দিয়ে দিবেন। প্রোডাক্ট দেয়ার পর এডিশনাল ইনফরমেশন সেকশনে আপনার প্রোডাক্টের ডিটেইলস দিয়ে দিবেন। তারপর প্রাইস রেঞ্জ। এটি দেয়ার সবচেয়ে ভালো প্র্যাকটিস হলো মোডারেট দেয়া। এটি নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু বলতে হবে। তাই আপনাকে যা বলছি আপনি তাই করুন।

তারপর আপনার অন্যান্য সোস্যাল একাউন্ট গুলো এখানে এড করে দিতে হবে। অনলাইনে আপনার বিজনেসের যত বেশি সোস্যাল প্রেজেন্স থাকবে আপনার পেজটি তত বেশি স্ট্রং হবে।

তাহলে আপনি যদি এই সবগুলো কাজ ঠিকমতো করতে পারেন, আপনার পেজটি কমপ্লিটলি অপটিমাইজ হয়ে যাবে। পেজের রিচ নিয়ে আপনাকে আর কখনোই ভাবতে হবে না। এ কাজ গুলো করতে আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না। এখন আসি কোন জাগায় আপনার সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হবে।

তারপর আপনার পেজটি ডিজাইন করতে হবে। আমি আরেকটা পোস্টে প্র্যাকটিক্যালি দেখিয়েছি কিভাবে ফেসবুক শপ ডিজাইন করতে হয়। এটি দেখে আপনার শপ ডিজাইন করে ফেলুন। পেজ রুলস, ক্যাম্পেইন রান করা, বিজনেস ম্যানেজার সহ আরো অনেক কিছু থাকবে পরবর্তি পোস্টে। আপাতত আপনার কাজ শেষ। আমার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ফেসবুক বুস্টিং কিভাবে করতে হয় তা দেখে নিন।

Conclusion

পুরো পোস্টে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারলেন কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় । এখন আপনি এগুলো নিজের পেজে এপ্লাই করুন। পুরো প্রসেস টি ভালোভাবে আয়ত্ব করুন। এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এটি ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার অনেক ভাল একটি উপায়। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম, গেম খেলে টাকা ইনকাম, অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় এবং ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এই পোস্ট গুলো আপনার জন্য খুবই কার্যকরী হবে, যদি আপনি অনলাইনে আয় করতে চান। তাছাড়া ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম এবং সবশেষে জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

এই আর্টিকেলে ব্যবহৃত এক বা একাধিক কপিরাইটবিহীন ছবি https://www.freepik.com থেকেে সংগৃহীত হয়েছে।

আমি জানি আপনার মনে আরো অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই আপনার যত প্রশ্ন আছে কমেন্টে আমাদেরকে জানান। আমরা আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিব। আমাদের কাছে যেকোন হেল্প পেতে অবশ্যই যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

5/5 - (103 votes)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button