বিসিএসশিক্ষা

মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর, রচনা ও অনুচ্ছেদ 2023

মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর গুলো সবারই জেনে রাখা জরুরী। কেননা, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার রিটেন / ভাইবাতেও মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন থাকতে পারে। এখানে আমরা খুটিনাটি ও বিস্তারিত সকল তথ্য সংক্ষিপ্ত ও রচনা আকারে সাজিয়েছি। এবং শেষের অনুচ্ছেদে মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য দেয়া আছে।

মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

অর্থায়নঃ জাইকা(৭৫ ভাগ),বাংলাদেশ সরকার(২৫ ভাগ)
প্রকল্পের নামঃ মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)লাইন-৬
প্রকল্প পরিচালনাঃ ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড(ডিএমটিসিএল)
নির্মাণ কাজ শুরু হয়ঃ ২৬ জুন,২০১৬
মূল ব্যয় ছিলঃ ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা
বর্তমান ব্যয়ঃ ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা
পূর্বে দৈর্ঘ্য ছিলঃ ২০.১০ কিলোমিটার
বর্তমান দৈর্ঘ্যঃ ২১.২৬ কিলোমিটার
পূর্বের স্টেশন সংখ্যাঃ ১৬
বর্তমান স্টেশন সংখ্যাঃ ১৭
১৭তম স্টেশনঃ কমলাপুর
ট্রেন সংখ্যাঃ ২৪
প্রথম নারী চালকঃ মরিয়ম আফিজা
উদ্ধোধন হয়ঃ ২৮ ডিসেম্বর,২০২২(১১.৭৩ কিলোমিটার)
উত্তরা থেকে মতিঝিল সময় লাগবেঃ ৪০ মিনিট
সর্বনিম্ন ভাড়াঃ ২০ টাকা
সর্বোচ্চ ভাড়াঃ ১০০ টাকা
ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিঃ ১০০কি.মি/ঘন্টা
স্টেশনের প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্যঃ ১৮০ মিটার
প্রতি ট্রেনে বগিঃ ৬টি

মেট্রোরেল রচনা

ভূমিকাঃ ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে মেট্রোরেল প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।মোট পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।এম আর টি ১,২,৪,৫,৬।জাইকা এর অর্থায়নে দি ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সার্ভে এবং এম আর টি ৬ নামে মেট্রোরেলের জন্য প্রথম এম আর টি রুট নির্বাচন করা হয়।

দেশে দেশে মেট্রোরেলঃ মেট্রো রেল বিশ্বের অনেক বড় শহরে গণপরিবহণের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ১৮৬৩ সালে লন্ডনে প্রথম দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম চালু করা হয়েছিল, যা এখন ‘লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড’-এর একটি অংশ। ১৮৬৮ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এনওয়াইতে তার প্রথম দ্রুত ট্রানজিট রেলব্যবস্থা চালু করে এবং ১৯০৪ সালে, নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে প্রথমবারের জন্য খোলা হয়েছিল। এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে, জাপান হলো প্রথম দেশ যেটি ১৯২৭ সালে একটি পাতাল রেলব্যবস্থা তৈরি করে। ভারত ১৯৭২ সালে কলকাতায় তার মেট্রো সিস্টেম নির্মাণ শুরু করে। এর পরে, ভারত অন্যান্য শহরেও মেট্রো রেলব্যবস্থা তৈরি করে। বর্তমানে, বিশ্বের ৫৬টি দেশের ১৭৮টি শহরে ১৮০টি পাতাল রেলব্যবস্থা চালু রয়েছে।

বাংলাদেশে মেট্রোরেলের প্রয়োজনীয়তাঃ ২০০৪ সালে ঢাকা শহরে যানবাহনের গড় গতি ছিলো ২১ কি.মি/ঘন্টা।২০১৫ সালে এসে তা হয়েছে ৭ কি.মি/ঘন্টা।আর মানুষের হাঁটার গতি ৪ কি.মি/ঘন্টা।তাই বলা যায়,একটা সময় যানবাহনের গতি এমন হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো যে, মানুষ হেঁটেই যানবাহনের আগে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।যদিও পরবর্তীতে সেটা হয়নি।তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে মানুষের সময় লাগতো ৩-৪ ঘন্টা।ঢাকা শহরে যানজটের কারণে বছরে প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন খরচ হয় আর প্রতিদিন মানুষের অনেক কর্মঘন্টা নষ্ট হয়।মেট্রোরেল প্রতি বছর ২.৪ বিলিয়ন টাকা সাশ্রয় করবে।তাছাড়া উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট।মেট্রোরেল একই সাথে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে অবদান রাখবে এবং এটা থেকে সরকারের অনেক টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।

মেট্রোরেলের গুরুত্বঃ মেট্রোরেল জাতীয় অর্থনীতি,পরিবেশ প্রভৃতিতে অবদান রাখবে।তাছাড়া মানুষের যাতায়তের খরচ কমবে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।নিচে মেট্রোরেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান তুলে ধরা হলো।

অর্থনীতিতে অবদানঃ প্রতিটি মেগা প্রজেক্টেরই মুনাফা অর্জনের বানিজ্যিক দিক রয়েছে।তবে সবসময় যে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব তা নয়।সরকার অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং এ জন্য সরকারকে ভর্তুকি প্রদান করতে হয়।মেগা প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হলো বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নের সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করা।জনগণ যেন সাশ্রয়ী মূল্যে পরিষেবা গ্রহণ করতে পারে সেটাও মেগা প্রজেক্টের উদ্দেশ্য।

মেট্রোরেল প্রকল্পে সরকারের লাভ হবে নাকি লোকসান হবে তা ভাড়া নির্ধারণের উপর নির্ভর করে।বিআরটিএ প্রথমে যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে সেটা থেকে দেখা যায়,সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ২০টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।প্রতিদিন মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।সে টাকা প্রতিদিন ট্রেনে উঠা যাত্রীদের কাছ থেকে যেন উঠানো যায় সে হিসেবেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে বিদ্যুৎ বিল,কর্মচারীদের বেতন,বৈদেশিক ঋণ,দেশি বিনিয়োগের রিটার্নসহ এমআরটিএর সব খরচ উঠানোর জন্য ভাড়ার টাকা যথেষ্ট হবে না।এই জন্য ডিএমটিসিএল নন-ফেয়ার উৎস থেকে রাজস্ব তৈরির চিন্তা করছে।প্রতিটি স্টেশনে ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট(টিওডি),স্টেশন প্লাজা এবং অন্যান বানিজ্যিক সুবিধা সংযুক্ত করা হবে।নন-ফেয়ার উৎস থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ রাজস্ব আয়ের ব্যবস্থা করা হবে।কয়েকটি স্টেশনে স্টেশন প্লাজা নির্মাণ করা হবে।স্টেশনের কাছাকাছি বিশ্বমানের বিনোদন পার্ক,দৈনন্দিন পণ্যের বাজার ও শপিং মল নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।এটা থেকে সরকারের অনেক আয় হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে সরকার।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিঃ মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক লোকবলের প্রয়োজন হবে।এগুলোর মধ্যে আছে,অপারেটিং রুম,টিকিট কাউন্টার,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,এসকেলেটর,লিফট,প্রার্থনার স্থান,অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা।এসবে নতুন নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে।ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
তাছাড়া মেট্রোরেলের আশেপাশে ব্যক্তিগত ব্যবসা গড়ে উঠবে যাতে করে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

দুর্ভোগ প্রশমনঃ ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ গণপরিবহনে যাতায়াত করে।পিক আওয়ারে অনক সময় বাস পাওয়া যায় না।তাছাড়া বাসে প্রচুর ভিড় থাকে।ঠেলাঠেলি করে উঠতে হয়।ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হয়।এর উপর অতিরিক্ত ভাড়া আরবাস কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার তো আছেই।মেট্রোরেল এই দুর্ভোগ প্রশমনে সহায়তা করবে।প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬০০০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।দুই পাশে ১২টি করে মোট ২৪ টি ট্রেন ৪ ঘন্টা পর পর ছেড়ে যাবে। নারীরা অনেক সময় বাসে হয়রানির শিকার হয়।মেট্রোরেলে নারীদের হয়রানি কমবে।

ঢাকার উপর চাপ কমবেঃ ঢাকা শহরে প্রায় ৪-৫ কোটি মানুষের বাস।ঢাকার আশেপাশের অঞ্চলগুলো থেকেও মানুষ এসে ঢাকায় বাসা নিয়ে থাকে।মেট্রোরেল হওয়ার ফলে ঐসব অঞ্চলের মানুষ এখন তাদের নিজ নিজ বাসা থেকেই প্রতিদিন এসে কর্মস্থলে অংশগ্রহণ করতে পারবে।এতে ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব কমবে।

পরিবেশগত অবদানঃ ঢাকার রাস্তায় চলমান সব যানবাহন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে, যা পরিবেশ দূষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এ ছাড়া ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের উদ্যোগ চলছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। মেট্রো রেল রাজধানীর পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ঢাকার বায়ুদূষণ অন্যান্য মেগাসিটির তুলনায় অনেক বেশি তীব্র। যেহেতু মেট্রোরেল ‘বিদ্যুৎ চালিত’ এবং প্রতি ঘণ্টায় বেশি যাত্রী বহন করতে পারে, তাই ঢাকায় বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াতের প্রবণতা কমে যাবে। এতে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কমবে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী হবে। এ ছাড়া শব্দ, শক এবং কম্পন কমাতে মেট্রো রেলে ম্যাস স্প্রিং সিস্টেম [এমএসএস] প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শব্দদূষণ রোধে কংক্রিটের পাশের দেওয়ালও করা হবে। এ প্রযুক্তি পরিবেশের ওপর মেট্রোরেলের প্রভাব কমাবে।

যেভাবে চড়তে হবে মেট্রোরেলেঃ স্টেশনের তৃতীয় তলায় প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর আগেই কয়েকটি ধাপ আসবে যাত্রীর সামনে। প্রথমে সড়ক থেকে সিঁড়ি বা চলন্ত সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটরে করে যেতে হবে দোতলায়; সেটি কনকোর্স এলাকা।

কনকোর্সের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। মেট্রোরেলের দুই ধরনের টিকিট আছে। দীর্ঘমেয়াদি টিকিট হিসেবে এমআরটি পাস নিতে হবে। একবারের যাত্রার টিকিটও কেনা যায়। দুটোই পাওয়া যাবে কাউন্টারে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় ‘টিকিট বিক্রয় মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা যাবে একবারের যাত্রার টিকিট।
টিকিট কাটার পর ট্রেন ধরতে ঢুকতে হবে পেইড জোনে। সে জন্য অটোমেটেড প্রবেশ পথে নির্ধারিত জায়গায় টিকিট ছোঁয়ালে খুলে যাবে দরজা।

মেট্রোরেল ভাড়াঃ সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ভাড়া। মেট্রো রেলের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছে।
দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৬০ টাকা,পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা,মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা,শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা।
পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা।
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ফার্মগেট ৩০ টাকা
মিরপুর–১০ স্টেশন থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া ৫০ টাকা।
মিরপুর-১০ থেকে সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যেতে ৬০ টাকা।

উপসংহারঃ এটা নির্দ্বিধায় বলা চলে যে, মেট্রোরেল বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। স্বপ্নের এই মেট্রোরেল দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে। ঢাকা শহরের মানুষের জন্য স্বস্তির গণ পরিবহন সংযোজন করেছে এই মেট্রোরেল। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করবে এই মেট্রোরেলে। মানুষের সময়ের যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি হবে অর্থের সাশ্রয়। মেট্রোরেল এদেশের সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার।

মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

১. মেট্রোরেল ২৮ ডিসেম্বর,২০২২ উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২. মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার(২৫ভাগ) ও জাইকা(৭৫ ভাগ)।
৩. উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের দের্ঘ্য ২১.২৬ কিলোমিটার।
৪. এর স্টেশন সংখ্যা ১৭টি। দুই পাশে ১২ টি করে ২৪টি ট্রেন যাতায়াত করবে দৈনিক।প্রতি স্টেশন থেকে ৪ মিনিট পরপর একটি ট্রেন ছাড়বে।
৫. উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট।
৬. মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।
৭. প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছে ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড।
৮. যানজট দূরীকরণ,সময়ের অপচয় রোধ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় মেট্রোরেল ভূমিকা পালন করবে।
৯. অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের উন্নয়নকে দিগুন করে দিবে মেট্রোরেল।
১০. মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে হলে আমাদের সবাইকে এর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে সচেতন থাকতে হবে।

1.9/5 - (112 votes)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button