প্রেগন্যান্সি

সুন্দর ও বুদ্ধিমান সন্তান পেতে গর্ভাবস্থায় কী খাবেন?

সব গর্ভবতীরা চায় তার যেন সুন্দর এবং বুদ্ধিমান সন্তান হয়। তবে এর জন্য গর্ভবতীকে সঠিকভাবে চলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে।

তাহলে চলুন, এই পোস্টে আমরা জানি কোন খাবার গুলো অনাগত শিশুর শারীরিক এবং মানসিক শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রথমে জেনে নেয় সুন্দর ও বুদ্ধিমান শিশুর জন্য গর্ভাবস্থায় কী খাওয়া উচিত।

সুন্দর ও বুদ্ধিমান শিশুর জন্য গর্ভাবস্থায় কী খাওয়া উচিত?

  1. চর্বিযুক্ত মাছ

লং চেইন ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড মাছ সহ অনেক সামুদ্রিক জীবের মধ্যে পাওয়া যায়, যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অপরিহার্য পুষ্টি। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অনাগত শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, মাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাসিড গর্ভাবস্থাকে সুস্থ রাখতে এবং পেরিনেটাল ডিপ্রেশন প্রতিরোধে সহায়ক। তাই গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া অনাগত শিশুর মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে কার্যকরী।

একই সময়ে, সামুদ্রিক খাবারে জৈব পারদ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক টক্সিন যেমন পলিক্লোরিনেটেড বাইফেনাইল থাকতে পারে, যা ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এই কারণে FDA (ফুড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি) প্রতি সপ্তাহে দুইটি টি মাছ (প্রায় 340 গ্রাম) খাওয়ার পরামর্শ দেয়।

  1. সবুজ শাক সবজি

প্রতিটি গর্ভবতী মহিলাকে সবুজ শাক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, সবুজ শাক ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ভ্রূণের টিস্যু এবং কোষের বিকাশে কার্যকর। ফলিক অ্যাসিড যুক্ত সবুজ শাক-সবজি অনাগত শিশুর নিউরাল টিউব ত্রুটি (যা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে) হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। এর পাশাপাশি জিঙ্ক, ভিটামিন-বি, ভিটামিন এ, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-সি পর্যাপ্ত সরবরাহের জন্যও সবুজ শাকসবজি ভালো উৎস। তাই গর্ভবতীকে প্রতিদিন ১-২ ভাগ সবুজ শাকসবজি খেতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে শিশুকে মানসিক দুর্বলতার সম্মুখীন হতে না হয়।

  1. ব্লুবেরি

ব্লুবেরি টক স্বাদের জন্য পরিচিত। গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া অনাগত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য উপকারী। NCBI (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ব্লুবেরির নির্যাস হিপ্পোক্যাম্পাসের (মস্তিষ্কের কাঠামোর একটি অংশ) টিস্যুগুলোর বৃদ্ধি এবং সংগঠনকে উন্নত করতে পারে। মস্তিষ্কের এই হিপোক্যাম্পাস কোন কিছু শেখার এবং স্মৃতি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার, ব্লুবেরি প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও উপকারী। তাই, এটি স্নায়বিক ব্যাধি থেকে রক্ষা করতে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়তা করে।

এই ভিত্তিতে, এটি বলা যেতে পারে যে, শিশুর বুদ্ধিমত্তার সঠিক বিকাশের জন্য গর্ভাবস্থায় ব্লুবেরি খাওয়া যেতে পারে।

  1. ডিম

ডিম সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া অনাগত শিশু এবং মা উভয়ের জন্যই উপকারী। ডিমে অনেকগুলি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে, যার মধ্যে একটি হল কোলিন, এটি একটি পুষ্টি উপাদান যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। ইঁদুরের ওপর করা এক গবেষণায় ডিমে উপস্থিত কোলিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিন 450 মিলিগ্রাম কোলিনের প্রয়োজন হয়, তাই বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করার জন্য খাবারে কোলিন যুক্ত ডিম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

  1. বাদাম

বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-ই, কোলিন, ফোলেট এবং প্রোটিন-বর্ধক উপাদান রয়েছে। ফোলেট শিশুদের নিউরাল টিউব ত্রুটির (মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের সাথে সম্পর্কিত ত্রুটি) ঝুঁকি কমাতে পারে। অতএব, ফোলেট সহ অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহের জন্য গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়া উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় এক-তৃতীয়াংশ কাপ বাদাম খাওয়া যেতে পারে।

  1. গ্রীক দই

প্রোটিনের অভাব ভ্রূণকে অপুষ্টিতে পরিণত করতে পারে, যা ভবিষ্যতে শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রোবায়োটিক খাবার যেমন গ্রীক দই শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে প্রোটিনের হজমকে উন্নত করতে পারে। প্রোবায়োটিকের এই কার্যকলাপ ক্যালসিয়ামের শোষণকেও বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্রীক দইয়ে সাধারণ দইয়ের চেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় এবং এতে চিনির পরিমাণও কম থাকে, তাই এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি ভাল খাবার হিসাবে বিবেচিত হয়।

  1. পনির

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রয়োজন। পনির খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলারা ভিটামিন-ডি পেতে পারেন, যা ভ্রূণের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন 600 মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন, এবং পনির এমন একটি খাবার যা ভিটামিন ডি এর একটি ভাল প্রাকৃতিক উত্স হিসাবে বিবেচিত। এই ভিত্তিতে বলা হয়, পনির শিশুকে বুদ্ধিমান করতে ভিটামিন-ডি সরবরাহ করতে পারে।

  1. কুমড়োর বীজ

কুমড়োর বীজ জিঙ্ক এবং আয়রনের ভালো উৎস। আয়রনের ঘাটতির কারণে শিশুর হিমোগ্লোবিন এবং শক্তির মাত্রা কম হতে পারে। এছাড়াও, এই অভাব মানসিক ক্ষমতা যেমন মোটর এবং জ্ঞানীয় দক্ষতা প্রভাবিত করতে পারে। আয়রন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা মস্তিষ্কের কোষকে কাজ করার শক্তি দেয়। অতএব, আয়রনের ঘাটতি প্রতিরোধে কুমড়ার বীজ খাওয়া যাবে।

  1. মটরশুটি

দ্রুত বর্ধনশীল কোষের বৃদ্ধি ও বিস্তারের জন্য আয়রন গুরুত্বপূর্ণ। আয়রন ভ্রূণের অঙ্গ গঠনে এবং বিশেষ করে মস্তিষ্কের গঠনে সহায়ক। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, হিপ্পোক্যাম্পাস (মস্তিষ্কের অঞ্চল) গঠনে আয়রনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করে। হিপ্পোক্যাম্পাস মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কিছু শেখা এবং স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অতএব বলা যায়, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কিডনি বিন, মটরশুটি এবং নেভি বিনের মতো আয়রন-সমৃদ্ধ শিম খাওয়া উচিত।

  1. দুধ

দুধে কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যার মধ্যে গ্যাংলিওসাইড নামক যৌগ থাকে। নবজাতকের স্নায়বিক টিস্যু এবং মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, দুধে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা একটি সুস্থ শিশু এবং সুস্থ মায়ের প্রথম প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে যে, একজন মহিলার গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন 1000 থেকে 1300 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। অতএব, গর্ভাবস্থায় দুধ পান করতে ভুলবেন না, কারণ এটি ক্যালসিয়ামের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এক কাপ নন-ফ্যাট দুধে 299 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ফুল ক্রিম দুধে 276 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটা লক্ষণীয় যে, দুধে ফ্যাট থাকার কারণে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। অতএব, ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে স্কিম বা নন-ফ্যাট মিল্ক পান করা ভালো।

  1. নারকেল এর পানি

গর্ভাবস্থায় শরীরে ফোলেট সরবরাহের জন্য নারকেল পানি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। আমরা উপরে উল্লেখ করেছি, ফোলেট নবজাতকের নিউরাল টিউব ত্রুটির ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়াও, এতে সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

  1. কমলা

গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ঘাটতি নিউরাল টিউব (শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের ত্রুটি) জড়িত জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। কমলালেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড। অতএব, গর্ভবতী মহিলারা ফলিক অ্যাসিডের পরিপূরক কমলা খাওয়ার মাধ্যমে শিশুর সুস্থ মস্তিষ্কের ভিত্তি স্থাপন করতে পারেন।

  1. আমলা

আমলা বিভিন্ন মানসিক ব্যাধি এবং নিউরোডিজেনারেটিভ (স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত) সমস্যাগুলোর চিকিত্সার জন্য দরকারী। এর সাথে ভিটামিন-সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ আমলার সেবন গর্ভবতী এবং অনাগত সন্তানের জন্যও ভালো। এর পরেও ভালো হয়, গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা।

  1. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

যে কোন গর্ভবতী মহিলার প্রথম প্রয়োজন হল আয়রন। বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলা জানেন যে আয়রন রক্তাল্পতা সৃষ্টি করে। এর সাথে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারও ভ্রূণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রূণের বিকাশের সময় আয়রনের ঘাটতি মস্তিষ্কের বিকাশ, শেখার এবং মানসিক বিকাশকে ব্যাহত করতে পারে। তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান, এগুলো শিশুর মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি, গর্ভবতী মহিলারা প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে আয়রন ট্যাবলেটও খেতে পারেন।

  1. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

ক্যালসিয়াম একটি শিশুকে স্মার্ট ও বুদ্ধিমান করতে বড় ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, শরীরে এনজাইম নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যালসিয়াম ব্যবহার করে, যা মানবদেহের প্রায় প্রতিটি কাজকে প্রভাবিত করে। এই ভিত্তিতে, বলা হয় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে, ভ্রূণ উপরোক্ত সুবিধা পাবে এবং তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ভাল হবে।

  1. ঘি

গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমাণে ঘি খাওয়া গর্ভবতীর পাশাপাশি অনাগত শিশুর জন্যও উপকারী। এটি ভ্রূণকে পুষ্ট করতে, বুদ্ধিমত্তা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

  1. আঙ্গুরের রস

আঙুরের রসে রেসভেরাট্রল নামক উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এর সেবনে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়, তবে আমরা এখানে এর গুণাগুণ সম্পর্কে বলছি, যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। রেসভেরাট্রল মস্তিষ্কের প্রোটিনকে একত্রে আটকে থাকতে বাধা দেয়, যা আলঝেইমারস (স্মৃতি হ্রাসের সাথে সম্পর্কিত একটি ব্যাধি) এর মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। যদিও বৃদ্ধ বয়সে আলঝেইমার বেশি হয়, কিন্তু জেনেটিক কারণে শিশুদেরও হতে পারে। তাই শিশুর মস্তিষ্ককে সাবলীলভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিতে চাইলে সুষম পরিমাণে আঙুর ও এর রস খাওয়া যেতে পারে। আঙ্গুরের রসের চেয়ে আঙুর খাওয়া ভালো।

  1. মৌরি বীজ

মৌরি ভিটামিন এ এবং সি এর একটি ভাল উৎস এবং এতে ম্যাঙ্গানিজও রয়েছে, যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু ফাংশনে সাহায্য করতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় মৌরি খাওয়া কতটা নিরাপদ তা একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলো অনুসরণ করার পরে, তাদের সেবন সম্পর্কিত সতর্কতা সম্পর্কে জানুন।

টিপস এবং সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় খাবার ও পানীয় সংক্রান্ত কিছু বিষয়ের যত্ন নিলে অনেক জটিলতা প্রতিরোধ করা যায়। আসুন জেনে নিই কিভাবেঃ-

১. একটি বুদ্ধিমান শিশুর জন্ম দিতে সর্বদা তাজা এবং ক্যামিকেল মুক্ত ফল এবং শাকসবজি ব্যবহার করুন।

২. প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৩. অ্যালকোহল এবং ধূমপানের মতো নেশাদ্রব্য সেবন করবেন না। এটি মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে।

৪. কাঁচা মাংস, কাঁচা বা কম রান্না করা মাছ, কাঁচা ডিম এবং পাস্তুরিত দুগ্ধজাত দ্রব্য ব্যবহার করবেন না, যা আপনাকে সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

৫. সবসময় শাকসবজি এবং ফল ধুয়ে এবং কাটার পরে খাবেন।

৬. যদি মনে হয় যে ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো দরকার, তাহলে শাকসবজির সাথে পনির বা অমলেটে যোগ করে খান।

৭. খাবার তৈরির সময় স্বাস্থ্যবিধির বিশেষ যত্ন নিন।

৮. প্রতিদিন হাঁটতে যান। এটি রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করবে।

এই পোস্ট থেকে, আপনি একটি শিশুকে বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট করে তুলতে খাবারের ভূমিকা সম্পর্কে শিখেছেন। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, মা গর্ভাবস্থা থেকেই সন্তানের সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি স্থাপন করতে পারেন। এ জন্য খাবার, ব্যায়াম ও বিশ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। আশা করি এই পোস্টে দেওয়া তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।

গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এই লেখাটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

আরো পড়ুনঃ

2.7/5 - (3 votes)

Momtahina Momo

I’m Momtahina Momo, a writer at Shopnik who loves diving into the world of health, beauty, and technology. I enjoy creating content that helps readers live healthier, feel more confident, and stay connected with modern trends. Whether it’s a beauty hack, a wellness routine, or a tech tip, I’m here to share ideas that make everyday life better.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button