পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা
চুলের বৃদ্ধি এবং যত্ন নেওয়া একটি বিশাল কাজ বলে মনে করা হয়। কারণ চুল কখনো সহজে গজায় না। এবং চুল ঝড়া শুরু হলে তা সহজে কমানো ও যায় না। কিন্তু পেঁয়াজের মতো দারুণ উপাদান দিয়ে আপনি চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন এবং সহজেই চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। পেঁয়াজের রস আপনার চুলকে শুধু সুস্থই করবে না, শিকড়ও মজবুত রাখবে। পেঁয়াজের রসের সাহায্যে চুলে বিদ্যমান খুশকির সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নানা উপকার হয়ে থাকে।
তাহলে চলুন আজ আপনাদের জানাই পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম, কিভাবে তৈরি করবেন, উপকারিতা, চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের ব্যবহার এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে –
- প্রথমে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে তারপর চার ভাগে কেটে নিন।
- তারপর মিক্সারে পেঁয়াজের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
- টুকরোগুলো যোগ করার পর এবার এতে কিছু পরিমাণ পানি দিন।
- এবার মিক্সারটি চালান এবং একটি নরম কাপড়ের সাহায্যে এই পেস্টটি ছেকে নিন।
- একটি কাপড় দিয়ে পেস্টটি ছেঁকে রস বের করে নিন।
Contents
পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
- পেঁয়াজের রস আপনার চুলের গোড়ায় বা শিকড়ে ভালভাবে লাগান।
- প্রথমে আঙ্গুল দিয়ে পেয়াজের রস নিয়ে তা মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগান।
- লাগানোর পর মাথার ত্বক ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
- ম্যাসাজ করার পর পেঁয়াজের রস চুলে এভাবে এক ঘণ্টা রেখে দিন।
- এক ঘণ্টা পর সুগন্ধিযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, যাতে পেঁয়াজের গন্ধ চলে যায়। শ্যাম্পুর পর চাইলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
- একইভাবে সপ্তাহে একবার চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন। ভালো ফলাফল এর জন্য এই রস একটানা দুই মাস ব্যবহার করুন।
চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা-
চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের কিছু উপকারিতা নিম্নরূপ-
- পেঁয়াজের রস লোমকূপকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে এবং মাথার ত্বক থেকে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধার করে।
- পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা চুল ভেঙ্গে যাওয়া এবং পাতলা হওয়া কমায়।
- পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা মাথার ত্বকে হওয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি চুলের ভাঙ্গা অংশকে রিপেয়ার করে, যা মাথার ত্বকে সংক্রমণের কারণে ভেঙে যায়।
- এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলের ধূসরতা বা সাদাভাব কমায়।
- এই উপাদানগুলি চুলকে চকচকে করে এবং আপনি যদি এটি প্রতিদিন ব্যবহার করেন তবে আপনার চুল চিরতরে চকচকে হয়ে উঠতে পারে।
- আপনার চুল থেকে নিট এবং উকুন দূর করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন।
- এটি খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
- এছাড়াও এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ উকুন দূর করার উপায় যা চুলকে সুস্থ রাখবে, চুল গজানোর উপায়, কলার ফুলের উপকারিতাঃ ত্বক ও চুলের এই ৩টি সমস্যায় অবশ্যই ব্যবহার করুন
চুলের বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা
১. চুলের বৃদ্ধির জন্য নারকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস –
উপকরণ-
- পেঁয়াজের রস দুই চা চামচ।
- নারকেল তেল দুই চা চামচ।
- পাঁচ ফোঁটা নারকেল তেল (খুশকি থাকলে)।
পদ্ধতি-
- প্রথমে সব উপকরণ মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
- এবার এই পেঁয়াজের রস ও তেলের মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে লাগানোর পর কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন।
- এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা এভাবে রেখে দিন।
- আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এই মিশ্রণটি বানানোর পর এক বা দুই দিন রেখে দিন এবং ব্যবহার করুন।
উপকারিতাঃ নারকেল তেলের চমৎকার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি মাথার ত্বকে গভীরভাবে শোষিত হয়, যার ফলে আপনার মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে নারিকেল তেলের উপকারিতা
২. চুলের বৃদ্ধির জন্য অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রস –
উপকরণ-
- পেঁয়াজের রস তিন চা চামচ।
- অলিভ অয়েল এক বা আধা চা চামচ।
পদ্ধতি-
- প্রথমে অলিভ অয়েল ও পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান এবং লাগানোর পর মাথার ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
- এবার চুলে তেল লাগিয়ে রাখুন দুই ঘণ্টা।
- তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এক বা দুই দিন পর পর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
উপকারিতাঃ অলিভ অয়েল এমন একটি উপাদান যা খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি চুল এবং মাথার ত্বকের অবস্থাও ভালো রাখে। পেঁয়াজের রস চুলকে চকচকে করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ জয়তুন তেলের উপকারিতা কি এবং ব্যবহারের সতর্কতা, মেথি তেলের উপকারিতা ও তৈরির নিয়ম
৩. চুলের বৃদ্ধির জন্য ক্যাস্টর অয়েল এবং পেঁয়াজের রস –
উপকরণ-
- ক্যাস্টর অয়েল দুই চা চামচ ।
- পেঁয়াজের রস দুই চা চামচ।
পদ্ধতি-
- প্রথমে ক্যাস্টর অয়েল ও পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান এবং লাগানোর পর মিশ্রণটি দিয়ে ভালো ভাবে মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন।
- তারপর এই মিশ্রণটি চুলে এভাবে এক ঘণ্টা রেখে দিন।
- এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এই মিশ্রণটি এক বা দুই দিন রেখে দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ১-২ দিন এই মিশ্রণ টি ব্যবহার করুন।
উপকারিতাঃ চুলের বৃদ্ধির জন্য ক্যাস্টর অয়েল সবচেয়ে ভালো প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। এটি চুল ঘন করে এবং চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখে। পেঁয়াজের রসের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায় এবং চুল গজাতে শুরু করে কোনো বাধা ছাড়াই।
৪. চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিম এবং পেঁয়াজের রস –
উপকরণ-
- পেঁয়াজের রস এক চা চামচ।
- একটি ডিম
- দুই থেকে তিন ফোঁটা রোজমেরি বা ল্যাভেন্ডার তেল ।
- শাওয়ার ক্যাপ
পদ্ধতি-
- প্রথমে ডিমের সাথে পেঁয়াজের রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, যাতে নরম পেস্ট তৈরি করা যায়।
- এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান এবং পুরো চুলে লাগান।
- মিশ্রণটি চুলে এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগানোর পর শাওয়ার ক্যাপ লাগান।
- এবার ঠান্ডা পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- ঠাণ্ডা পানি ডিমের গন্ধ কমাতে সাহায্য করবে।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
সপ্তাহে এক থেকে দুবার এই মিশ্রণটি পুনরাবৃত্তি করুন।
উপকারিতাঃ ডিমে উপস্থিত উচ্চমাত্রার প্রোটিন চুলের পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে সুস্থ রাখে। অন্যদিকে পেঁয়াজের রস মাথার ত্বককে সুগঠিত করে, যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। এর পাশাপাশি ডিমের সঙ্গে তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলেও ডিমের গন্ধ অনুভব হয় না।
৫. চুলের বৃদ্ধির জন্য আদা এবং পেঁয়াজের রস –
উপকরণ-
- আদার রস এক চা চামচ।
- পেঁয়াজের রস এক চা চামচ।
পদ্ধতি-
- প্রথমে আদার রস ও পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান এবং স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
- ম্যাসাজ করার পর মিশ্রণটি চুলে এভাবে এক ঘণ্টা রেখে দিন।
- এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এই মিশ্রণটি এক বা দুই দিন রেখে দিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ২দিন ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল এর জন্য।
উপকারিতাঃ আদার সংক্রমণ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজ ও আদার মিশ্রণ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুল ভাঙা কমায়।
আরো পড়ুনঃ আদার উপকারিতা ও অপকারিতা, পেঁয়াজের উপকারিতা
চুল পড়া এবং ভাঙ্গা রোধে পেঁয়াজ এর রসের উপকারিতা
১. চুল ভাঙা রোধে মধু এবং পেঁয়াজের রস –
উপকরণ-
- পেঁয়াজের রস একটি কাপের এক-তৃতীয়াংশ।
- এক চা চামচ মধু।
পদ্ধতি-
- প্রথমে উভয় উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন।
- এবার মিশ্রণটি চুলে এবং মাথার ত্বকে লাগান।
- প্রয়োগ করার পরে, মিশ্রণটি আধা ঘন্টা রেখে দিন।
- এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতক্ষণ ব্যবহার করবেন?
চুল ফাটা বা চুলের ভাঙ্গন রোধ করতে সপ্তাহে দুবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
উপকারিতাঃ মধু একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। পেঁয়াজের রসের সাথে মেশানো হলে এর প্রভাব আরো বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ চকচকে চুল পেতে মধু দিয়ে চুলের যত্ন নিন এইভাবে, স্বাস্থ্যের জন্য মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
২. চুল ভাঙ্গা রোধের জন্য পেঁয়াজের রস এবং বাদাম তেল –
উপকরণ-
- বাদাম তেল এক চা চামচ।
- পেঁয়াজের রস এক চা চামচ।
প্রক্রিয়া –
- প্রথমে উভয় উপাদান মিশিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান এবং ম্যাসাজ করুন।
- ম্যাসাজ করার পর মিশ্রণটি চুলে এভাবে ২০ মিনিট রেখে দিন।
- এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতক্ষণ ব্যবহার করবেন?
সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
উপকারিতাঃ যদি আপনার চুল প্রতিদিন পড়ে, তাহলে বাদাম তেল এবং পেঁয়াজের রসের মিশ্রণ আপনার চুলের জন্য খুবই উপকারী। বাদাম তেলে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং পেঁয়াজের রস চুলের গোড়া বা শিকড়কে শক্তিশালী করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ বাদাম তেলের উপকারিতা, ব্যবহারের নিয়ম এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, বাদাম তেল দিয়ে মেকআপ তোলার নিয়ম, ত্বকের জন্য চা গাছের তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার
৩. চুল পড়ার জন্য পেঁয়াজের রস এবং অ্যালকোহল –
উপাদান –
- একটি পেঁয়াজ।
- এক কাপ অ্যালকোহল।
প্রক্রিয়া –
- প্রথমে পেঁয়াজ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
- এবার এই টুকরোগুলোকে এক কাপ অ্যালকোহল-এ রাখুন।
- এবার এই মিশ্রণটি সারারাত রেখে দিন।
- তারপর সকালে মিশ্রণটি ফিল্টার করুন এবং এখন এটি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
- মিশ্রণটি চুলে এভাবে ২০ মিনিট রেখে দিন।
- তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এই পেঁয়াজ এর হেয়ার মাস্ক সপ্তাহে দুবার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। যদিও এই পদ্ধতি বাংলাদেশ এ তেমন প্রচলিত নয়।
উপকারিতাঃ অ্যালকোহল এ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলে আর্দ্রতা আনে। যার কারণে চুলে স্থিতিস্থাপকতা ফিরে আসে এবং তাদের ভাঙ্গাও কমে যায়। পেঁয়াজের রস চুলের ফলিকল ঠিক রাখে।
৪. চুল পড়ার জন্য ফিটকিরি ও পেঁয়াজের রস –
উপাদান –
- দুটি পেঁয়াজ।
- ফিটকিরি কিছু পরিমাণে ।
প্রক্রিয়া –
- প্রথমে দুটি পেঁয়াজের রস বের করে তাতে কিছু পরিমাণ ফিটকিরি দিয়ে দিন।
- মিশ্রণটি ভালো করে মেশান এবং তারপর একটি তুলোর বল এতে ডুবিয়ে মাথার ত্বকে লাগান।
- প্রয়োগ করার পরে, একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে আপনার চুল ঢেকে দিন এবং সারারাত রেখে দিন।
- সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এই প্রক্রিয়াটি মাসে দুবার পুনরাবৃত্তি করুন।
উপকারিতাঃ
ফিটকিরি মাথার ত্বককে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে, যা চুল ভাঙা কমায়। এছাড়াও পেঁয়াজের রসের সাথে ফিটকিরি মিশিয়ে ব্যবহার এ চুল মজবুত হয়।
আরো পড়ুনঃ চুল ঘন করার উপায় naturally, চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়, পাকা চুল কালো করার উপায়
৫. চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ঘৃতকুমারী এবং পেঁয়াজের রস –
উপাদান –
- একটি পেঁয়াজ.
- একটি ঘৃতকুমারী ।
প্রক্রিয়া –
- প্রথমে একটি পেঁয়াজের রস বের করে তারপর অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে নিন।
- মিশ্রণটি ভালোভাবে মেশানোর পর চুল ও মাথার ত্বকে লাগান।
- লাগানোর পর এভাবে এক ঘণ্টা রেখে দিন।
- এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং ধোয়ার পর কন্ডিশনার লাগান।
কতদিন ব্যবহার করবেন?
এই প্রতিকারটি মাসে দুবার পুনরাবৃত্তি করুন।
উপকারিতাঃ অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য সেরা প্রতিকার হিসাবে বিবেচিত হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকে সুস্থ রাখে এবং পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশিয়ে দিলে চুলের জন্য তা অনেক উপকারী হয়।
একেকটা মানুষ এর চুলের ধরন একেক রকম। যার চুলে যে উপাদান টি বেশি উপকারী মনে হবে তার সেই উপাদান ই ব্যবহার করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
এটি ব্যবাহারে আসলেই উপকারে আসে