ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের নাম, উৎস, পরিমান এবং উপকারিতা
ভিটামিন-এ আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটা পুষ্টি উপাদান। বয়স্ক থেকে নবজাতক সকলেরই এর প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী এন্টি অক্সিজেন। এর রাসায়নিক নাম রেটিনল। এটি চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন। প্রানীজ এবং উদ্ভিজ্জ নানা উপাদান থেকে এটি পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন রং এর ফল যেমন হলুদ, কমলা, লাল ও সবুজ ফলের মধ্যেও ভিটামিন এ বিদ্যমান থাকে।
ভিটামিন-এ এর উপকারিতা, অভাবজনিত রোগসমূহ:
আমাদের দেহের ভিটামিন-এ এর অনেক কার্যকারিতা রয়েছে।নানাভাবে ভিটামিন-এ আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে।
যেমন:
১. ভিটামিন এ আমাদের হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. ত্বকের টিস্যু গঠন ও বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. দাতের মাড়ি মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
৫. চোখের রেটিনা সুরক্ষিত রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
৬. প্রজনন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৭. হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস এর কার্যকারিতা সঠিকভাবে করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরে কিছু লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়, যেমন: শরীরের ত্বকে এবং চোখে শুষ্ক ভাব, রাত কানা হওয়া, গলা ও বুকে নানা সংক্রমণ হওয়া, প্রজননে ব্যাঘাত ঘটা বা বন্ধ্যাত্ব, শারীরিক নানা বৃদ্ধিতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যার দেখা দেয়।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের উৎস এবং পরিমাণ :
- পাট শাক ৩০৫ মিলিগ্রাম
- তেজপাতা ৩০৯ মিলিগ্রাম
- পাকা ডেউয়া ৩১০ মিলিগ্রাম
- গাজর ৩২৯ মিলিগ্রাম
- হাঁসের ডিম ৩৬২ মিলিগ্রাম
- মিষ্টি কুমড়া ৩৬৯ মিলিগ্রাম
- পালংশাক ৪০৯ মিলিগ্রাম
- ডিমের কুসুম (মুরগির) ৪৯৬ মিলিগ্রাম
- হেলেঞ্চা শাক ৫৩০ মিলিগ্রাম
- সবুজ কচু শাক ৫৯৬ মিলিগ্রাম
- নোনতা মাখন ৬৩৩ মিলিগ্রাম
- গরুর দুধের ঘি ৬৪২ মিলিগ্রাম
- কালো কচুশাক ৬৯৯ মিলিগ্রাম
- মিষ্টি আলু ৭১৯ মিলিগ্রাম
- ডাটা শাক ৭৪৩ মিলিগ্রাম
- শুকনা মরিচ ৭৪৭ মিলিগ্রাম
- লাল শাক ৭৯৩ মিলিগ্রাম
- কডলিভার ওয়েল ২৫০০ মিলিগ্রাম
- মলামাছ ২৬৮০ মিলিগ্রাম
- গরুর কলিজা ৪৯৬৮ মিলিগ্রাম
সব ধরনের ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। অনেকের নানা খাবারের প্রতি এলার্জি থাকে, অনেকে অনেক খাবার খেতে চান না, এসবের কারণে ও শরীরে অনেক ঘাটতি দেখা দেয়। তাই সবার উচিত সব ধরনের খাবার খাওয়া এবং কি কি ভিটামিন কোন খাবারে আছে তা কিছুটা হলেও জেনে রাখা। এতে করে শরীরের মারাত্মক কোন কিছুর ঘাটতি হওয়া থেকে নিজেকে আটকানো সম্ভব।
আরো দেখুনঃ