স্বাস্থ্য

ডালিমের উপকারিতা

ডালিম যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি ডালিমের উপকারিতা অনেক। ডালিম কে না পছন্দ করে। ডালিমের খোসা যত শক্ত, ফলটি তত বেশি সুস্বাদু এবং মিষ্টি। যে কোনো মানুষের কোনো রোগ হলে প্রথমেই ডালিম খাওয়ার পরামর্শ দেন মানুষ। ডাক্তাররা রোগীকে দুর্বলতা দূর করতে বা চিকিৎসার পর সুস্থ হওয়ার সময় ডালিম খেতে বলেন। আপনিও জানেন যে ডালিম খেলে আপনার স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন ডালিমের সেই উপকারিতাগুলো কী? না না! আপনি হয়তো জানেন না যে ডালিম ব্যবহার করেও রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

আয়ুর্বেদে ডালিমকে অত্যন্ত অলৌকিক ফল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটাও বলা হয়েছে যে এর ব্যবহারে অনেক রোগ নিরাময় করতে পারে। শুধু ডালিম ফল নয়, গোটা গাছই ওষুধি গুণে ভরপুর। যখন ডালিমের এত উপকারিতা আছে, তখন আপনি অবশ্যই ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইবেন। আসুন জেনে নিই ডালিমের উপকারিতা।

স্বাদের পার্থক্যের কারণে ডালিমের তিনটি জাত রয়েছে।

দেশীয় ডালিম টক ও মিষ্টি।
কান্দাহারের ডালিম মিষ্টি।
কাবুল ডালিমও মিষ্টি। কাবুলি ডালিমে ডালিম ছাড়া খুব মিষ্টি ডালিম থাকে, যাকে বেদানা ডালিম বলা হয়। এটা সেরা হবে. ফলের তুলনায় কুঁড়ি ও খোসায় বেশি গুণ পাওয়া যায়।
রসের পার্থক্য অনুসারে, ডালিমের তিন ধরনের ফল রয়েছে:-

মিষ্টি রস ডালিম
টক ডালিম
মিষ্টি-টক ডালিম

ডালিমের বোটানিক্যাল নাম হল Punica granatum (Punica granatum L., Syn-Punica nana Linn., Punica, spinosa Lam,), এবং এটি Punicaceae পরিবারের অন্তর্গত।

ডালিমের উপকারিতা

Contents

ডালিমের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

এখানে ডালিমের উপকারিতা, ব্যবহারের পদ্ধতি, পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য রয়েছে:-

শিশুদের অত্যধিক তৃষ্ণা নিরাময়ে ডালিমের উপকারিতা

বাচ্চাদের খুব পিপাসা লাগলে ডালিম, জিরা ও নাগকেশর সমপরিমাণ নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এই পাউডারে চিনি ও মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ান। এটি তৃষ্ণা নিবারণ করে।

অ্যানিমিয়া এবং জন্ডিসে ডালিমের উপকারিতা

রক্তশূন্যতা ও জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য 250 মিলি ডালিমের রসে 750 গ্রাম চিনি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করুন। এটি দিনে 3-4 বার খান। রক্তশূন্যতা, জন্ডিসে উপকারী।
অনেকে ক্লান্তি, দুর্বলতার অভিযোগ করেন। এই ধরনের লোকেরা 20 গ্রাম তাজা ডালিম পাতা নিয়ে 400 মিলি জলে সেদ্ধ করে। যখন 100 মিলি জল অবশিষ্ট থাকে, তখন এর সাথে গরম দুধ মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা সেরে যায়।

রক্তস্বল্পতা এবং জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের 3-6 গ্রাম ডালিম পাতা ছায়ায় শুকানো উচিত। গরুর দুধে তৈরি মাখনের সঙ্গে সকালে এই গুঁড়ো পান করুন। একইভাবে, সন্ধ্যায় এই বাটার মিল্কের সাথে পনির খান। রক্তশূন্যতা, জন্ডিস রোগে এটি উপকারী।

ডায়রিয়া বন্ধ করতে ডালিমের জুসের উপকারিতা

ডায়রিয়া বন্ধ করতে ডালিম ফলের খোসার 2-3 গ্রাম গুঁড়ো করে নিন। সকালে এবং সন্ধ্যায় তাজা জলের সাথে পান করুন। এটি ডায়রিয়ায় উপকারী।
ডালিমের ছালের 1 গ্রাম পাউডারে (ফল বা মূলের ছাল) সমপরিমাণ জায়ফল গুঁড়া এবং 250 মিলিগ্রাম জাফরান মিশিয়ে নিন। এটিকে পিষে মধু দিয়ে সেবন করুন। ডায়রিয়া বন্ধ হয়।

শিশুদের ডায়রিয়া বন্ধ করতে ডালিমের ব্যবহার
যে শিশু ঘন ঘন ডায়রিয়ার অভিযোগ করে, তাদের জন্য ডালিমের তাজা কুঁড়ি নিন, ছোট এলাচের বীজ এবং রুমিমাস্তাগি পিঠা দিয়ে পিষে নিন। এতে চিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চাটলে শিশুদের ডায়রিয়া ও আমাশয়ে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

অন্ত্রের কৃমির চিকিৎসায় ডালিমের উপকারিতা

ডালিমের উপকারিতা পেটের কৃমি দূর করতে পারে। এর জন্য ডালিমের মূলের ছাল 50 গ্রাম, পলাশের বীজ 6 গ্রাম নিন। সেগুলিকে পিষে 1.25 লিটার জলে একটি ধীর আগুনে রান্না করুন। পানি অর্ধেক থেকে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। আধা ঘন্টার ব্যবধানে এটি 50 মিলি পরিমাণে দিন। এর ব্যবহারে পেটের কৃমি দূর হয়।
ডালিম পাতা ছায়ায় শুকিয়ে মিহি করে পিষে নিন। এটি ফিল্টার করুন। এটি 3-6 গ্রাম পরিমাণে সকালে বাটারমিল্ক বা বিশুদ্ধ জলের সাথে পান করুন। এর ব্যবহারে পেটের কৃমি দূর হয়।

পেটের কৃমি দূর করতে, ডালিম গাছের মূলের ছাল 10 গ্রাম, বাভিদাং 6 গ্রাম এবং ইদ্রা যব 6 গ্রাম পিষে একটি ক্বাথ তৈরি করুন। এটি খেলে পেটের কৃমি দূর হয়।
পেটের কৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। 20 গ্রাম টক ডালিমের খোসা এবং 20 গ্রাম তুঁত 200 মিলি জলে সিদ্ধ করুন। এটি পান করলে পেটের কৃমিও মারা যায়।
কিডনির পাথর দূর করতে ডালিমের রস উপকারী

টাক পড়ার চিকিৎসায় ডালিমের রসের উপকারিতা

চুল পড়া বা টাক পড়া সমস্যায় ডালিমের তাজা সবুজ পাতার রস খান। 100 গ্রাম ডালিম পাতার পেস্ট এবং আধা লিটার সরিষার তেল যোগ করুন। এই তেল রান্না করে ছেঁকে নিন। এটি চুলে লাগান। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়, টাকের সমস্যা দূর হয়।

মুখের দাগের সমস্যায় ডালিমের ব্যবহার

মুখের দাগ একটি সাধারণ সমস্যা। এতে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এই অভিযোগের প্রবণতা বেশি। আপনিও যদি মুখের দাগ নিয়ে সমস্যায় থাকেন, তাহলে আপনি ডালিম ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারেন। ডালিমের তাজা সবুজ পাতার রসে 100 গ্রাম ডালিম পাতার পেস্ট এবং আধা লিটার সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই তেল রান্না করে ছেঁকে নিন। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে মুখের নখ, দাগ এবং কালো দাগ সেরে যায়।

মুখের আলসারের সমস্যায় ডালিমের ব্যবহার

মুখের আলসারের সমস্যায় ডালিমের ব্যবহার উপকারী। 25 গ্রাম ডালিম পাতা 400 মিলি জলে সিদ্ধ করুন। এক চতুর্থাংশ পানি অবশিষ্ট থাকলে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও এটি মুখের ঘা এবং অন্যান্য রোগ নিরাময় করে।
ডালিমের ছালের গুঁড়া তৈরি করুন। মুখে ঘষে বা ফুসকুড়ির পানির ক্বাথ দিয়ে গার্গল করলে মুখের ঘা সেরে যায়।
10 গ্রাম ডালিম পাতা 400 মিলি জলে সিদ্ধ করুন, এবং যখন জল এক-চতুর্থাংশ থেকে যায়, তখন ক্বাথ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের ঘা নিরাময় করে।

হাত-পা ফোলা সমস্যায় ডালিমের ব্যবহার

হাত-পা ফোলা থাকলে ডালিমের উপকারিতা নেওয়া যেতে পারে। 10-12টি তাজা ডালিম পাতা পিষে তালু এবং পায়ের তলায় লাগান। এটি হাত-পা ফোলা এবং হাত-পায়ের জলের সমস্যা নিরাময় করে।

ত্বকের রোগের চিকিৎসায় ডালিমের উপকারিতা

চর্মরোগেও ডালিমের ব্যবহার খুবই উপকারী। চর্মজনিত রোগে 250 গ্রাম তাজা ডালিম পাতা 5 লিটার পানিতে সিদ্ধ করে একটি ক্বাথ তৈরি করুন। এই ক্বাথ দিয়ে গোসল করলে ছত্রাকজনিত চর্মরোগ সেরে যায়।
ত্বক উজ্জ্বল করতেও ডালিম ব্যবহার করা হয়। 4 লিটার জলে 1 কেজি ডালিমের খোসা সিদ্ধ করুন। পানি 1 লিটার থেকে গেলে 250 মিলি সরিষার তেল দিয়ে রান্না করুন। এই তেল মালিশ করুন। মাংসের ঢিলা ভাব কয়েকদিনের মধ্যে চলে যায়। মুখের বলিরেখা ম্লান হয়ে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।
সরিষার তেলের পরিবর্তে বাদাম তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

স্তনকে সুশোভিত করতে ডালিমের ব্যবহার

অনেক মহিলাই তাদের স্তনকে সুশোভিত করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেন। এতে ডালিমের উপকারিতাও পাওয়া যায়। এর জন্য সমান পরিমাণে ডালিমের পাতা, খোসা, ফুল, কাঁচা ফল এবং মূলের ছাল নিন। মোটা করে পিষে নিন। ভিনেগারে দুইবার এবং গোলাপজলে চারবার ভিজিয়ে রাখুন। চার দিন পর সরিষার তেল দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। সামান্য তেল বাকি থাকলে ছেঁকে নিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। এই তেল দিয়ে প্রতিদিন স্তন ম্যাসাজ করুন। এর কারণে স্তনের শিথিলতা দূর হয় এবং স্তন সুশোভিত হয়। এটি মুখের বলিরেখাও নিরাময় করে।

ডালিমের পাতা থেকে 1 লিটার রস বের করুন। এতে আধা লিটার মিষ্টি তেল (তিলের তেল) যোগ করুন এবং অল্প আঁচে রান্না করুন। কিছু তেল থেকে গেলে তা ছেঁকে বোতলে ভরে রাখুন। দিনে ২-৩ বার ম্যাসাজ করলে স্তনের শিথিলতা দূর হয়।

রিকেট রোগে ডালিমের উপকারিতা

রিকেটস শিশুদের একটি মারাত্মক রোগ। বাংলাদেশ সহ অনেক দেশেই শিশুরা রিকেট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুষ্ক রোগেও ডালিমের ব্যবহার উপকারী। এতে 20-25 গ্রাম ডালিমের কুঁড়ির রস কিছুটা দুধের সাথে মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন খাওয়ালে শিশুদের রিকেট নিরাময় হয়।

হেঁচকির সমস্যায় ডালিমের উপকারিতা

হেঁচকির সমস্যায় ডালিমের উপকারিতা পাওয়া যায়। এর জন্য 20 মিলি ডালিমের রসে ছোট এলাচ বীজ, বংশলোচন, শুকনো পুদিনা, জহরমোহরা মিশিয়ে নিন। এর সাথে 1-2 গ্রাম আগরু এবং 500 মিলিগ্রাম পিপলি মিশিয়ে মিহি গুঁড়ো তৈরি করুন। প্রয়োজনমতো অল্প অল্প করে চাটলে হেঁচকি দূর হয়।

অনিদ্রার সমস্যায় ডালিমের উপকারিতা

যারা অনিদ্রায় ভুগছেন তারা 20 গ্রাম তাজা ডালিম পাতা নিয়ে 400 মিলি পানিতে সিদ্ধ করুন। যখন 100 মিলি জল অবশিষ্ট থাকে, তখন এর সাথে গরম দুধ মিশিয়ে পান করুন। এতে ঘুম না আসার সমস্যা দূর হয়।

নখের ব্যাধিতে ডালিমের উপকারিতা

নখ সংক্রান্ত রোগেও ডালিমের ব্যবহার উপকারী। ডালিমের ফুল, ধামসা, ময়রাবালান সমান পরিমাণে পিষে নিন। এটি নখে লাগান। এর ফলে নখের ভেতরের ফোলাভাব, নখের ব্যথা সেরে যায়।

ক্ষত সারাতে ডালিমের উপকারিতা

ডালিম ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে ছাই বানিয়ে পিষে নিন। আঘাতে লাগালে ক্ষত দ্রুত সেরে যায়।
1 লিটার জলে 50 গ্রাম ডালিম পাতার একটি ক্বাথ তৈরি করুন। ক্বাথের এক-চতুর্থাংশ অবশিষ্ট থাকলে তা দিয়ে ক্ষত ধুলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

মাথাব্যথা থেকে মুক্তিতে ডালিমের উপকারিতা

মাথা ব্যথার উপশম পেতে আধা কেজি ডালিম পাতা ছায়ায় শুকিয়ে নিন। এতে শুকনো ধনে মিশিয়ে মিহি গুঁড়ো করে নিন। এতে 250 গ্রাম গমের আটা দিয়ে গরুর ঘি দিয়ে ভেজে নিন। ঠাণ্ডা হলে এতে ১ কেজি খন্ড যোগ করুন। 50 গ্রাম পরিমাণে সকালে ও সন্ধ্যায় উষ্ণ দুধের সাথে খান। এটি কেবল মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয় না, পাশাপাশি মাথা ঘোরা নিরাময় করে।
ডালিমের ছাল পিষে লাগালে মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেনের উপশম হয়।

দাঁতের ব্যথায় ডালিম খাওয়া উপকারী

  • দাঁতের ব্যথায় শুকনো ডালিম ও গোলাপ ফুল পিষে নিন। এটি দিয়ে ব্রাশ করুন। এতে মাড়ি থেকে পানি আসা বন্ধ হয়।
  • শুধুমাত্র ডালিমের কুঁড়ির গুঁড়া ব্রাশ করুন। এটি শুধু মাড়ি থেকে রক্ত ​​পড়া বন্ধ করে না, দাঁতের ব্যথাও শেষ করে।
  • দাঁত নড়াচড়া করলে মিষ্টি ডালিমের ৮-১০টি পাতা ছায়ায় শুকিয়ে পিষে নিন। দাঁত নড়াচড়ার সমস্যায় এই পাউডার ঘষলে উপকার পাওয়া যায়।
  • মাড়ি থেকে রক্ত ​​পড়া রোগে ডালিম উপকারী (ডালিমের ফল মুখের রোগে সাহায্য করে)
  • অনেকের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের সমস্যা হয়। তারা ডালিমের উপকারিতা নিতে পারে। ডালিমের ছালের ক্বাথ তৈরি করে গার্গল করুন।
  • মিষ্টি ডালিমের 8-10টি পাতা ছায়ায় শুকিয়ে পিষে নিন। এই গুঁড়ো মন্থন করলে মাড়ি থেকে রক্ত ​​পড়া ও পুঁজ আসা বন্ধ হয়। এটি ফোলাভাবও কমায়।

নাক ও কানের ব্যথায় ডালিমের উপকারিতা

নাকে, কানে ক্ষত হলে বা ব্যথা হলে দুই ফোঁটা ডালিমের ছালের ক্বাথ তৈরি করুন। এর ব্যবহারে নাক-কান ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যবহারের তথ্যের জন্য একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিন।

নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া সমস্যায় ডালিমের ব্যবহার
নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়লে ১-২ ফোঁটা ডালিম ফুলের রস নাক দিয়ে দিন। এতে নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া বন্ধ হয়। নাক থেকে রক্ত ​​পড়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিকার খুবই উপকারী।
ডালিমের খোসা শুকনো খেজুরের পানি দিয়ে পিষে নিন। নাক দিয়ে নিন। এতে নাক থেকে রক্ত ​​পড়াও বন্ধ হয়। এর পেস্ট প্রদাহেও উপকার করে।
ডালিম পাতার ক্বাথ (10-30 মিলি), বা পাতার রস (10 মিলি) পান করুন। পিষে মাথায় লাগালে নাক থেকে রক্ত ​​পড়া রোগে উপকার পাওয়া যায়।
ডালিম ব্যবহার করে কানের ব্যথা উপশম করুন।

কানের ব্যথায় 100 মিলি তাজা ডালিম পাতার রস, 400 মিলি গোমূত্র এবং 100 মিলি তিলের তেল মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। তেল একটু বাকি থাকলে ছেঁকে নিন। একটু গরম করে সকালে ও সন্ধ্যায় কানে কয়েক ফোঁটা দিন। এ কারণে কানের ব্যথা, কানে গুঞ্জন, বধিরতার সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

গলার সমস্যা নিরাময়ে ডালিমের উপকারিতা

গলার রোগে তাজা ডালিম পাতার রস ১ লিটার খান। এতে চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করুন। এই 20-25 মিলি দিনে 2-3 বার পান করুন। কণ্ঠস্বর, কাশি এবং গলার অন্যান্য রোগে এটি উপকারী।
ডালিমের পাতা ছায়ায় শুকিয়ে পিষে নিন। এটি থেকে একটি পাউডার তৈরি করুন। এই পাউডারে মধু বা গুড় মিশিয়ে গুড়ের মতো ট্যাবলেট (0.5-1 গ্রাম) তৈরি করুন। ছায়ায় শুকিয়ে নিন। এই ট্যাবলেট মুখে নিয়ে চুষে খেলে গাউট রোগ সেরে যায়।কাশিতে সমস্যা হলে 2-3 চামচ ডালিমের নির্যাস দিনে তিন থেকে চার বার খান।

চোখের রোগের চিকিৎসায় ডালিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

চোখের রোগ সারাতে ডালিমের ৫-৬ টি পাতা পানিতে পিষে দিনে দুবার লাগান।
ডালিম পাতা জলে ভিজিয়ে একটি বান্ডিল তৈরি করুন। এটি চোখের উপর রাখলে চোখের রোগও সেরে যায়।
একইভাবে ডালিম পাতার রস চোখে লাগালে চোখের ব্যথা ও চোখের অন্যান্য রোগে উপকার পাওয়া যায়।

ছানিতে ডালিম উপকারী

ছানি রোগে ডালিমের ব্যবহার উপকারী হতে পারে। ছানি নিরাময়ের জন্য ডালিম গাছের ছাল পাকা ডালিম ফলের রসের সাথে ঘষে নিন। এর মধ্যে ১ বা ২টি লাল গুঞ্জার খোসা ছাড়িয়ে নিন। ফোলা চোখের উপর দিনে তিনবার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

ক্ষুধা বাড়াতে ডালিমের ব্যবহার

ক্ষুধামন্দার সমস্যায় শুকনো ডালিম পাতা ছায়ায় রাখুন। এতে শিলা লবণ মিশিয়ে মিহি গুঁড়ো তৈরি করুন। সকালে এবং সন্ধ্যায় খাবারের আগে এটি 4-5 গ্রাম পরিমাণে নিন। এটি জলের সাথে সেবন করুন। এটি ক্ষুধা বাড়ায়, এবং খাবার সঠিকভাবে হজম হয়।

বদহজমের সমস্যায় ডালিমের ব্যবহার

বদহজমের জন্য ডালিমের 10 মিলি রসে 2 গ্রাম ভাজা জিরা এবং 5 গ্রাম গুড় মিশিয়ে নিন। এটি দিনে 2 বা 3 বার ব্যবহার করুন। এটি সব ধরনের বদহজমের সমস্যা নিরাময় করে।
20 মিলি ডালিমের রস, 20 মিলি মধু, এবং 10 মিলি তিলের তেল 6 গ্রাম জিরা গুঁড়ো, এবং 6 গ্রাম গুড় মেশান। মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ মুখ নাড়তে থাকুন। এতে করে বদহজম রোগে উপকার পাওয়া যায়।

পাচনতন্ত্রের রোগে ডালিমের উপকারিতা

পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখতে 100 গ্রাম শুকনো ডালিম, শুকনো আদা, কালো গোলমরিচ, পিপল, দারুচিনি খান। এর সাথে 50-60 গ্রাম তেজপাতা এবং এলাচ যোগ করুন। এটি থেকে একটি পাউডার তৈরি করুন। এতে সমান পরিমাণ খন্ড যোগ করুন। দিনে দুবার মধুর সাথে খান। এটি 500 মিলিগ্রাম থেকে 1 গ্রাম পরিমাণে খেতে হবে। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে।

কলেরায় ডালিমের উপকারিতা

কলেরা নিরাময়ের জন্য, ডালিমের 6 গ্রাম সবুজ পাতা 20 মিলি জলের সাথে পিষে নিন। এটি ফিল্টার করুন। এতে 20 মিলি চিনির সিরাপ যোগ করুন, 1 ঘন্টা পরে পান করুন। রোগ ভালো না হওয়া পর্যন্ত দিতে হবে।
একইভাবে 10-15 মিলি টক ডালিমের রস নিয়মিত সেবনও কলেরায় উপকারী। এতে বমিও বন্ধ হয়।

কাশি এবং হাঁপানির সাথে লড়াইয়ে ডালিম জুস উপকারিতা

ডালিম খেলে কাশি, হাঁপানি থেকেও উপকার পাওয়া যায়। 100 গ্রাম শুকনো ডালিম, শুকনো আদা, কালো গোলমরিচ, পিপল, দারুচিনি নিন। এর সাথে 50 গ্রাম তেজপাতা এবং এলাচ যোগ করুন। এটি থেকে একটি পাউডার তৈরি করুন। এতে সমান পরিমাণ খন্ড যোগ করুন। দিনে দুবার মধুর সাথে খান। 500 মিলিগ্রাম থেকে 1 গ্রাম খেলে কাশি, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ এবং সর্দিতে উপশম পাওয়া যায়। শুধু ডালিমের খোসা মুখে নিয়ে চুষে খেলেও কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

80 গ্রাম গুড়ের শরবত তৈরি করুন। এতে 40 গ্রাম ডালিমের খোসা, 6 গ্রাম পিপল এবং জওয়াখার মিহি গুঁড়া যোগ করুন। 500 mg এর ট্যাবলেট বানিয়ে রাখুন। 2টি ট্যাবলেট দিনে তিনবার হালকা গরম পানির সাথে খান। এর ব্যবহার কাশিতে উপকারী। ১০ গ্রাম গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে কাশিতে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

গর্ভপাতের সমস্যায় ডালিমের উপকারিতা

ডালিম খেলে গর্ভপাতও প্রতিরোধ করা যায়। গর্ভাবস্থার পঞ্চম মাসে যেসব গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাতের সমস্যা হয়, তারা ডালিম পাতার গুঁড়া এবং চন্দনের গুঁড়া দই, মধু মিশিয়ে খান। লাভবান হবেন।
100 মিলি জলে তাজা ডালিম পাতা (20 গ্রাম) পিষে ফিল্টার করুন। এটি পান করলে গর্ভপাত রোধ হয়।
এর সাথে ডালিম পাতার পেস্ট পেটের নিচের অংশে লাগালে গর্ভপাত রোধ হয়।

লিউকোরিয়ার জন্য ডালিমের রসের উপকারিতা

ডালিমের ব্যবহার লিউকোরিয়াতেও উপকারী। ডালিম ফলের খোসার ক্বাথে কিছুটা হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে যোনিপথ ধুয়ে নিন। এটি লিউকোরিয়ায় তাৎক্ষণিক উপকার দেয়। এটি যোনিপথে রাখলে লিউকোরিয়াতেও উপকার পাওয়া যায়।

গনোরিয়ার জন্য ডালিম ব্যবহারের উপকারিতা

গনোরিয়া সারাতে 25 গ্রাম ডালিমের ছাল সমান পরিমাণে মিশিয়ে খান। এটি 200 মিলি জলে রান্না করুন। প্রতিদিন সকালে এটি পান করুন। এটি তিন দিনের মধ্যে গনোরিয়াতে উপকার পেতে শুরু করে।

ইউটারিন প্রোল্যাপসে ডালিমের ব্যবহার

ইউটেরিন প্রোল্যাপস মানে জরায়ু তার জায়গা থেকে সরে গেছে। এটি সাধারণত মেনোপজের পরে মহিলাদের মধ্যে ঘটে। এতেও ডালিমের ব্যবহার উপকারী। ডালিমের এক বা দুটি তাজা কুঁড়ি জলে পিষে পান করুন। এই কারণে, গর্ভাবস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এবং জরায়ু প্রল্যাপসে সুবিধা হয়।
গর্ভবতী অবস্থায় হৃদযন্ত্র দুর্বল হলে মিষ্টি ডালিমের বীজ খান।

হিস্টিরিয়া রোগে ডালিমের ব্যবহার

হিস্টিরিয়া নিরাময়ের জন্য, ডালিমের পাতা 10 গ্রাম এবং গোলাপের তাজা বা শুকনো ফুল 5 গ্রাম নিন। এগুলি আধা লিটার জলে রান্না করুন। পানি 250 মিলি থাকলে 10 গ্রাম গরুর ঘি ও গুড় মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা পান করুন। হিস্টিরিয়ায় এটি উপকারী।

সিফিলিস চিকিৎসায় ডালিমের রসের উপকারিতা

সিফিলিস (সিফিলিস) ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট একটি যৌনবাহিত রোগ। সময়মতো চিকিৎসা না করালে তা মারাত্মক রোগও হতে পারে। 4 লিটার পানিতে 1 কেজি ডালিম ফলের খোসা দিয়ে সিদ্ধ করুন। যখন পানি ১ লিটার থাকে, তখন 250 মিলি সরিষার তেল যোগ করুন (যদি এটি বাদামের জন্য ভাল হয়), এবং ডালিমের ছাল পিষে লাগান। এটি সিফিলিস রোগে উপকারী।
একইভাবে ডালিম পাতার পেস্ট তৈরি করে প্রতিদিন লাগান এবং পাতার গুঁড়া ৫-১০ গ্রাম খেলে সিফিলিসে উপশম হয়।

টাইফয়েডের চিকিৎসায় ডালিমের উপকারিতা

টাইফয়েড একটি বিপজ্জনক রোগ। এটাকে বিরতিহীন জ্বরও বলা হয়। টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়। টাইফয়েডের চিকিৎসার জন্য ডালিমের পাতার ক্বাথ শিলা লবণ মিশিয়ে খান। এটি টাইফয়েডে উপকারী।

মূত্রনালীর রোগের চিকিৎসায় ডালিমের জুসের উপকারিতা

ডালিমের রস, ছোট এলাচের বীজ এবং শুকনো আদার গুঁড়া ডালিমের রসের সাথে মিশিয়ে পান করলে প্রস্রাবের রোগে উপকার পাওয়া যায়। এটি প্রস্রাবের রোগে উপকারী।
একইভাবে, 150 মিলি জলে 10 গ্রাম ডালিম পাতা এবং 10 গ্রাম সবুজ বান পিষে নিন। আর তা ছাঁকিয়ে পান করলে মূত্রনালীর রোগে উপকার পাওয়া যায়।

হেমোরয়েডের চিকিৎসায় ডালিমের উপকারিতা

পাইলসের রোগীদের ডালিমের পাতার রস ৫-১০ মিলিলিটার খেতে হবে। এটি পাইলসের ক্ষেত্রে উপকারী।
ডালিমের 8-10 টি পাতা পিষে একটি পেস্ট তৈরি করুন। গরুর ঘিতে ভুনা করে সেবন করলেও পাইলস রোগে উপকার পাওয়া যায়। [এ যান: আনার কে মিথস্ক্রিয়া]
আরও পড়ুন – পাইলস এ তন্দুল্যা আমড়ার উপকারিতা

পাইলসের চিকিৎসায় ডালিমের উপকারিতা

পাইলসের চিকিৎসায়ও ডালিমের উপকারিতা পাওয়া যায়। রক্তাক্ত পাইলসের চিকিৎসার জন্য, ডালিমের মূলের ছাল থেকে 100 মিলি ক্বাথ তৈরি করুন। এতে 5 গ্রাম শুকনো আদা গুঁড়ো দিন। এটি দিনে 2-3 বার পান করুন। এটি রক্তাক্ত পাইলসের ক্ষেত্রে উপকার দেয়।

একইভাবে, 250 গ্রাম তাজা ডালিম পাতা 1 লিটার জলে রান্না করুন। পানি অর্ধেক হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। দিনে ২-৩ বার এই পানি দিয়ে মলদ্বার ধুয়ে ফেলুন। এটি রক্তাক্ত পাইলস এবং মলদ্বার সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ যেমন আঁচিল বের হওয়া ইত্যাদিতে উপকারী।

এছাড়াও, ডালিমের মূলের 100 মিলি ক্বাথে, 5 গ্রাম শুকনো আদার গুঁড়া যোগ করুন। এটি দিনে দুই-তিনবার পান করলে রক্তাক্ত পাইলসেও উপকার পাওয়া যায়।
রক্তাক্ত পাইলস নিরাময়ের জন্য, ডালিমের ছাল 20 গ্রাম এবং 20 গ্রাম তেতো ইন্দ্র বার্লি পিষে নিন। এটি 650 মিলি জলে মিশিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করুন। ক্বাথ এক-চতুর্থাংশ হয়ে গেলে দিনে ৩ বার পান করুন।

রক্তাক্ত পাইলসের চিকিৎসার জন্য 80 গ্রাম লতাপাতা পিষে 640 মিলি জলে সেদ্ধ করুন। পানি এক-চতুর্থাংশ থেকে গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। এখন 160 মিলি ডালিমের রস যোগ করুন এবং এটি আবার রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এটি 20 মিলি বাটার মিল্কের সাথে খান। আমাশয় বা ব্লাডি পাইলসের ক্ষেত্রে এটি উপকারী।
ডালিম-ফলের খোসা, শুকনো আদা ও চন্দনের গুঁড়া সম পরিমাণে নিয়ে ক্বাথ তৈরি করুন। 10-20 মিলিলিটার ক্বাথের মধ্যে গরুর ঘি মিশিয়ে পান করলে ব্লাড পাইলস রোগে উপকার পাওয়া যায়।

ডালিমের ছালের ক্বাথ নিয়ে পান করলেও রক্তাক্ত পাইলস সেরে যায়।
রক্তাক্ত পাইলসের রোগীদের 100 মিলি ডালিমের রস 10 গ্রাম গরুর ঘি এবং 65 মিলিগ্রাম যবক্ষর মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি পাইলসের ব্যথা ও রক্তপাত নিরাময় করে।

রেক্টাল প্রোল্যাপসের জন্য ডালিমের উপকারিতা

ছোট বাচ্চাদের শরীর খুব নরম হয়। অনেক সময় ছোট বাচ্চারা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে জোর করে মল ত্যাগ করে। এর কারণে মলদ্বারের ভেতরের নরম মাংস বেরিয়ে আসে। একে বলে শ্রবণ। এতে ডালিম ফলের খোসার পাউডার বা পেস্ট লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
ডালিমের তাজা পাতার ক্বাথ তৈরি করে মলদ্বারে লাগালেও ঘা রোগে উপকার পাওয়া যায়।

বমি বন্ধ করতে ডালিমের ব্যবহার

বমি হলে ডালিমের 10 মিলি কুসুম গরম রস 5 গ্রাম চিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি বমি নিরাময় করে।
ডালিমের ফল খোসাসহ গুঁড়ো করে রস ছেঁকে নিন। এটি 30-50 মিলি পরিমাণে দিন। এতে চিনি মিশিয়ে পান করলে পিত্তরোগের কারণে বমি, চুলকানি, ক্লান্তির মতো সমস্যা দূর হয়।

রক্ত বমি বন্ধ করার জন্য ডালিমের উপকারিতা

রক্ত বমিতে ডালিম উপকারী। রোগীকে দিনে দুবার ডালিম পাতার 5-10 মিলি রস পান করা উচিত। এটি রক্তের বমি বন্ধ করতে সাহায্য করে। পাইলসের রক্তক্ষরণেও এটি উপকারী।

ফুসফুসের রোগের সাথে লড়াইয়ে ডালিমের উপকারিতা

ফুসফুসের রোগ সারাতেও ডালিমের ব্যবহার উপকারী। যারা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন, তারা 10-20 মিলি ডালিম পাতার ক্বাথ দিনে 2-3 বার পান করুন। এটি স্বস্তি দেয়।

টিবি রোগের সাথে লড়াইয়ে ডালিমের উপকারিতা

টিবি একটি মারণ রোগ। টিবি চিকিৎসার জন্য আপনাকে এটি করতে হবে। 200 মিলি সুস্বাদু ডালিমের রসে 40-40 গ্রাম পিপল, সাদা জিরা, শুকনো আদা এবং দারুচিনি মিশিয়ে নিন। এতে 1-2 গ্রাম মিহি জাফরান এবং 200 গ্রাম পুরানো গুড় যোগ করুন এবং এটিকে ধীরে ধীরে রান্না করুন। এই ক্বাথ যখন ট্যাবলেটে পরিণত হবে, তখন 10 গ্রাম ছোট এলাচের গুঁড়া মিশিয়ে 1-2 গ্রাম ট্যাবলেট তৈরি করুন। ছাগলের দুধের সাথে সকাল-সন্ধ্যা ১টি করে ট্যাবলেট সেব্য। এটি টিবিতে উপকারী।

হৃদরোগে ডালিমের ঔষধি গুণের উপকারিতা

হার্টের রোগীরাও ডালিমের উপকারিতা নিতে পারেন। হৃদরোগে 100 মিলি জলে 10 গ্রাম তাজা ডালিম পাতা পিষে ছেঁকে নিন। সকালে ও সন্ধ্যায় পান করলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়।
একইভাবে, 20-25 মিলি ডালিমের শরবত পান করা হৃদরোগে উপকারী।

ডালিমের দরকারী অংশ
ডালিম এইভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে:-

ফুল
ডালিম ফল
বিজ
ডালিম গাছের পাতা
ডালিম গাছের ডালপালা
ডালিম ফলের খোসা
ডালিম গাছের ছাল

ডালিম কিভাবে ব্যবহার করবেন?

ডালিম এই পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে:-

গুঁড়া – 2-4 গ্রাম
রস – 20-40 মিলি
রোগে ডালিমের পূর্ণ সুবিধা নিতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডালিমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যাদের শরীর ঠান্ডা প্রকৃতির তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়।
ডালিম: এর শ্বাসরোধী জিরা।

Pomegranate সম্পর্কিত প্রায়শ জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী।

ডালিম খেলে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে?

হ্যাঁ, আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ডালিমের ঔষধি গুণ রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ডালিম খাওয়া উচিত।

শীতকালে ডালিম খাওয়া কি উপকারী?

অনেকের একটি ভুল ধারণা আছে যে ডালিমের শীতল প্রভাবের কারণে শীতকালে এর ব্যবহার ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনটা না হলেও শীত মৌসুমে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর নিয়মিত সেবন শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।

ডালিমের রস কখন খাবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যে কোনো সময় ডালিমের রস খেতে পারেন, তবে সকালে ডালিমের রস পান করা বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালের নাস্তায় নিয়মিত ডালিমের ফল বা জুস খান।

ডালিম খাওয়া কি পেটের জন্য উপকারী?

ডালিম খেলে শুধু শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায় না, এটি পেটের জন্যও অনেক উপকারী। এটি হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রায়শই পেট সংক্রান্ত ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে বিরক্ত হন, তবে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডালিম অন্তর্ভুক্ত করুন।

ডালিমের জুস কিভাবে তৈরি করবেন?

বাড়িতে ডালিমের জুস তৈরি করা খুব সহজ এবং কোনও বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। জুস তৈরি করতে ডালিম ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে দানাগুলো আলাদা করে নিন। এই দানাগুলো জুসার বা মিক্সারে রেখে জুস তৈরি করুন। মনে রাখবেন তাজা জুস সবসময় খাওয়া উচিত, জুস কখনই ফ্রিজে রেখে পরে পান করবেন না।

5/5 - (53 votes)

Farhana Mourin

Hi, I’m Farhana Mourin — a passionate writer who loves exploring the worlds of health, beauty, and technology. At Shopnik, I contribute community blog posts that aim to inform, inspire, and make everyday living a little smarter and more beautiful. Whether it’s wellness tips, skincare insights, or the latest tech trends, I enjoy turning complex topics into helpful reads for curious minds.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button