ফেসবুকে ব্যবসা করার কমপ্লিট গাইডলাইন
আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন ফেসবুকে কিভাবে ব্যবসা করা যায় এবং ব্যবসা শুরু করার একটি কমপ্লিট গাইডলাইন পাবেন।
Contents
ফেসবুকে কিভাবে ব্যবসা করা যায়
প্রথমে আপনার একটি ফেসবুক পেজের প্রয়োজন। আপনার বিজনেস পেজটি যেন খুব সহজে আপনার কাস্টমার রা খুঁজে পায় এবং আপনি যেকোন পোস্ট করার সাথে সাথে সেটি আপনার পেজের ফলোয়ারদের কাছে চলে যায়, সেজন্য পেজটি ফেসবুকের গাইডলাইন অনুযায়ী সাজাতে হবে। ফেসবুক পেজ কিভাবে খুলতে হয় এবং অপটিমাইজ করতে হয় তা আমার আগের পোস্ট থেকে দেখে নিন।
এবার আপনার পণ্যগুলো দিয়ে ফেসবুক শপ ডিজাইন করতে হবে। নিশ্চয়ই আপনারা ফেসবুকে মার্কেটপ্লেস নামে একটি ট্যাব দেখতে পান? এটি আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে লিস্টিং করতে সাহায্য করবে।
ফেসবুক পেজ চালানোর কিছু নিয়ম কানুন ফেসবুক নিজে দিয়েছে। এগুলো সম্পর্কেও আমার আগের পোস্টে জেনে আসুন। তারপর আপনার বিজনেসের জন্য শুধুমাত্র যারা টার্গেটেড কাস্টমার তাদেরকে ইনভাইট করুন, আপনার পেইজ লাইক এবং ফলো করার জন্য।
পেজে রেগুলার এক্টিভিটির পাশাপাশি একটি গ্রুপ তৈরি করুন এবং আপনার বিজনেস রিলেটেড বিভিন্ন গ্রুপে আপনার একটিভিটি বাড়াতে থাকুন। এক্ষেত্রে বেশ কিছু টেকনিক আপনি ফলো করতে পারেন, যেগুলো আয়মান সাদিকের নিচের ভিডিওতে বলা আছে।
আরো কিছু টেকনিক নিজে তৈরি করার চেষ্টা করুন। এভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনার বিজনেসের মার্কেটিং করতে পারবেন এবং খুব সহজে নিজের বিজনেস গ্রো করতে পারবেন।
এডভার্টাইজিং
এবার আপনি আপনার পেইজে ক্যাম্পেইন রান করুন। এটি চাইলে আপনি নিজেও করতে পারেন। ভালো হয় যদি কোন এক্সপার্ট দিয়ে ক্যাম্পেইন রান করান। কেননা এখানে বেশ কিছু টেকনিক আছে। যেমন, ক্যাম্পেইন টি যদি আপনার বিজনেস একাউন্ট থেকে রান করান তাহলে সবচেয়ে কম খরচে অনেক বেশি রিচ করাতে পারবেন। তাছাড়া অডিয়েন্স ইনসাইটস এর মাধ্যমে একেবারে স্পেসিফিক কাস্টমারের কাছে আপনার এড রিচ করাতে পারবেন, যার ফলো আপনি অনেক বেশি সেল পাবেন।
কিছু জিনিস আপনার নিজেকেই করতে হবে। যেমন, অফার দেয়া আপনি আপনার কাস্টমারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন আপনিই ভালো বুঝবেন। আপনার প্রোডাক্টের প্রতি কাস্টমারদের কিভাবে আরো বেশি আকৃষ্ট করা যায়।
নিরাপত্তা
আপনার বিজনেস পেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার পেজে কাউকে এডমিন একসেস দিতে হবে। তখন কিন্তু আপনার পেজটি হ্যাক হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার পেজটি আপনার বিজনেস একাউন্টের আন্ডারে নিয়ে নিন। তারপর আর কখনো আপনার পেজটি হ্যাক হবে না।
লাইসেন্স
বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার বিজনেসের ট্রেডলাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। এমনকি আপনি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ফেসবুক পেজে অনেক কিছু করতে পারবেন না। তাই বিজনেস রানিং হবার সাথে সাথেই ট্রেড লাইসেন্স করে নিন।
ভেরিফিকেশ
ফেসবুক বিজনেস একাউন্ট থেকে আপনার বিজনেস এর ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
অন্যান্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং
আপনি জানেন কি? ইন্সতাগ্রামে কত বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট সেল হয়? আপনার বিজনেসের কাস্টমাররা কোন কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটিভ থাকতে পারে সব জাগায় আপনার বিজনেসে অনলাইন প্রেজেন্স গ্রো করুন। আপনি যত বেশি পরিমাণে কাস্টমারদের কাছে রিচ করতে পারবেন তত বেশি আপনার প্রোডাক্ট সেল হবে এবং বিজনেস গ্রো করতে পারবেন।
সবগুলো সোশ্যাল সাইট একটা আরেকটার সাথে অবশ্যই কানেক্ট করে রাখুন।
কাস্টমারদের ইন্টারেস্ট রিসার্চ
এটি আপনাকে নিয়মিত করতে হবে। আপনার কোন প্রোডাক্টের প্রতি কাস্টমারদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি এবং কোন প্রোডাক্ট সবচেয়ে বেশি সেল হয় ওই প্রোডাক্টের প্রতি আপনার মনোযোগ বাড়াতে হবে। আপনাকে চিন্তা করে বের করতে হবে কাস্টমার আপনার কাছে কি চাইছে। আপনার এই প্রোডাক্ট যারা নিচ্ছে তাদের এর সাথে রিলেভেন্ট আর কোন প্রোডাক্টের চাহিদা আছে তা ও আপনার শপে এভেইলেবল করুন। অনেক ক্ষেত্রে কাস্টমার রা প্যাকেজ হিসেবে প্রোডাক্ট নিতে বেশি পছন্দ করে সে ব্যবস্থাও রাখুন।
অনটাইম ডেলিভারি এবং মানিব্যাক গ্যারান্টি
এই জিনিসগুলো আপনার বিজনেসের স্ট্রেন্থ প্রমাণ করে। কোন অর্ডার কনফার্ম করার পর নির্ধারিত সময়ের আগে পণ্য টি আপনার কাস্টমারের হাতে পৌছে দিন। আপনার প্রোডাক্ট কোয়ালিটি প্রমাণ করতে মানিব্যাক গ্যারন্টি রাখার চেষ্টা করুন। কাস্টমার দের সাথে কখনোই প্রতারণা করবেন না।
অফার এবং ইভেন্ট
আপনার ব্যবসার প্রতি কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষন করতে এবং অনেক বেশি কাস্টমারদের কাছে রিচ করতে মাঝে মাঝে অফার এবং ইভেন্ট পরিচালনা করুন।
Conclusion
আশা করছি আমার পোস্ট থেকে ফেসবুকে কিভাবে ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে পরিপূর্ন ধারনা পেয়েছেন। আপনাকে নিয়মিত ফেসবুকের বিভিন্ন আপডেটের সাথে পরিচিত থাকতে হবে। যারা ফেসবুকে ব্যবসা করছে তাদের স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আমাদের কাছে আরো কিছু জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করুন।