একজিমা রোগীর জন্য ডায়েট প্ল্যান
আপনি কি একজিমায় ভুগছেন এবং এই রোগের চিকিৎসাও নিচ্ছেন? আপনি কি জানেন চিকিৎসার সময় সঠিক খাবার ও পানীয় না রাখলে যে রোগই হোক না কেন তা দ্রুত নিরাময় হয় না। চিকিৎসকের মতে, একজিমার চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের অনেক সঠিক খাবার ও পানীয় প্রয়োজন। তাই একজিমার ডায়েট প্ল্যান সম্পর্কে তথ্য এখানে দেওয়া হচ্ছে।
Contents
একজিমা রোগীর ডায়েট প্ল্যান
একজিমা রোগীরা এই ডায়েট চার্ট অবলম্বন করে শুধু মাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, দ্রুত রোগ নিরাময়েও সফল হতে পারেন।
একজিমার সময় আপনার ডায়েটঃ
একজিমায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের খাদ্যাভ্যাস এমন হওয়া উচিতঃ
সিরিয়ালঃ গম, বার্লি
মসুর ডালঃ মুগ, মসুর ও তুর
ফল ও সবজিঃ ঝোল, টিন্ডা, পারওয়াল, রসুন, টমেটো, মৌসুমি তাজা সবজি ( লাউফ, করলা, কুমড়ো ) আপেল, পেঁপে, ডালিম , বাঁধাকপি , গাজর , ফলসা , আমলা ।
অন্যান্যঃ হালকা খাবার, ঘি, মধু, হালকা গরম পানি, মশলাদার খাবার, পুরানো ঘি, নারকেল তেল, লেবু, রসুন, জায়ফল।
একজিমা রোগীর এড়িয়ে চলা খাবার
যারা একজিমায় আক্রান্ত তাদের সেবন করা উচিত নয়ঃ
শস্যঃ নতুন ধান, ময়দা
মসুর ডালঃ কাবুলি ছোলা, মটর, কালো ছোলা, দেশি ছোলা
ফল ও সবজিঃ আলু, ক্যাপসিকাম, কাঁঠাল, বেগুন, আরবি, ওকড়া, জামুন, পিচ, কাঁচা আম, কলা, সব মরিচ
অন্যান্যঃ খাবার যা জ্বালা ও গ্যাস সৃষ্টি করে এবং হজম কমায়। দুধ, দই, মাছ, গুড়, উরদ, ঠান্ডা খাবার, দূষিত পানি, ঠান্ডা পানি, শুকনো খাবার, ঠান্ডা খাবার। দেরিতে খাবার গ্রহণ করবেন না।
কঠোরভাবে নিষিদ্ধঃ তৈলাক্ত মশলাদার খাবার, আমিষ ও নিরামিষ স্যুপ, আচার, তেল, অতিরিক্ত লবণ, ঠান্ডা পানীয়, পরিশোধিত ময়দা, অ্যালকোহল, ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়, জাঙ্ক ফুড, টিনজাত খাবার।
একজিমা রোগীর চিকিৎসার সময় একজিমা রোগীর চিকিৎসার জন্য আপনার ডায়েট প্ল্যান
একজিমার চিকিৎসার জন্য, সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগে খালি পেটে ১-২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। সকালের নাস্তার আগে পান করুন পতঞ্জলি আমলা ও অ্যালোভেরার জুস ।
সময় অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যানঃ
(8:30 AM) সকালের নাস্তাঃ
- 1 কাপ পতঞ্জলি দিব্য পানীয়
- 2-3 পতঞ্জলি আরোগ্য বিস্কুট
- পতঞ্জলি আরোগ্য ডালিয়া
- পোহা
- উপমা ( সুজি )
- অঙ্কুরিত দানা
- 1-2 পাতলা রুটি ( পতঞ্জলি মিশ্রিত শস্য আটা )
- 1 বাটি সবজি ( সিদ্ধ ) কম লবণ দিয়ে
- 1 প্লেট ফলের সালাদ
- আপেল
- পেঁপে
- ডালিম
(12:30-01:30 PM) দিনের মধ্যাহ্নভোজঃ
- 1-2টি পাতলা রোটি ( পতঞ্জলি মিশ্রিত শস্যের আটা )
- 1 বাটি চাল ( মাংস ছাড়া ) / খিচড়ি
- 1- বাটি সবুজ শাকসবজি ( সিদ্ধ )
- 1- বাটি মসুর ডাল ( পাতলা )
- 1 প্লেট সালাদ
(5:30-6:00 pm) সন্ধ্যার নাস্তাঃ
- 1 কাপ ঐশ্বরিক পানীয়
- 1-2 বিস্কুট
- আরোগ্য, পতঞ্জলি
- সবজি স্যুপ
- সালাদ
(7:00 – 8:00 PM) রাতের খাবারঃ
- 1-2টি পাতলা রোটি ( পতঞ্জলি মিশ্রিত শস্যের আটা )
- 1 বাটি সবুজ শাকসবজি আঁশযুক্ত
- 1 বাটি মসুর ডাল ( পাতলা )
(10:00 PM) শোবার সময়ঃ
- ১ গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে পতঞ্জলি হরিদ্রাখন্ড পাউডার নিতে পারেন।
পরামর্শঃ রোগীর যদি চায়ের অভ্যাস থাকে তবে এর পরিবর্তে ১ কাপ পতঞ্জলি দিব্য পানীয় দেওয়া যেতে পারে।
একজিমা চিকিৎসার জন্য আপনার জীবনধারা
একজিমা রোগে আপনার জীবনধারা এমন হওয়া উচিতঃ
- প্রতেক দিন কিছু সময় ব্যায়াম
- পুনরুজ্জীবিত তেল দিয়ে প্রতিদিন ম্যাসাজ করুন
- খাবার হজম হওয়ার পরই কিছু খান।
- রাগ, ভয় বা চিন্তিত হবেন না।
- দিনে ঘুমাবেন না।
- প্রস্রাব এবং মলত্যাগ বন্ধ করবেন না।
একজিমা থেকে মুক্তি পেতে হলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুনঃ
1. প্রতিদিন ধ্যান এবং যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন।
2. তাজা ও হালকা গরম খাবার খেতে হবে।
3. শান্ত , ইতিবাচক ও সুখী মন নিয়ে শান্ত জায়গায় ধীরে ধীরে খাবার খান ।
4. দিনে তিন থেকে চারবার খেতে ভুলবেন না।
5. কোন সময় খাবার ফেলে রাখবেন না এবং অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুন।
6. সপ্তাহে একবার রোজা রাখুন।
7. পেটের 1/3/1/4 অংশ খালি রাখুন।
8. খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খান ।
9. খাবার গ্রহণের পর ৩-৫ মিনিট হাঁটুন।
10. সূর্যোদয়ের আগে [5:30 – 6:30 am] ঘুম থেকে উঠুন।
11. প্রতিদিন দুবার আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।
12. খাবার গ্রহণের পর একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
13. রাতে সঠিক সময়ে [9-10 PM] ঘুমান।
একজিমা থেকে মুক্তি পেতে আপনি এই যোগব্যায়াম এবং আসনগুলি করতে পারেনঃ
আসনঃ
- সূক্ষ্ম ব্যায়াম,
- পশ্চিমোত্তনাসন,
- হালাসন,
- মার্কাটাসন,
- সর্বাঙ্গাসন ।
যোগ প্রাণায়াম এবং ধ্যানঃ
- ভাস্ত্রিকা,
- কপালভাতি,
- বাহ্যপ্রণায়া,
- অনুলোম ভিলোম,
- ভ্রামরি,
- উদগীথা,
- উজ্জয়ি,
- প্রণব জপ।