স্বাস্থ্য

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

আপনি নিশ্চয়ই খেজুর খেয়েছেন কারণ আপনি জানেন যে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু আপনি কি জানেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা বা খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় কী?

আয়ুর্বেদে খেজুর খুবই ভালো ওষুধ এবং খেজুরের উপকারিতা দিয়ে অনেক রোগের চিকিৎসা করা যায়। খেজুর শারীরিক দুর্বলতা বা শরীরের রক্তের অভাব পূরণ করে। অজ্ঞান হওয়া, জ্বালাপোড়া, জ্বর বা অত্যধিক তৃষ্ণা। এই সমস্ত রোগে, খেজুর সেবনে উপকার পাওয়া যায়।

ডাক্তার বা পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কারণ শুক্রাণুর সমস্যা, হৃদরোগ, ক্ষুধামন্দার পাশাপাশি নাক-কান থেকে রক্ত ​​পড়া, শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় এবং খেজুর খাওয়ার অন্যান্য উপকারিতা কি কি।

খেজুর কি?

খেজুর খরজুরি নামেও পরিচিত। খেজুরের ফল খুবই শক্তিশালী ও পুষ্টিকর। এর গাছ 7.5-16 মিটার উঁচু, স্থূল, বিশাল তালের মতো। আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে তিন প্রকার খেজুরের উল্লেখ আছে। এখানে খেজুর খাওয়ার সকল উপকারিতা খুব সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে যাতে খেজুর থেকে সম্পূর্ণ উপকার পেতে পারেন তবে ওষুধ হিসেবে খেজুর ব্যবহার করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

খেজুরের উপকারিতা ও ব্যবহার

খেজুরের উপকারিতা
খেজুর

খেজুরের ঔষধি ব্যবহার, পরিমাণ এবং ব্যবহারের পদ্ধতি নিম্নরূপ:-

দাঁতের রোগে খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ দাঁতের রোগে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। খেজুরের বীজ পুড়িয়ে ছাই তৈরি করুন। এই ভস্ম দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁতের ব্যথা (দাঁত ব্যথা) শেষ হয়।

কাশির সাথে লড়াইয়ে খেজুরের উপকারিতাঃ কাশি রোগেও খেজুরের উপকারিতা নিতে পারেন। খেজুর এবং আঙ্গুর পিষে ঘি দিয়ে রান্না করুন। এতে পিপলি, চিনি ও মধু মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে সেবন করুন। এটি গলা ব্যথা, কাশি নিরাময় করে।

খেজুর, পিপ্পলি, আঙুর, চিনি ও চালের গুঁড়া সমান ভাগে নিন। এর গুঁড়া (2-4 গ্রাম) মধু ও ঘি মিশিয়ে নিন। পিত্তজ দোষের কারণে কাশির সমস্যায় এটি উপকারী।

আরো পড়ুনঃ ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম

হেঁচকির সমস্যায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ 2-4 গ্রাম খেজুরের বীজ মজ্জা এবং 500 মিলিগ্রাম পিপলিচুর্ণ মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। হেঁচকির সমস্যায় এটি উপকারী।

খেজুরের ঔষধিগুণ শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে উপকারীঃ বাদাম, পেস্তা, চিনি ইত্যাদির সঙ্গে খেজুরের ফল খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।

বমি বন্ধে খেজুরের উপকারিতাঃ খেজুরের উপকারিতার কারণে বমিও বন্ধ হয়। ২-৪ গ্রাম খেজুরের মজ্জায় মধু, মিছরি ও পিপলি গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এটি পিত্তজ দোষ দ্বারা সৃষ্ট বমি প্রতিরোধ করে।

ডুডেনামে খেজুরের উপকারিতাঃ আইবিএস রোগেও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যায়। 10-30 মিলি খর্জুরাসভ গ্রহণ করা ডুওডেনাল রোগে (IBS) খুব উপকারী।

প্রস্রাবের রক্তের রোগে খেজুর সেবন উপকারীঃ খেজুর, গম্ভরী, তিন্দুকস্থি এবং গুদুচি থেকে একটি ক্বাথ তৈরি করুন। 10-30 গ্রাম ক্বাথ মধুর সাথে মিশিয়ে খান। প্রস্রাবে রক্ত ​​পড়া রোগে (হেমাটুরিয়া) উপকারী।

আরো পড়ুনঃ প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ, কারণ ও ঘরোয়া প্রতিকার

জ্বরে খেজুরের উপকারিতাঃ চিনি, ডালিম, আঙুর ও খেজুর পিষে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে রাখলে পিত্ত দোষের কারণে জ্বর ও ক্ষুধা কমে যায়।

রক্তপাতের সমস্যায় খেজুরের উপকারিতাঃ শরীরের কোনো অংশ থেকে রক্ত ​​বের হলে এই রোগে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। খেজুর ফল মধুর সাথে মিশিয়ে পান করুন। এ কারণে রক্তপিত্তে (নাক, কান ইত্যাদি থেকে রক্ত ​​পড়ার সমস্যা) উপকার পাওয়া যায়।

শ্বাসতন্ত্রের রোগে খেজুরের উপকারিতাঃ খেজুর এবং আঙ্গুর পিষে ঘি দিয়ে রান্না করুন। এতে পিপলি, চিনি ও মধু মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে সেবন করুন। এটি গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর নিরাময় করে।

ম্যালেরিয়া জ্বরের সঙ্গে লড়াইয়ে খেজুরের উপকারিতাঃ খেজুরের বীজ এবং আপমার্গের মূল সমান পরিমাণে পেস্ট (1-2 গ্রাম) নিন। তাম্বুলের সাথে খেলে অস্বাভাবিক জ্বর (ম্যালেরিয়া) নিরাময় হয়।

খেজুরের উপকারী অংশ

আপনি খেজুর গাছের এই অংশগুলি ব্যবহার করতে পারেন:-

  • পাতা
  • ফল
  • বীজ
  • বাকল

খেজুর কোথায় পাওয়া যায় বা জন্মায়?

খেজুর (খরজুরি) প্রায়ই নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে 1500 মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ

5/5 - (11 votes)

Admin at Shopnik.com.bd

As the driving force behind Shopnik.com.bd, the Admin is dedicated to providing readers with insightful and informative blogs across a wide range of topics. From expert reviews on the latest products to engaging articles from anonymous contributors, the Admin ensures that every post is designed to inform, inspire, and engage. Whether it's tech, lifestyle, or the latest trends, Shopnik.com.bd is your go-to source for up-to-date information and valuable content.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button